ঢাবি প্রতিনিধি

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

ঢাবির আরবী বিভাগ

বর্ধিত উন্নয়ন ফি কমানোর দাবি করায় বহিষ্কারের হুমকি

#ফি পরিশোধ না করলে নেওয়া হবে না পরীক্ষা #সেশন জটের কবলে শিক্ষার্থীরা

ঢাবির আরবী বিভাগ

বর্ধিত উন্নয়ন ফি কমানোর দাবি করায় বহিষ্কারের হুমকি

#ফি পরিশোধ না করলে নেওয়া হবে না পরীক্ষা #সেশন জটের কবলে শিক্ষার্থীরা

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের বর্ধিত উন্নয়ন ফি কমানোর দাবি করায় মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দুদফা স্থগিত করেছে বিভাগটির একাডেমিক কমিটি। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি সেশন জটে পড়তে যাচ্ছে বিভাগটি।

ফি কমানোর দাবি করায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল কাদিরের বিরুদ্ধে।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আরবি বিভাগের ১১তম ব্যাচের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারে পরীক্ষা গত এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের বিভাগ উন্নয়নের জন্য ৫ হাজার টাকা ফি জমা দেওয়ার নির্দেশ হয়। তবে শিক্ষার্থীরা উন্নয়ন ফি কমানোর দাবি করায় পরীক্ষা পিছিয়ে ৫ জুন নির্ধারণ করা হয়। ৫ জুনের আগেই উন্নয়ন ফি জমা দেওয়ার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেন বিভাগের চেয়ারম্যান। এর প্রেক্ষিতে গত ১৭ মে বিভাগটির মাস্টার্স শিক্ষার্থীরা উন্নয়ন ফি কমানোর দাবিতে একটি আবেদন জমা দিতে বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে যান।

অভিযোগ ওঠে, এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল কাদির। উন্নয়ন ফি জমা না দিলে পরীক্ষা হবে না বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন।

মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে বলেন, উন্নয়ন ফি না দেওয়ায় দুবার আমাদের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। আমরা ফি কমানোর জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম।

উনি ফি না কমিয়ে জানিয়েছে ৫ হাজার টাকাই দিতে হবে, না হলে পরীক্ষা নেয়া হবে না। এমনকি তিনি আমাদের বহিষ্কারের হুমকিও দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু এখনো মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারিনি, সেজন্য ওনার মনোভাব হচ্ছে আমরা তার শিক্ষার্থীই না। করোনার কারণে আমরা এমনিতেই অনেক পিছিয়ে গেছি। এতেদিনে আমাদের মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এখন আমরা দীর্ঘমেয়াদী সেশনজটে পড়তে যাচ্ছি।"

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে উন্নয়ন ফি নেয়া হয়। উন্নয়ন ফির পরিমাণ সাধারণত ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কলা অনুষদের কয়েকটি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনুষদের বিভাগগুলোতে উন্নয়ন ফি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একমাত্র আরবি বিভাগেই অতিমাত্রায় উন্নয়ন ফি নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান আবদুল কাদিরের কাছে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

‘ক্যাম্পাস’ : আরও খবর

» দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

» ঢাবিতে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদযাপিত

» হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির দায়ে জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

» ঢাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি, আদালতের দিকে তাকিয়ে প্রশাসন

» ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল চাইলেন তিতুমীর শিক্ষার্থীদের একাংশ

» ৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়: ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিলের দাবি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের

» জাবিতে উড়লো প্রজাপতির রঙিন ডানা: ১৫তম মেলায় গণসচেতনতা ও সংরক্ষণের আহ্বান

» জাবিতে পরিবারের নামে নামকরণকৃত চার হলের নাম পরিবর্তন, নতুন নাম চূড়ান্ত

» রাবি: ৩ শিক্ষক বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীর শাস্তি

» শীতের ছুটিও বহাল, ঢাবি খুলবে ২৮ ডিসেম্বর

» প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারির দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

» ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ

» জকসু নির্বাচন: ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেডের’ ৭ নারী প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি

» ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় অনলাইন ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল

» ১৫ মাস জেলে থেকেও এতটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হইনি: জিএসপ্রার্থী খাদিজা

» ব্যানার টানানো নিয়ে দ্বন্দ্ব: তিতুমীর কলেজে শিবির ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ

» বিকাল ৫টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল খালি করার নির্দেশ

» ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ দিনের ছুটি, রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ

» ভূমিকম্প আতঙ্ক: জবি বন্ধ ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত, বাসে বাড়ি, অনলাইনে ক্লাস শুরু ৩০ নভেম্বর

» ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ভূমিকম্পে আতঙ্ক, হুড়োহুড়িতে আহত, ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত