alt

ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৭ শিক্ষকের অনাস্থা

প্রতিনিধি, ঢাবি : বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

দুর্নীতিসহ ১২টি অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ার?ম্যান অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিভাগের সাতজন শিক্ষক। গত ২৬ জুন উপাচার্যের কার্যালয়ে চিঠিটি জমা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

অনাস্থা জানানো সাত শিক্ষক হলেন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. মোছা. আয়েশা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক আরিফা রহমান, ড. আকিব-উল হক, সহকারী অধ্যাপক ছন্দা কর্মকার, সঞ্চারী প্রতিভা, ফারিয়া বকুল। এসব শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি বিভাগের অভ্যন্তরীণ উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি তারা। তবে চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে সাত শিক্ষক লিখেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি ও সিএন্ডডি কমিটির সভায় কথা বলতে গেলে বা তার অন্যায়কে সমর্থন না করলে আমাদের সবার প্রতিই তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং অসদাচরণ করেন। আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী সবাই তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা কেউ কেউ মানসিকভাবে নির্যাতিত ও নিপীড়িত, কেউ কেউ অত্যন্ত ভীত ও শঙ্কিত। এতে করে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অভিভাবক। এ অবস্থায় আমরা আপনার কাছে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা করছি।

দুর্নীতি ও বিভিন্ন অন্যায় কর্মকান্ডে জড়িত মনোবিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আসন্ন সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করে তা তদন্ত ও প্রতিকারের ব্যবস্থা করে মনোবিজ্ঞান বিভাগে সবার জন্য স্বাভাবিক একাডেমিক কর্মপরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখার আবেদন জানানো হয় সাত শিক্ষকের চিঠিতে।

ড. কামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে স্টোর কিপার নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। পছন্দের লোক নিয়োগের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতি মাসের সভায় শিক্ষক বা কর্মচারী নিয়োগের বা নতুন নতুন পদ সৃষ্টির এজেন্ডা দেন, যেটিকে দুর্নীতির অংশ বলে চিহ্নিত করেন সাত শিক্ষক।

আর্থিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সিএন্ডডি কমিটির অনুমোদন ছাড়া লাগামহীনভাবে অর্থ খরচ করেন চেয়ারম্যান। যে কারণে বিভাগের যৌথ একাউন্ট এবং বিভাগের ক্রয় কমিটি থেকে লিখিতভাবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন অধ্যাপক রেজাউল করিম।

মিথ্যাচার, অসদাচরণ, মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি নিয়ে আরও ৮টি অভিযোগ করা হয়েছে সাত শিক্ষকের চিঠিতে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, “এদের বিরুদ্ধে বিভাগের অন্য শিক্ষকদেরও অনাস্থা আছে। বিভাগের শিক্ষক ২০ জন, সাতজনের অনাস্থায় কিছু আসে যায় না। বিভাগের চেয়ারম্যান কি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে ভোটে নির্বাচিত হয় আবার অনাস্থা ভোটে পদত্যাগ করতে হবে?

আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়নের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কোনো অনিয়ম করিনি। একাডেমিক কাউন্সিলে মেজরিটি অনুপাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচের নিয়ম আছে। এই পাঁচ-সাত জনের কথায়তো আর বিভাগ চলে না।

ছবি

গাজীপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রেলপথ অবরোধ, বিক্ষোভ

ছবি

রাকসু: ১৭ কেন্দ্রে ভোট, নিরাপত্তায় থাকবে দুই হাজার পুলিশ

ছবি

জকসুসহ ৩ দাবিতে বাগছাস ও ছাত্র অধিকারের অনশন

ছবি

ডাকসু নির্বাচন: ভোট হাতে গণনার আবেদন উমামা ফাতেমার

ছবি

এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

ছবি

নারায়ণগঞ্জ চারুকলায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুর দাবি, প্রো-ভিসির আশ্বাস

ছবি

রাকসু: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা, ভিপি পদে ১৮

ছবি

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ১৬ অভিযোগ: নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

ছবি

রাকসু: তিন সাবেক সমন্বয়কের ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল, শিবিরের ‘ছায়ার’ গুঞ্জন

ছবি

জাকসু: ভোট গণনায় অসঙ্গতি, বৈধ ভোটের চেয়ে বেশী ভোটের হিসাব, বিজয়ী ঘোষণা করে পরে বাতিল

ছবি

রাকসু: নির্বাচনী প্রচারণায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

ছবি

রাকসু: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন হল সংসদে নির্বাচিত

ছবি

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনে ঘোষিত নয়টি প্যানেল

ছবি

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু, প্রথম দিনেই সংগ্রহ ২৮টি

ছবি

রাকসু: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাংশের প্যানেল, তবে নেই ভিপি, জিএস, এজিএস

ছবি

ডাকসুর প্রথম সভায় সিনেটের জন্য ৫ প্রতিনিধি মনোনীত

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু: মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

ছবি

রাকসুর নীতিমালা সংশোধন, লটারিতে নির্ধারিত হবে ব্যালট নম্বর

জাকসু নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায়নি: নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল

ছবি

রাকসু: আচরণবিধি ‘লঙ্ঘন’ করে চলছে প্রচার-প্রচারণা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, তবে ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি, শিবিরের প্রার্থী জিএসে বিজয়ী

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

বেরোবির দাওয়া সোসাইটি’র নবীন বরণে শিক্ষার্থীদের কুরআনসহ বিভিন্ন উপহার প্রদান

ছবি

জাকসু: অবশেষে ভোটের ফল ঘোষণা চলছে

ছবি

জাকসু নির্বাচন: আরেক কমিশনারের পদত্যাগ, অনিয়মে বর্জনের হিড়িক

ছবি

জাকসু: অবশেষে ভোট গোণা শেষ, তবে ফল ঘোষণা সন্ধ্যায়

ছবি

জাবি: রোববার ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ

ছবি

জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতে পারে শনিবার সন্ধ্যায়

ছবি

জাকসু: এবার বেলা ১টার মধ্যে ভোট গণনা ‘শেষের আশা’

ছবি

জাকসু: ৪০ ঘণ্টা পরও গণনা শেষ হয়নি

জাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অনিয়মের অভিযোগে বিবৃতি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের, অবগত নয় তালিকাভুক্ত শিক্ষক

ছবি

জাকসু: অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন তিন শিক্ষক

tab

ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৭ শিক্ষকের অনাস্থা

প্রতিনিধি, ঢাবি

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

দুর্নীতিসহ ১২টি অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ার?ম্যান অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিভাগের সাতজন শিক্ষক। গত ২৬ জুন উপাচার্যের কার্যালয়ে চিঠিটি জমা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

অনাস্থা জানানো সাত শিক্ষক হলেন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. মোছা. আয়েশা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক আরিফা রহমান, ড. আকিব-উল হক, সহকারী অধ্যাপক ছন্দা কর্মকার, সঞ্চারী প্রতিভা, ফারিয়া বকুল। এসব শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি বিভাগের অভ্যন্তরীণ উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি তারা। তবে চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে সাত শিক্ষক লিখেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি ও সিএন্ডডি কমিটির সভায় কথা বলতে গেলে বা তার অন্যায়কে সমর্থন না করলে আমাদের সবার প্রতিই তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং অসদাচরণ করেন। আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী সবাই তার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা কেউ কেউ মানসিকভাবে নির্যাতিত ও নিপীড়িত, কেউ কেউ অত্যন্ত ভীত ও শঙ্কিত। এতে করে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অভিভাবক। এ অবস্থায় আমরা আপনার কাছে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা করছি।

দুর্নীতি ও বিভিন্ন অন্যায় কর্মকান্ডে জড়িত মনোবিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আসন্ন সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করে তা তদন্ত ও প্রতিকারের ব্যবস্থা করে মনোবিজ্ঞান বিভাগে সবার জন্য স্বাভাবিক একাডেমিক কর্মপরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখার আবেদন জানানো হয় সাত শিক্ষকের চিঠিতে।

ড. কামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে স্টোর কিপার নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। পছন্দের লোক নিয়োগের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতি মাসের সভায় শিক্ষক বা কর্মচারী নিয়োগের বা নতুন নতুন পদ সৃষ্টির এজেন্ডা দেন, যেটিকে দুর্নীতির অংশ বলে চিহ্নিত করেন সাত শিক্ষক।

আর্থিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সিএন্ডডি কমিটির অনুমোদন ছাড়া লাগামহীনভাবে অর্থ খরচ করেন চেয়ারম্যান। যে কারণে বিভাগের যৌথ একাউন্ট এবং বিভাগের ক্রয় কমিটি থেকে লিখিতভাবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন অধ্যাপক রেজাউল করিম।

মিথ্যাচার, অসদাচরণ, মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি নিয়ে আরও ৮টি অভিযোগ করা হয়েছে সাত শিক্ষকের চিঠিতে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, “এদের বিরুদ্ধে বিভাগের অন্য শিক্ষকদেরও অনাস্থা আছে। বিভাগের শিক্ষক ২০ জন, সাতজনের অনাস্থায় কিছু আসে যায় না। বিভাগের চেয়ারম্যান কি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে ভোটে নির্বাচিত হয় আবার অনাস্থা ভোটে পদত্যাগ করতে হবে?

আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়নের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কোনো অনিয়ম করিনি। একাডেমিক কাউন্সিলে মেজরিটি অনুপাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচের নিয়ম আছে। এই পাঁচ-সাত জনের কথায়তো আর বিভাগ চলে না।

back to top