ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে স্কুল ছাত্র মিনারুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে এবং রবিবার পাবনার বেড়া উপজেলায় ছাত্র ফেডারেশনের মানববন্ধনে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে নতজানু আখ্যা দিয়ে এর কঠোর সমালোচনা করেন। এসময় সীমান্তে হত্যাকান্ডের জন্য দুদেশের সরকারকেই দায়ী করা হয়৷
বক্তারা বলেন, শত শত সীমান্ত হত্যার উদাহরণ আছে। কোনো হত্যার বিচার করা হয়নি। গত ৭ সেপ্টেম্বর মিনারুলকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার মরদেহ আনা সম্ভব হয়নি। ফেলানীর বিচার আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি। যারা হত্যার শিকার হয়েছে তাদের চোরাকারবারির ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। এর দায় দুই দেশের সরকারের। আমরা আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন, চোরাচালান বন্ধ করুন।
বক্তারা আরও বলেন, গতকাল পাবনার বেড়ায় ছাত্র ফেডারেশনের উপর যে হামলা হয়। তার বিচার করতে হবে। তারা মূলত ভারতকে খুশি রাখতে এ হামলা করছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আবারও বলছি এ নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে আসতে হবে।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড বলেন, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করায় পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ছাত্র ফেডারেশনের লিমন সরকারসহ ১০ জন ছাত্রনেতা আহত হয়। ছাত্রলীগের গুণ্ডারা যখন হামলা করছে পুলিশ সেখানে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত মিনারের পরিবার লাশ পায়নি। আমরা পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি একের পর এক পতাকা বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু লাশ তারা হস্তান্তর করেনি। আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী এ খবর পেয়ে নিন্দা জানাবেন। আমরা দেখলাম সীমান্ত হত্যা নিয়ে একটি শব্দ হয়নি। সীমান্তে ভারী অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবি দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে। কিন্তু সরকারের উচ্চ মহল সে দাবি এখনও বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। আজকে বাংলাদেশের লাশের উপর দাঁড়িয়ে তারা গদি রক্ষায় মগ্ন। গদির কাছে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ, মানুষের জীবন ও আমাদের সার্বভৌমত্ব সবকিছু ধুলোয় মিশে গেছে।
সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে স্কুল ছাত্র মিনারুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে এবং রবিবার পাবনার বেড়া উপজেলায় ছাত্র ফেডারেশনের মানববন্ধনে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে নতজানু আখ্যা দিয়ে এর কঠোর সমালোচনা করেন। এসময় সীমান্তে হত্যাকান্ডের জন্য দুদেশের সরকারকেই দায়ী করা হয়৷
বক্তারা বলেন, শত শত সীমান্ত হত্যার উদাহরণ আছে। কোনো হত্যার বিচার করা হয়নি। গত ৭ সেপ্টেম্বর মিনারুলকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার মরদেহ আনা সম্ভব হয়নি। ফেলানীর বিচার আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি। যারা হত্যার শিকার হয়েছে তাদের চোরাকারবারির ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। এর দায় দুই দেশের সরকারের। আমরা আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন, চোরাচালান বন্ধ করুন।
বক্তারা আরও বলেন, গতকাল পাবনার বেড়ায় ছাত্র ফেডারেশনের উপর যে হামলা হয়। তার বিচার করতে হবে। তারা মূলত ভারতকে খুশি রাখতে এ হামলা করছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আবারও বলছি এ নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে আসতে হবে।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড বলেন, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করায় পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ছাত্র ফেডারেশনের লিমন সরকারসহ ১০ জন ছাত্রনেতা আহত হয়। ছাত্রলীগের গুণ্ডারা যখন হামলা করছে পুলিশ সেখানে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত মিনারের পরিবার লাশ পায়নি। আমরা পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি একের পর এক পতাকা বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু লাশ তারা হস্তান্তর করেনি। আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী এ খবর পেয়ে নিন্দা জানাবেন। আমরা দেখলাম সীমান্ত হত্যা নিয়ে একটি শব্দ হয়নি। সীমান্তে ভারী অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবি দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে। কিন্তু সরকারের উচ্চ মহল সে দাবি এখনও বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। আজকে বাংলাদেশের লাশের উপর দাঁড়িয়ে তারা গদি রক্ষায় মগ্ন। গদির কাছে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ, মানুষের জীবন ও আমাদের সার্বভৌমত্ব সবকিছু ধুলোয় মিশে গেছে।