ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘কোড সামুরাই—আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন ২০২২’ শীর্ষক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে হ্যাকাথনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) শিক্ষার্থীদের ৫০টি দল অংশ নিচ্ছে।
ঢাবির সিএসই বিভাগ এবং বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিজেআইটি) যৌথভাবে এ হ্যাকাথনের আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই হ্যাকাথন আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হ্যাকাথনের মতো প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে, যা সর্বোপরি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এসময় হ্যাকাথনের আয়োজক ও এ আয়োজনের সঙ্গে থাকার জন্য জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প দিয়েছিলাম। তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ কি এটা অনেকেই বুঝতে পারেনি। সে সময় বিষয়টি স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল, যা এখন বাস্তব হয়ে আমাদের সামনে এসেছে। ২০০৯ সালে মাত্র ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত। এখন দেশে ১৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সেবা পাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, ই-কমার্স সল্যুশন কোম্পানি ওয়ানপ্রুফ কর্পোরেশনের সিইও ইঝুমি হিরাইয়ামা, মারুবেনি কর্পোরেশনের ঢাকা অফিসের ম্যানেজার হিকারী কাওয়াই ও কোড-সামুরাই সদস্য ইয়োশিহিরো আকাশি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মো. তারিক। সঞ্চালনা করেন হ্যাকাথন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশীদ।
আয়োজকরা জানান, উদ্বোধনের পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সিএসই বিভাগের ল্যাবে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। টানা ২৪ ঘণ্টার এ হ্যাকাথন পরের দিন অর্থাৎ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিযোগিতা চলাকালে শিক্ষক, গবেষক, প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট খাতের পেশাজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল প্রতিযোগীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও বিচার করবেন।
বুধবার বিকেল ৪টায় টিএসসি মিলনায়তনে হ্যাকাথনের সমাপন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতসহ বিশিষ্ট অতিথিরা সমাপনী আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন।
এবারের কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথনে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সমাপনী সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্ব রয়েছে। পাশাপাশি জাপানের জনপ্রিয় জাদুশিল্পী সূত ওগাওয়া সমাপন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা পরিবেশন করবেন।
মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘কোড সামুরাই—আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন ২০২২’ শীর্ষক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে হ্যাকাথনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) শিক্ষার্থীদের ৫০টি দল অংশ নিচ্ছে।
ঢাবির সিএসই বিভাগ এবং বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিজেআইটি) যৌথভাবে এ হ্যাকাথনের আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই হ্যাকাথন আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হ্যাকাথনের মতো প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে, যা সর্বোপরি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এসময় হ্যাকাথনের আয়োজক ও এ আয়োজনের সঙ্গে থাকার জন্য জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প দিয়েছিলাম। তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ কি এটা অনেকেই বুঝতে পারেনি। সে সময় বিষয়টি স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল, যা এখন বাস্তব হয়ে আমাদের সামনে এসেছে। ২০০৯ সালে মাত্র ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত। এখন দেশে ১৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সেবা পাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, ই-কমার্স সল্যুশন কোম্পানি ওয়ানপ্রুফ কর্পোরেশনের সিইও ইঝুমি হিরাইয়ামা, মারুবেনি কর্পোরেশনের ঢাকা অফিসের ম্যানেজার হিকারী কাওয়াই ও কোড-সামুরাই সদস্য ইয়োশিহিরো আকাশি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মো. তারিক। সঞ্চালনা করেন হ্যাকাথন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশীদ।
আয়োজকরা জানান, উদ্বোধনের পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সিএসই বিভাগের ল্যাবে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। টানা ২৪ ঘণ্টার এ হ্যাকাথন পরের দিন অর্থাৎ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিযোগিতা চলাকালে শিক্ষক, গবেষক, প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট খাতের পেশাজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল প্রতিযোগীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও বিচার করবেন।
বুধবার বিকেল ৪টায় টিএসসি মিলনায়তনে হ্যাকাথনের সমাপন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতসহ বিশিষ্ট অতিথিরা সমাপনী আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন।
এবারের কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথনে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সমাপনী সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্ব রয়েছে। পাশাপাশি জাপানের জনপ্রিয় জাদুশিল্পী সূত ওগাওয়া সমাপন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা পরিবেশন করবেন।