alt

ইতিহাস লিখছি, তবে জীবদ্দশায় প্রকাশ পেলে ছেলেসহ আমাকে মেরে ফেলবে : অধ্যাপক ফারজানা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

উপাচার্য থাকাকালীন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে বই লেখা শুরু করেছেন বলেন স¤প্রতি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তবে জীবিত অবস্থায় বইটি প্রকাশ পেলে ছেলেসহ তাকে মেরে ফেলার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, কেন গত নয় মাসে একটা আন্দোলনও হয়নি। আর কেনইবা আমি যখন ২০১৪ সালে প্রথম দায়িত্ব নিলাম সেদিনই গুলি ফুটানো হলো। আমি তো নির্বাচন করেই এসেছিলাম। কিন্তু সেদিকে এটেনশন না রেখে কেন সব এটেনশন নেয়া হলো এমএইচ হলের দিকে? ইতিহাস অন্যরকম। এখন আমি সেই ইতিহাস লিখছি। তবে সেই ইতিহাস বস্তাবন্দী করে এমন জায়গায় রাখবো যাতে আমার জীবদ্দশায় বের না হয়। কেননা আমার জীবদ্দশায় বের হলে তারা তো আমাকে মারবেই আমার ছেলেকেও মারবে।

তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও সরকার রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই সময়ের প্রক্টর আমাকে রক্ষা করেনি। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনকে রক্ষা করে যাচ্ছেন। এই ভিসি কীভাবে এসেছে? তার প্রো-ভিসি হওয়ার সময় আমি কি তার জন্য সুপারিশ করিনি?

উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যে টাকা ছাড় হয়নি সেই টাকা আমি কীভাবে খরচ করে ফেললাম? এটা বলা ঠিক না। এটা যদি আমার সময়ে কেউ করে থাকে কাউকে খুশি করতে, এর দায়-দায়িত্ব আমি নেব না।

তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ব্যাপারে ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘দুদক তদন্ত করেছে না কে করেছে, কোন দিল আফরোজা বেগম (ইউজিসি সদস্য) কী বলেছে সেসব আমার কানে এসেছে। উনি তো আমাদের সবকিছুতেই বাধা দেন।’

দর্শন বিভাগের ৬ জন শিক্ষক নিয়োগের প্রসঙ্গ তুলে সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের বোর্ডটাকে তিনি (দিল আফরোজা বেগম) বাধা দিয়েছিলেন নিয়মকানুন জানেন না বলে। আমরা হাইকোর্টে আপিল করে সেটা ছাড় পাই। সবসময় যে ইউজিসির মেম্বাররা আমাদের চেয়ে বেশি জানেন এটা নয়। কেননা উনারা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়েননি।’

আগামী ২৫ ফেব্রæয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এ বিষয়ে সাবেক এই উপাচার্যের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাবর্তন প্রতি বছর হওয়া উচিত। আমি এর আগেও এটা বলেছি। কিন্তু আমার সময় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ ছিল। কেউ আমাকে প্রটেক্ট করেনি। প্রো-ভিসিরাও আমাকে প্রটেক্ট করেনি, প্রক্টরও আমাকে প্রটেক্ট করেনি। এত আন্দোলন তখন কেন হয়েছে? এখন এক বেলা আন্দোলন হয় না। এটার কারণ সাংবাদিকরা বের করতে পারলে তারা সার্থক হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পান অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এরপর ২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির আদেশে দেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি আচার্যের নির্বাহী আদেশে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান ফারজানা ইসলাম। উপাচার্যের প্রথম মেয়াদে মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে প্রশাসন চালাতে পারলেও দ্বিতীয় মেয়াদে সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি তিনি।

নিয়োগ-বাণিজ্য, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এছাড়া ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ‘ঈদ সেলামি’ দেয়ার অভিযোগে কঠোর আন্দোলনের মুখে পড়েন ফারজানা ইসলাম। যে আন্দোলন উপাচার্যের দায়িত্বের শেষ অবধি চলমান ছিল।

ছবি

১৫ মাস জেলে থেকেও এতটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হইনি: জিএসপ্রার্থী খাদিজা

ব্যানার টানানো নিয়ে দ্বন্দ্ব: তিতুমীর কলেজে শিবির ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ

ছবি

বিকাল ৫টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল খালি করার নির্দেশ

ছবি

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ দিনের ছুটি, রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

ভূমিকম্প আতঙ্ক: জবি বন্ধ ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত, বাসে বাড়ি, অনলাইনে ক্লাস শুরু ৩০ নভেম্বর

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ভূমিকম্পে আতঙ্ক, হুড়োহুড়িতে আহত, ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

রাবি: বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি, রেলপথ অবরোধ

ছবি

ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাড়ির গেটে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা, আহত ৩

ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা প্রকাশ, নেগেটিভ মার্ক থাকছে

ছবি

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা, আহত ৩

ছবি

বিতার্কিক ও সাংবাদিকদের নেতৃত্বে জকসুতে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সংসদ’

ছবি

বিতার্কিক ও সংবাদ কর্মীদের নেতৃত্বে জকসুতে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সংসদ

ছবি

জকসু: কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে ২৪৯ জনের মনোনয়ন জমা, চলছে যাচাই-বাছাই

ছবি

জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সভাপতি জুনায়েদ, সেক্রেটারি কায়েস

ছবি

জকসু: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

ছবি

জকসু: তাওসিন-আরাফের নেতৃত্বে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল

ছবি

ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লাহ ফটোকার্ড পোস্টের ঘটনায় আটক

ছবি

জকসু: ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’কে সমর্থন করে মনোনয়ন প্রত্যাহার ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের

ছবি

জকসু: ছাত্রশক্তির ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা

ছবি

জকসু: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

ছবি

জবি ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক জয়, যুগ্নআহ্বায়ক সামিরা ও রাহিম

ছবি

‘আগুন পাখি’ খ্যাত সাহিত্যিককে স্মরণ করলো না রাবি প্রশাসন ও তার বিভাগ

ছবি

জকসুতে বামজোটের মাওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেল

ছবি

ধানমন্ডি বত্রিশের বাড়ি ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানালেন রাকসুর জিএস আম্মার

ছবি

জকসু: বামদের নেতৃত্বে ‘মাওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেল ঘোষণা

ছবি

জকসু: ছাত্রদল ও ছাত্রঅধিকারের যৌথ ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা

ছবি

শাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ১৭ ডিসেম্বরই ভোট

ছবি

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হলেন খাদিজা

ছবি

রাবিতে নবীনবরণ: এক মঞ্চে রাকসু, ডাকসু ও চাকসুর ভিপি

ছবি

ঢাবি রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

ছবি

ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাবেক নেতা আটক

ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু: সম্মিলিত ছাত্র সংসদের বিবৃতি

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

ছবি

রাকসু জিএসের সঙ্গে বাকবিতন্ডা, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চাইলেন রাকসুর প্রতিনিধিরা

ছবি

‘সোহ্রাওয়ার্দীতে গাঁজা বেঁচতে নিষেধ করায় ছাত্রদল নেতা সাম্যকে হত্যা’: ডিবি

tab

ইতিহাস লিখছি, তবে জীবদ্দশায় প্রকাশ পেলে ছেলেসহ আমাকে মেরে ফেলবে : অধ্যাপক ফারজানা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

উপাচার্য থাকাকালীন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে বই লেখা শুরু করেছেন বলেন স¤প্রতি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তবে জীবিত অবস্থায় বইটি প্রকাশ পেলে ছেলেসহ তাকে মেরে ফেলার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, কেন গত নয় মাসে একটা আন্দোলনও হয়নি। আর কেনইবা আমি যখন ২০১৪ সালে প্রথম দায়িত্ব নিলাম সেদিনই গুলি ফুটানো হলো। আমি তো নির্বাচন করেই এসেছিলাম। কিন্তু সেদিকে এটেনশন না রেখে কেন সব এটেনশন নেয়া হলো এমএইচ হলের দিকে? ইতিহাস অন্যরকম। এখন আমি সেই ইতিহাস লিখছি। তবে সেই ইতিহাস বস্তাবন্দী করে এমন জায়গায় রাখবো যাতে আমার জীবদ্দশায় বের না হয়। কেননা আমার জীবদ্দশায় বের হলে তারা তো আমাকে মারবেই আমার ছেলেকেও মারবে।

তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও সরকার রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই সময়ের প্রক্টর আমাকে রক্ষা করেনি। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনকে রক্ষা করে যাচ্ছেন। এই ভিসি কীভাবে এসেছে? তার প্রো-ভিসি হওয়ার সময় আমি কি তার জন্য সুপারিশ করিনি?

উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যে টাকা ছাড় হয়নি সেই টাকা আমি কীভাবে খরচ করে ফেললাম? এটা বলা ঠিক না। এটা যদি আমার সময়ে কেউ করে থাকে কাউকে খুশি করতে, এর দায়-দায়িত্ব আমি নেব না।

তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ব্যাপারে ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘দুদক তদন্ত করেছে না কে করেছে, কোন দিল আফরোজা বেগম (ইউজিসি সদস্য) কী বলেছে সেসব আমার কানে এসেছে। উনি তো আমাদের সবকিছুতেই বাধা দেন।’

দর্শন বিভাগের ৬ জন শিক্ষক নিয়োগের প্রসঙ্গ তুলে সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের বোর্ডটাকে তিনি (দিল আফরোজা বেগম) বাধা দিয়েছিলেন নিয়মকানুন জানেন না বলে। আমরা হাইকোর্টে আপিল করে সেটা ছাড় পাই। সবসময় যে ইউজিসির মেম্বাররা আমাদের চেয়ে বেশি জানেন এটা নয়। কেননা উনারা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়েননি।’

আগামী ২৫ ফেব্রæয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এ বিষয়ে সাবেক এই উপাচার্যের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাবর্তন প্রতি বছর হওয়া উচিত। আমি এর আগেও এটা বলেছি। কিন্তু আমার সময় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ ছিল। কেউ আমাকে প্রটেক্ট করেনি। প্রো-ভিসিরাও আমাকে প্রটেক্ট করেনি, প্রক্টরও আমাকে প্রটেক্ট করেনি। এত আন্দোলন তখন কেন হয়েছে? এখন এক বেলা আন্দোলন হয় না। এটার কারণ সাংবাদিকরা বের করতে পারলে তারা সার্থক হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পান অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এরপর ২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির আদেশে দেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি আচার্যের নির্বাহী আদেশে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান ফারজানা ইসলাম। উপাচার্যের প্রথম মেয়াদে মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে প্রশাসন চালাতে পারলেও দ্বিতীয় মেয়াদে সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি তিনি।

নিয়োগ-বাণিজ্য, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এছাড়া ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ‘ঈদ সেলামি’ দেয়ার অভিযোগে কঠোর আন্দোলনের মুখে পড়েন ফারজানা ইসলাম। যে আন্দোলন উপাচার্যের দায়িত্বের শেষ অবধি চলমান ছিল।

back to top