alt

নগর-মহানগর

ইউনাইটেডে আয়ানের মৃত্যু

রিটের বিষয়ে শুনানি ও আদেশ আজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর শিশু আয়ানের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা রিটের বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর আনন্দ নিয়েই রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সুন্নতে খতনা করান চিকিৎসক। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার।

স্বজনরা জানান, আয়ানের সুন্নতে খতনার দিন অপারেশন থিয়েটারে মূলত ওই মেডিকেল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভেতরে ছিলেন। টানা সাতদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এদিকে, ২৫ জানুয়ারি আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়। খতনার পর শিশু আয়ানের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশকে ‘হাস্যকর’ ও ‘এক ধরনের আইওয়াশ’ বলে অভিহিত করেছিলেন হাইকোর্ট। প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে ওইদিন সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

ওইদিন শুনানিতে আদালত বলেছেন, শিশুটির ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা ছিল, তাহলে তো অস্ত্রোপচার চলবে না। অ্যানেসথেসিয়া (অস্ত্রোপচারের জন্য অবেদন) দিলে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এতো তাড়াহুড়োর কী ছিল? অবহেলা বোঝা যাচ্ছে প্রক্রিয়ায়। প্রতিবেদন উপস্থাপনের একপর্যায়ে আদালত আরও বলেন, যাদের বাইপাস (সার্জারি) হয়েছে, তাদের এতো ওষুধ লাগে না। এতো ওষুধ দিয়েছেন!

‘লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরল না আয়ান: খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যু’ শিরোনামে ৮ জানুয়ারি একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকশ করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ ৯ জানুয়ারি একটি রিট করেন। রিটে আবেদনকারী হিসেবে শিশুটির বাবা শামীম আহমেদ যুক্ত হন। শুনানি নিয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা কীভাবে ও কোন কারণে ঘটেছে তা যথাযথ অনুসন্ধানে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলা পেলে জড়িত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও বলেন হাইকোর্ট। শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া আরজু। রিটের পক্ষে আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। শুনানির সময় শিশুটির বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানির শুরুতে প্রতিবেদন থেকে দুজন চিকিৎসক ও শিশুটির বাবার বক্তব্য তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। একপর্যায়ে আদালত বলেন, ময়নাতদন্ত হয়েছিল? তখন ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, একটি ফৌজদারি মামলায় হয়েছে, ময়নাতদন্ত হয়েছে।

চিকিৎসকসহ শিশুটির বাবার বক্তব্য উপস্থাপনের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, বেশ কিছু মেডিকেল টার্ম (চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহৃত শব্দ) আছে। পর্যবেক্ষণ অংশ একজন চিকিৎসক তুলে ধরবেন। এরপর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ অংশ তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (আইন শাখা) পরিমল কুমার পাল। তিনি বলেন, পিএসিইউ করার সময় আয়ানের ওজন ১৮ কেজি লিপিবদ্ধ করা হয়। এ সময় আদালত বলেন, ওজন হলো প্রথম শর্ত। কিন্তু যখনই দেখা গেল তার সমস্যা আছে, তখন অস্ত্রোপচার রাখা উচিত ছিল।

এরপর আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ শুনানিতে বলেন, প্রতিবেদনটিতে হেরফের (ম্যানিপুলেটেড) রয়েছে। যিনি অ্যানেসথেসিয়া দিয়েছেন, সাব্বির আহমেদ। বিএমডিসির ওয়েবসাইটে দেখেছি অ্যানেসথেসিয়ার ওপর তিনি ডিপ্লোমা করেছেন। পাস করেছেন ২০২২ সালে।

প্রতিবেদনে উল্লেখিত চার সুপারিশের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে হাসপাতালে একাধিক অ্যানেসথেসিওলজিস্ট (অবেদনবিদ) নিয়োগ দেওয়া; যা শুনানিতে তুলে ধরেন আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ। একপর্যায়ে আদালত বলেন, পুরোটাই হাস্যকর। আদালত বলেন, হাসপাতালের অনুমোদন আছে? তখন আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ বলেন, সরকারের অনুমোদনের পরে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা এবং হাসপাতালে আইসিইউ ব্যবস্থা রাখার কথা সুপারিশে বলা হয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, এটা একধরনের আই ওয়াশ (লোক দেখানো)। রিট আবেদনকারী আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ বলেন, এটি ম্যানিপুলেট রিপোর্ট। অধিকতর তদন্ত চাই। তখন আদালত বলেন, হলফনামা আকারে বক্তব্য দাখিল করেন।

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তে আগের সরকারের বাধার অভিযোগ

ছবি

বিডিআর বিদ্রোহ: চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন

ছবি

শাহবাগে আবারও ফিরে আসলেন প্রাথমিক-এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশীরা

কাউন্টার পদ্ধতিতে বাস চালানো নিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শাহবাগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে হাড়ের আলামত সংগ্রহ

ছবি

ঢাকায় ‘অস্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক’ বায়ুদূষণ আজ, স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ

ছবি

সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সংঘর্ষ: দুই ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ছবি

চমেক হাসপাতালে নতুন সিটিস্ক্যানে সেবা পাচ্ছে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ রোগী

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের লাঠিচার্জ

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্টে কিছুই মেলেনি

ছবি

৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

ছবি

সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান

ছবি

বিএসএমএমইউর নাম বদলে নতুন ব্যানার লাগালো ছাত্র-জনতা

ছবি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওভারস্পিডিংয়ে মামলা দেবে পুলিশ

ছবি

শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ প্রত্যাহার

ছবি

জাহিদ মালেক ও তার ছেলের ২৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

ধানমন্ডি ৩২ ও সুধা সদনে লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ

ছবি

ধানমন্ডি ৩২-এ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় দুইজনকে পিটুনি

ছবি

শাহবাগ মোড় অবরোধ শহীদ পরিবারের স্বজনদের

ছবি

ধানমন্ডি ৩২-এ বিক্ষোভকারীদের হামলা ও ভাঙচুর

ছবি

টিকিট কেটে উঠতে হবে, যত্রতত্র ওঠানামা করা যাবে না

ছবি

সপ্তাহজুড়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

ছবি

‘বুলডোজার মিছিল’ঃ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ, সেই বাড়িতে ভাঙচুর

ছবি

মিডিয়াকে গণহত্যাকারী হাসিনার ভাষণ প্রচারের অভিযোগ

ছবি

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

ছবি

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলীর বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা

ছবি

জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে নির্বাচনের সময়

ছবি

নগদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

ছবি

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের আন্দোলন: চাকরি পুনর্বহালের দাবি

ছবি

আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করায় শিক্ষক মুকিব আটক

ছবি

মায়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে নিখোঁজ সুবা, ক্যামেরায় যা দেখা গেলো

ছবি

টানা তৃতীয় দিন বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

ছবি

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন, আলোচনায় বসতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

তিতুমীর কলেজের আন্দোলন স্থগিত

ছবি

কামাল আহমেদ মজুমদারের কান্না, আদালতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

tab

নগর-মহানগর

ইউনাইটেডে আয়ানের মৃত্যু

রিটের বিষয়ে শুনানি ও আদেশ আজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর শিশু আয়ানের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা রিটের বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর আনন্দ নিয়েই রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সুন্নতে খতনা করান চিকিৎসক। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার।

স্বজনরা জানান, আয়ানের সুন্নতে খতনার দিন অপারেশন থিয়েটারে মূলত ওই মেডিকেল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভেতরে ছিলেন। টানা সাতদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এদিকে, ২৫ জানুয়ারি আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়। খতনার পর শিশু আয়ানের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশকে ‘হাস্যকর’ ও ‘এক ধরনের আইওয়াশ’ বলে অভিহিত করেছিলেন হাইকোর্ট। প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে ওইদিন সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

ওইদিন শুনানিতে আদালত বলেছেন, শিশুটির ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা ছিল, তাহলে তো অস্ত্রোপচার চলবে না। অ্যানেসথেসিয়া (অস্ত্রোপচারের জন্য অবেদন) দিলে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এতো তাড়াহুড়োর কী ছিল? অবহেলা বোঝা যাচ্ছে প্রক্রিয়ায়। প্রতিবেদন উপস্থাপনের একপর্যায়ে আদালত আরও বলেন, যাদের বাইপাস (সার্জারি) হয়েছে, তাদের এতো ওষুধ লাগে না। এতো ওষুধ দিয়েছেন!

‘লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরল না আয়ান: খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যু’ শিরোনামে ৮ জানুয়ারি একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকশ করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ ৯ জানুয়ারি একটি রিট করেন। রিটে আবেদনকারী হিসেবে শিশুটির বাবা শামীম আহমেদ যুক্ত হন। শুনানি নিয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা কীভাবে ও কোন কারণে ঘটেছে তা যথাযথ অনুসন্ধানে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলা পেলে জড়িত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও বলেন হাইকোর্ট। শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া আরজু। রিটের পক্ষে আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। শুনানির সময় শিশুটির বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানির শুরুতে প্রতিবেদন থেকে দুজন চিকিৎসক ও শিশুটির বাবার বক্তব্য তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। একপর্যায়ে আদালত বলেন, ময়নাতদন্ত হয়েছিল? তখন ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, একটি ফৌজদারি মামলায় হয়েছে, ময়নাতদন্ত হয়েছে।

চিকিৎসকসহ শিশুটির বাবার বক্তব্য উপস্থাপনের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, বেশ কিছু মেডিকেল টার্ম (চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহৃত শব্দ) আছে। পর্যবেক্ষণ অংশ একজন চিকিৎসক তুলে ধরবেন। এরপর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ অংশ তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (আইন শাখা) পরিমল কুমার পাল। তিনি বলেন, পিএসিইউ করার সময় আয়ানের ওজন ১৮ কেজি লিপিবদ্ধ করা হয়। এ সময় আদালত বলেন, ওজন হলো প্রথম শর্ত। কিন্তু যখনই দেখা গেল তার সমস্যা আছে, তখন অস্ত্রোপচার রাখা উচিত ছিল।

এরপর আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ শুনানিতে বলেন, প্রতিবেদনটিতে হেরফের (ম্যানিপুলেটেড) রয়েছে। যিনি অ্যানেসথেসিয়া দিয়েছেন, সাব্বির আহমেদ। বিএমডিসির ওয়েবসাইটে দেখেছি অ্যানেসথেসিয়ার ওপর তিনি ডিপ্লোমা করেছেন। পাস করেছেন ২০২২ সালে।

প্রতিবেদনে উল্লেখিত চার সুপারিশের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে হাসপাতালে একাধিক অ্যানেসথেসিওলজিস্ট (অবেদনবিদ) নিয়োগ দেওয়া; যা শুনানিতে তুলে ধরেন আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ। একপর্যায়ে আদালত বলেন, পুরোটাই হাস্যকর। আদালত বলেন, হাসপাতালের অনুমোদন আছে? তখন আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ বলেন, সরকারের অনুমোদনের পরে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা এবং হাসপাতালে আইসিইউ ব্যবস্থা রাখার কথা সুপারিশে বলা হয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, এটা একধরনের আই ওয়াশ (লোক দেখানো)। রিট আবেদনকারী আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ বলেন, এটি ম্যানিপুলেট রিপোর্ট। অধিকতর তদন্ত চাই। তখন আদালত বলেন, হলফনামা আকারে বক্তব্য দাখিল করেন।

back to top