বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঢাকা ওয়াসার চলমান উন্নয়ন জ্বালানি ও পানির মূল্য সমন্বয় নাগরিকদের প্রত্যাশা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী মকবুল ইলাহী চৌধুরী বলেন, তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার যুক্ত করার প্রকল্প কেন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। গ্যাসের অপচয় যদি রোধ করা যায় তাহলে ১৫০ মিলিয়ন ট্রিউবিক গ্যাস ডাকাতি রোধ করা সম্ভব। যে গ্যাসের মাধ্যমে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব যার দাম পড়তো দুই টাকা প্রতি ইউনিট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন করা গেলে আমদানি নির্ভরতা কমানো যেত। ঢাকা ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন পদ্মা এবং মেঘনা থেকে সেই সাথে ভূগর্ভস্থ পানির উৎপাদন এর কারণেই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বুড়িগঙ্গা এবং শীতলক্ষ্মার পানি দূষণমুক্ত করে সরবরাহ করার অনুরোধ করেন।
সিপিপির সাধারণ সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ,খুলনা ওয়াসার পানির মূল্য বছর বছর একাধিকবার পানির দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। অপচয় জবাবদিহিতা না থাকা এবং মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মিঠা পানির দেশে এটা যে মূল্য সন্ত্রাস তা বলাই শ্রেয়। জ্বালানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন দেশের নবানযোগ্য জ্বালানি রয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ,পানি এগুলোর পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে খরচ কমে আসত। এক্ষেত্রে সরকারের জবাবদিহিতা না থাকা এবং ভুলনীতি উৎপাদন ব্যয়ের অন্যতম কারণ। মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা কতটুকু তা আলোচনা সুযোগ দিন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে অযৌক্তিক খরচের হিসাব দুর্নীতি ও ভুলনীতি বেরিয়ে আসতো যা জনগণ জানতে পারতো।
ঢাকা ওয়াসার উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক উত্তম কুমার রায় বলেন ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি করার এখন খুব একটা সুযোগ নেই। আমরা গ্রাহকদেরকে মেসেজের মাধ্যমে তাদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও সমাধান করার চেষ্টা করি। যদি আপনারা মনে করেন যে কোথাও দুর্নীতি হচ্ছে তার সঠিক তথ্য নিয়ে আসেন আমরা তার জবাব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা খাবার পানি সরবরাহ করে থাকি কিন্তু গ্রাহকের অসচেতনতা, এবং সাপ্লাই পাইপলাইনে লিকেজ থাকায় গ্রাহক খাবার পানি পাচ্ছে না বা দুর্গন্ধযুক্ত পানি পাচ্ছে এই অভিযোগ অস্বীকার করার মত নয়। তবে আমাদের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ হলে আশা রাখি শতভাগ সুপেয় পানি গ্রাহককে উপহার দিতে পারব। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম ঢাকা ওয়াসার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং গ্রাহক ভোগান্তিতে করণীয় বিষয় এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি আরো বলেন আমরা দেশের অভ্যন্তরে ব্যাংক থেকে কোন ঋণ সংগ্রহ করি না। বিদেশি ব্যাংকের অধীনে সুদের হার কম থাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় আমরা তা দিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। শতভাগ জবাবদিহিতা কুয়াশা নিশ্চিত করছে। গ্রাহকের অভিযোগ শুনতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় সভা আমরা অনুষ্ঠিত করে যাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান ডলার সংকট, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি সাথে পানি এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে তবে তা অবশ্যই জবাবদিহিতার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। গণ শুনানির ব্যবস্থা জ্বালানি ও পানির ক্ষেত্রে পুনরায় চালু করতে হবে। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবেগ উপপরিচালক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস , দুই বক্তাই ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪
বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঢাকা ওয়াসার চলমান উন্নয়ন জ্বালানি ও পানির মূল্য সমন্বয় নাগরিকদের প্রত্যাশা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী মকবুল ইলাহী চৌধুরী বলেন, তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার যুক্ত করার প্রকল্প কেন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। গ্যাসের অপচয় যদি রোধ করা যায় তাহলে ১৫০ মিলিয়ন ট্রিউবিক গ্যাস ডাকাতি রোধ করা সম্ভব। যে গ্যাসের মাধ্যমে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব যার দাম পড়তো দুই টাকা প্রতি ইউনিট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন করা গেলে আমদানি নির্ভরতা কমানো যেত। ঢাকা ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন পদ্মা এবং মেঘনা থেকে সেই সাথে ভূগর্ভস্থ পানির উৎপাদন এর কারণেই উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বুড়িগঙ্গা এবং শীতলক্ষ্মার পানি দূষণমুক্ত করে সরবরাহ করার অনুরোধ করেন।
সিপিপির সাধারণ সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ,খুলনা ওয়াসার পানির মূল্য বছর বছর একাধিকবার পানির দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। অপচয় জবাবদিহিতা না থাকা এবং মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মিঠা পানির দেশে এটা যে মূল্য সন্ত্রাস তা বলাই শ্রেয়। জ্বালানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন দেশের নবানযোগ্য জ্বালানি রয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ,পানি এগুলোর পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে খরচ কমে আসত। এক্ষেত্রে সরকারের জবাবদিহিতা না থাকা এবং ভুলনীতি উৎপাদন ব্যয়ের অন্যতম কারণ। মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা কতটুকু তা আলোচনা সুযোগ দিন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে অযৌক্তিক খরচের হিসাব দুর্নীতি ও ভুলনীতি বেরিয়ে আসতো যা জনগণ জানতে পারতো।
ঢাকা ওয়াসার উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক উত্তম কুমার রায় বলেন ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি করার এখন খুব একটা সুযোগ নেই। আমরা গ্রাহকদেরকে মেসেজের মাধ্যমে তাদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও সমাধান করার চেষ্টা করি। যদি আপনারা মনে করেন যে কোথাও দুর্নীতি হচ্ছে তার সঠিক তথ্য নিয়ে আসেন আমরা তার জবাব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা খাবার পানি সরবরাহ করে থাকি কিন্তু গ্রাহকের অসচেতনতা, এবং সাপ্লাই পাইপলাইনে লিকেজ থাকায় গ্রাহক খাবার পানি পাচ্ছে না বা দুর্গন্ধযুক্ত পানি পাচ্ছে এই অভিযোগ অস্বীকার করার মত নয়। তবে আমাদের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ হলে আশা রাখি শতভাগ সুপেয় পানি গ্রাহককে উপহার দিতে পারব। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম ঢাকা ওয়াসার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং গ্রাহক ভোগান্তিতে করণীয় বিষয় এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি আরো বলেন আমরা দেশের অভ্যন্তরে ব্যাংক থেকে কোন ঋণ সংগ্রহ করি না। বিদেশি ব্যাংকের অধীনে সুদের হার কম থাকা এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় আমরা তা দিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। শতভাগ জবাবদিহিতা কুয়াশা নিশ্চিত করছে। গ্রাহকের অভিযোগ শুনতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় সভা আমরা অনুষ্ঠিত করে যাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান ডলার সংকট, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি সাথে পানি এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে তবে তা অবশ্যই জবাবদিহিতার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। গণ শুনানির ব্যবস্থা জ্বালানি ও পানির ক্ষেত্রে পুনরায় চালু করতে হবে। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবেগ উপপরিচালক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস , দুই বক্তাই ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।