এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় মামলার তদন্তকাজ স্বাধীনভাবে এগিয়ে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, এমপি আজীম হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে চলছে। তদন্তে কারও হস্তক্ষেপ বা কোনো চাপ নেই। স্বাধীনভাবে আমরা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল ডিএমপি সদরদপ্তরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো চাপ বা এ বিষয়ে কোনো তদবির আসছে কিনা? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে চলেছে। এমপি আজীম হত্যা মামলার তদন্ত যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেই। স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমপি আজীমের নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বর্তমানে ৮ দিনের রিমান্ডে আছেন। এ হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত কয়েকজনের সঙ্গে মিন্টুর যোগাযোগ, কিলার আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম আসা, তার আগে থেকে আজীমের সঙ্গে মিন্টুর দ্বন্দ্ব, এসব বিষয় সামনে এনে ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঢাকা মহনগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার রয়েছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে প্রথমে গ্রেপ্তার হন আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সেলেস্টি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া। এরপর আজীম হত্যাকান্ডে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ কারণে গ্রেপ্তার হন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মিন্টু যখন আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে হত্যার বিষয়ে আলোচনা করেন- তখন থেকেই নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ক্রমেই যাতে তার সংশ্লিষ্টতা বুঝতে না পারে সেজন্য শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন রিমান্ডে থাকা তার ঘনিষ্ট আরেক আওয়ামী লীগ নেতা গ্যাস বাবুর মাধ্যমে। শাহিন কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দেয়া আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে নামান।
কিলিং মিশন শেষ করে আসার পর ২৩ মে শিমুল ভূঁইয়াকে ২ কোটি টাকা দেয়ার কথা ছিল মিন্টুর। কিন্তু তার আগেই ভাতিজা তানভিরসহ গ্রেপ্তার হয়ে যান শিমুল ভূঁইয়া। আক্তারুজ্জামান শাহিনও কয়েক ধাপে ৫ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন শিমুল ভূঁইয়াকে। কিন্তু গ্রেপ্তার হয়ে যাওয়ায় সেই টাকাও আর হাতে পাননি কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সদস্যরা।
গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আজীম। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মন্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন আজিম। বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের।
২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সাঞ্জিভা গার্ডেন নামে একটি বহুতল আবাসিক ভবনে সংসদ সদস্য আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ। ২৮ মে সন্ধ্যায় সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খন্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো আজীমের মরদেহের খন্ডাংশ কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
রোববার, ১৬ জুন ২০২৪
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় মামলার তদন্তকাজ স্বাধীনভাবে এগিয়ে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, এমপি আজীম হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে চলছে। তদন্তে কারও হস্তক্ষেপ বা কোনো চাপ নেই। স্বাধীনভাবে আমরা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল ডিএমপি সদরদপ্তরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো চাপ বা এ বিষয়ে কোনো তদবির আসছে কিনা? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে চলেছে। এমপি আজীম হত্যা মামলার তদন্ত যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেই। স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমপি আজীমের নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বর্তমানে ৮ দিনের রিমান্ডে আছেন। এ হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত কয়েকজনের সঙ্গে মিন্টুর যোগাযোগ, কিলার আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম আসা, তার আগে থেকে আজীমের সঙ্গে মিন্টুর দ্বন্দ্ব, এসব বিষয় সামনে এনে ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঢাকা মহনগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার রয়েছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে প্রথমে গ্রেপ্তার হন আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সেলেস্টি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া। এরপর আজীম হত্যাকান্ডে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ কারণে গ্রেপ্তার হন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মিন্টু যখন আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে হত্যার বিষয়ে আলোচনা করেন- তখন থেকেই নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ক্রমেই যাতে তার সংশ্লিষ্টতা বুঝতে না পারে সেজন্য শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন রিমান্ডে থাকা তার ঘনিষ্ট আরেক আওয়ামী লীগ নেতা গ্যাস বাবুর মাধ্যমে। শাহিন কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দেয়া আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে নামান।
কিলিং মিশন শেষ করে আসার পর ২৩ মে শিমুল ভূঁইয়াকে ২ কোটি টাকা দেয়ার কথা ছিল মিন্টুর। কিন্তু তার আগেই ভাতিজা তানভিরসহ গ্রেপ্তার হয়ে যান শিমুল ভূঁইয়া। আক্তারুজ্জামান শাহিনও কয়েক ধাপে ৫ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন শিমুল ভূঁইয়াকে। কিন্তু গ্রেপ্তার হয়ে যাওয়ায় সেই টাকাও আর হাতে পাননি কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সদস্যরা।
গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আজীম। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মন্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন আজিম। বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের।
২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সাঞ্জিভা গার্ডেন নামে একটি বহুতল আবাসিক ভবনে সংসদ সদস্য আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ। ২৮ মে সন্ধ্যায় সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খন্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো আজীমের মরদেহের খন্ডাংশ কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।