image

পঞ্চমদিনের মতো আন্দোলন করছে জবি শিক্ষার্থীরা, তাঁতিবাজার অবরোধ

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪
প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে। একই দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর তাঁতিবাজার অবরোধ করে আন্দোলন করছে।

আজ শনিবার পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলনের জন্য দুপুর থেকেই জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ৩ টায় একটি মিছিল বের করে শাঁখারিবাজার, রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতিবাজার মোড়ে এসে পুলিশি বাঁধায় থামে।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, “কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’— স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে আন্দোলনকারীরা জানান, ‘আজকে তাঁদের মিছিলটি গুলিস্তান জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত যাবে।’ কিন্তু মিছিলটি রায়সাহেব বাজার আসলে পুলিশ বাঁধা দিতে শুরু করে। পরবর্তীতে তাঁতিবাজার মোড়ে আসলে পুলিশ সদস্যরা ‘মানব ব্যারিকেড’ দিয়ে রাখে। এতে আন্দোলনকারীরা তাঁতিবাজার মোড়ে রাস্তায় বসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে রেখেছে।

শাহীনুর ইসলাম সান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলবে।

শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন। দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ছাড়া); সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

‘নগর-মহানগর’ : আরও খবর

সম্প্রতি