সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করায় পঞ্চম দিনের মত তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। আড়াই ঘন্টা রাস্তা অবরোধের পর তাঁতিবাজার মোড় ছেড়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলা থেকে শুরু হয়ে শাঁখারিবাজার মোড়, রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতিবাজার মোড়ে এসে ৩ টায় রাস্তা অবরোধ করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, “কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’— এরকম নানা স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার ব্রিজ থেকে তাঁতিবাজার মোড় পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে যাওয়ার রাস্তা করে দেয়।
পঞ্চমদিনের মতো আন্দোলন করছে জবি শিক্ষার্থীরা, তাঁতিবাজার অবরোধ
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাফি বলেন, কোটা দেওয়া হয় অনগ্রসর জাতির জন্য, বাঙলাদেশের ৫৬% মানুষ কি অনগ্রসর। এদেশে যতদিন অযৌক্তিক কোটা থাকবে, ততদিন দেশে উন্নয়ন হবে না। একটি স্বাধীন দেশে বৈষম্যমূলক কোনো কোটা থাকতে পারে না।
আরেক শিক্ষার্থী শাহীনুর ইসলাম সান বলেন, আজ আমাদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা। কিন্তু আমরা আজ আন্দোলনের মাঠে। কাদের জন্য এই আন্দোলন?- যে পুলিশ গুলি হাতে দাড়িয়ে আছে, যে বাসচালক, রিক্সাচালক আটকে আছে তাদের জন্য এই আন্দোলন। আমরা আর কত বৈষম্যের শিকার হবো? ১৯৭১ সালে এক বৈষম্যের জন্যই আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। আমাদের রাস্তা অবরোধের জন্য সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো এই সাধারণ মানুষের সন্তানদের জন্যই আন্দোলন করছি।
কেন্দ্র থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আসলে সে অনুযায়ী আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি পালন করবো বলে জানিয়ে আজকের কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না।
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪
সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করায় পঞ্চম দিনের মত তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। আড়াই ঘন্টা রাস্তা অবরোধের পর তাঁতিবাজার মোড় ছেড়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলা থেকে শুরু হয়ে শাঁখারিবাজার মোড়, রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতিবাজার মোড়ে এসে ৩ টায় রাস্তা অবরোধ করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, “কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’— এরকম নানা স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার ব্রিজ থেকে তাঁতিবাজার মোড় পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে যাওয়ার রাস্তা করে দেয়।
পঞ্চমদিনের মতো আন্দোলন করছে জবি শিক্ষার্থীরা, তাঁতিবাজার অবরোধ
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাফি বলেন, কোটা দেওয়া হয় অনগ্রসর জাতির জন্য, বাঙলাদেশের ৫৬% মানুষ কি অনগ্রসর। এদেশে যতদিন অযৌক্তিক কোটা থাকবে, ততদিন দেশে উন্নয়ন হবে না। একটি স্বাধীন দেশে বৈষম্যমূলক কোনো কোটা থাকতে পারে না।
আরেক শিক্ষার্থী শাহীনুর ইসলাম সান বলেন, আজ আমাদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা। কিন্তু আমরা আজ আন্দোলনের মাঠে। কাদের জন্য এই আন্দোলন?- যে পুলিশ গুলি হাতে দাড়িয়ে আছে, যে বাসচালক, রিক্সাচালক আটকে আছে তাদের জন্য এই আন্দোলন। আমরা আর কত বৈষম্যের শিকার হবো? ১৯৭১ সালে এক বৈষম্যের জন্যই আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। আমাদের রাস্তা অবরোধের জন্য সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো এই সাধারণ মানুষের সন্তানদের জন্যই আন্দোলন করছি।
কেন্দ্র থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আসলে সে অনুযায়ী আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি পালন করবো বলে জানিয়ে আজকের কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না।