কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ী পুলিশ সদস্য হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে রিমান্ডে নেওয়া হবে না বলে হাই কোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রোববার ফাইয়াজকে রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য দেওয়া হয়।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ বলেন, “ফাইয়াজকে রিমান্ডে নেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে শিশু আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, হাই কোর্ট এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি এবং আগামীকাল এ বিষয়ে অর্ডার দেওয়া হবে।
ফাইয়াজের আইনজীবী জানান, ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার রোববার ডেমরা থানার একটি মামলায় শুনানি নিয়ে ফাইয়াজসহ সাতজনকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। জন্ম নিবন্ধন অনুসারে হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জন্ম ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ফাইয়াজ এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েছেন।
রিমান্ড আবেদন থেকে জানা যায়, পুলিশ সদস্য নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) গণভবনে ডিউটি দিতে যাওয়ার জন্য ১৯ জুলাই রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। সে সময় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছিল। মোটরসাইকেলে করে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ ফুটব্রিজের উত্তর পাশে পৌঁছানো মাত্র তার ওপর হামলা হয়। এরপর তাকে হত্যা করে রশি দিয়ে ফুটব্রিজের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ওই ঘটনায় ২৪ জুলাই গিয়াস উদ্দিনের ভগ্নিপতি মো. ফজল প্রধান যাত্রাবাড়ী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতানামা অনেককে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২৪ জুলাই রাতে সাধারণ পোশাকের একদল লোক ফাইয়াজকে তাদের মাতুয়াইলের বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যায় বলে তার পরিবারের ভাষ্য।
রোববার, ২৮ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ী পুলিশ সদস্য হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে রিমান্ডে নেওয়া হবে না বলে হাই কোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রোববার ফাইয়াজকে রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য দেওয়া হয়।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ বলেন, “ফাইয়াজকে রিমান্ডে নেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে শিশু আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, হাই কোর্ট এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি এবং আগামীকাল এ বিষয়ে অর্ডার দেওয়া হবে।
ফাইয়াজের আইনজীবী জানান, ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার রোববার ডেমরা থানার একটি মামলায় শুনানি নিয়ে ফাইয়াজসহ সাতজনকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। জন্ম নিবন্ধন অনুসারে হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জন্ম ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ফাইয়াজ এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েছেন।
রিমান্ড আবেদন থেকে জানা যায়, পুলিশ সদস্য নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) গণভবনে ডিউটি দিতে যাওয়ার জন্য ১৯ জুলাই রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। সে সময় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছিল। মোটরসাইকেলে করে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ ফুটব্রিজের উত্তর পাশে পৌঁছানো মাত্র তার ওপর হামলা হয়। এরপর তাকে হত্যা করে রশি দিয়ে ফুটব্রিজের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ওই ঘটনায় ২৪ জুলাই গিয়াস উদ্দিনের ভগ্নিপতি মো. ফজল প্রধান যাত্রাবাড়ী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতানামা অনেককে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২৪ জুলাই রাতে সাধারণ পোশাকের একদল লোক ফাইয়াজকে তাদের মাতুয়াইলের বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যায় বলে তার পরিবারের ভাষ্য।