বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী জামায়াত এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। আমরা সরকারের এই অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি আরও দাবি করেন, “সরকার ছাত্রদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য দলীয় ক্যাডার ও রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চলমান আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছে।”
সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দায়ী করা হয়েছে। হাই কোর্ট এক রিট মামলার রায়ে জামায়াতের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করেছে এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও তা বহাল রেখেছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, “সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে, জামায়াত ও ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল।”
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জামায়াত গোপনে কাজ চালিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। শফিকুর রহমানের বিবৃতিতে সেই ইংগিতই পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই জামায়াতে ইসলামী ইসলামের দাওয়াত, মানুষের চরিত্র সংশোধন ও ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কাজ বন্ধ করবে না। আমি দলীয় কর্মীদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার দেশে গণহত্যা চালিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর দোষ চাপানোর যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তা ব্যর্থ হয়েছে। তদ্রূপ সরকার বিভিন্ন অঘটন ঘটিয়ে জামায়াতের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাতে পারে। এই ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।”
জামায়াতের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ও নৈরাজ্যবাদের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় জামায়াতের ছয়জন নেতাকে জঙ্গিদের বোমা হামলায় প্রাণ হারাতে হয়েছে।”
১৯৭২ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের আমলে তারা রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়। বর্তমান আমির শফিকুর রহমান বলেন, “কারো আঘাতেই ইসলামী আন্দোলন স্তব্ধ হবে না, ইনশাআল্লাহ।”
বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী জামায়াত এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। আমরা সরকারের এই অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি আরও দাবি করেন, “সরকার ছাত্রদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য দলীয় ক্যাডার ও রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চলমান আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছে।”
সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দায়ী করা হয়েছে। হাই কোর্ট এক রিট মামলার রায়ে জামায়াতের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করেছে এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও তা বহাল রেখেছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, “সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে, জামায়াত ও ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল।”
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জামায়াত গোপনে কাজ চালিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। শফিকুর রহমানের বিবৃতিতে সেই ইংগিতই পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই জামায়াতে ইসলামী ইসলামের দাওয়াত, মানুষের চরিত্র সংশোধন ও ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কাজ বন্ধ করবে না। আমি দলীয় কর্মীদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার দেশে গণহত্যা চালিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর দোষ চাপানোর যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তা ব্যর্থ হয়েছে। তদ্রূপ সরকার বিভিন্ন অঘটন ঘটিয়ে জামায়াতের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাতে পারে। এই ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।”
জামায়াতের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ও নৈরাজ্যবাদের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় জামায়াতের ছয়জন নেতাকে জঙ্গিদের বোমা হামলায় প্রাণ হারাতে হয়েছে।”
১৯৭২ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের আমলে তারা রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়। বর্তমান আমির শফিকুর রহমান বলেন, “কারো আঘাতেই ইসলামী আন্দোলন স্তব্ধ হবে না, ইনশাআল্লাহ।”