হাই কোর্টের রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৪ জনকে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি থেকে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানিয়েছেন, আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “ওরা বয়সে ছোট, বারবার একই ভুল করছে। আমরা চেষ্টা করছিলাম রাস্তাটা ফাঁকা করার জন্য। তাই কয়েকজনকে নিয়ে আসছি। আপাতত সাতজন পুরুষ ও সাতজন নারী আন্দোলনকারীকে নিয়ে আসা হয়েছে, তবে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।”
নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষক নিয়োগপ্রার্থীরা কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর বিকালে আন্দোলনকারীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের এক আদেশে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কোটায় নির্বাচিত হওয়া ৬,৫৩১ জনের ফল বাতিল করা হয়। আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন করে ফল প্রকাশের নির্দেশ দেয়। সেই রাত থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।
বুধবার তারা মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগে এসে অবস্থান নেওয়ার পর দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। আন্দোলনকারীরা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তারা ‘সড়ক অবরোধ না করে’ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থী আবু হানিফ বলেন, “আমরা এখন জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছি। নিয়োগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”
হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আপিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রার্থীরা জানিয়েছিলেন যে, তারা সড়ক অবরোধ না করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের কাছে আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, “হাই কোর্টে একটা রায় হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি রায় পুনর্বিবেচনার জন্য।”
নিয়োগ বাতিল হওয়া নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার প্রার্থী আবুল হাশেম বলেন, “হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা বৈষম্যমূলক।”
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, কোটার ভিত্তিতে ঘোষিত ফল বাতিল হওয়া তাদের প্রতি অন্যায়। তারা নিয়োগ পুনর্বহাল ও হাই কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আপিল করেছে। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
হাই কোর্টের রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৪ জনকে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি থেকে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানিয়েছেন, আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “ওরা বয়সে ছোট, বারবার একই ভুল করছে। আমরা চেষ্টা করছিলাম রাস্তাটা ফাঁকা করার জন্য। তাই কয়েকজনকে নিয়ে আসছি। আপাতত সাতজন পুরুষ ও সাতজন নারী আন্দোলনকারীকে নিয়ে আসা হয়েছে, তবে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।”
নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষক নিয়োগপ্রার্থীরা কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর বিকালে আন্দোলনকারীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের এক আদেশে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কোটায় নির্বাচিত হওয়া ৬,৫৩১ জনের ফল বাতিল করা হয়। আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন করে ফল প্রকাশের নির্দেশ দেয়। সেই রাত থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।
বুধবার তারা মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগে এসে অবস্থান নেওয়ার পর দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। আন্দোলনকারীরা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তারা ‘সড়ক অবরোধ না করে’ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থী আবু হানিফ বলেন, “আমরা এখন জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছি। নিয়োগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”
হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আপিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রার্থীরা জানিয়েছিলেন যে, তারা সড়ক অবরোধ না করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের কাছে আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, “হাই কোর্টে একটা রায় হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি রায় পুনর্বিবেচনার জন্য।”
নিয়োগ বাতিল হওয়া নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার প্রার্থী আবুল হাশেম বলেন, “হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা বৈষম্যমূলক।”
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, কোটার ভিত্তিতে ঘোষিত ফল বাতিল হওয়া তাদের প্রতি অন্যায়। তারা নিয়োগ পুনর্বহাল ও হাই কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আপিল করেছে। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন।