সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আবারও এক মাস সময় পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত আগামী ২১ মে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ছিল আজ। তবে পিবিআই প্রতিবেদন না দেওয়ায় বিচারক সময় পিছিয়ে দেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে ১১৭ বার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছোল। শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব–ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার পর শুরুতে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় শেরেবাংলা নগর থানা। তিন দিন পর তা হস্তান্তর করা হয় গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। পরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবের কাছে দেওয়া হয়। র্যাব তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা বটি, পরিধেয় কাপড়সহ বিভিন্ন আলামত যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে ডিএনএসহ বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। তবে এতদিনেও তার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার ও রহস্য উদ্ঘাটনের আশ্বাস দিলেও এক যুগ পরেও বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। এ মামলায় এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও দুজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে নিহত সাংবাদিক দম্পতির পরিবার ও পেশাজীবীদের মধ্যে তীব্র হতাশা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশে র্যাবকে মামলার তদন্ত কাজ থেকে সরিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে পিবিআই টাস্কফোর্সের অধীনে মামলাটির তদন্ত করছে। আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছেন, টাস্কফোর্সের তদন্ত ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আবারও এক মাস সময় পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত আগামী ২১ মে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ছিল আজ। তবে পিবিআই প্রতিবেদন না দেওয়ায় বিচারক সময় পিছিয়ে দেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে ১১৭ বার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছোল। শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব–ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার পর শুরুতে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় শেরেবাংলা নগর থানা। তিন দিন পর তা হস্তান্তর করা হয় গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। পরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবের কাছে দেওয়া হয়। র্যাব তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা বটি, পরিধেয় কাপড়সহ বিভিন্ন আলামত যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে ডিএনএসহ বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। তবে এতদিনেও তার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার ও রহস্য উদ্ঘাটনের আশ্বাস দিলেও এক যুগ পরেও বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। এ মামলায় এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও দুজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে নিহত সাংবাদিক দম্পতির পরিবার ও পেশাজীবীদের মধ্যে তীব্র হতাশা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশে র্যাবকে মামলার তদন্ত কাজ থেকে সরিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে পিবিআই টাস্কফোর্সের অধীনে মামলাটির তদন্ত করছে। আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছেন, টাস্কফোর্সের তদন্ত ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে।