alt

জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট হারানোর ঝুঁকি দেখছেন সলিমুল্লাহ খান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই আন্দোলনের এক বছর না পার হতেই এর স্পিরিট হারাতে বসেছে বলে মনে করছেন লেখক ও চিন্তক সলিমুল্লাহ খান। তাঁর মতে, এই বিষয়টি গভীরভাবে বোঝা জরুরি। আন্দোলন নিয়ে আরও বই প্রকাশের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি বলেছেন।

শনিবার ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) প্রকাশিত গ্রন্থ পনেরো সমন্বয়কের সাক্ষাৎকার–এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন শিবলী আজাদ ও মিনহাজুল ইসলাম, যেখানে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ সমন্বয়কের সাক্ষাৎকার সংকলিত হয়েছে।

সলিমুল্লাহ খান বলেন, "১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ ছিল বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে, আর এবারের আন্দোলন হয়েছে দেশের ভেতরের শক্তির বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য ও মানবিক মর্যাদার মূল মন্ত্রই আবার উচ্চারিত হয়েছে জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে।" তিনি আরও বলেন, "জুলাই আন্দোলনে অনেক শিক্ষক দাঁড়ালেও অধিকাংশ শিক্ষক বিরোধিতা করেছেন।"

তিনি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভাজন না করারও আহ্বান জানান। ইউপিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সাক্ষাৎকার সংকলনটি শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, বৈশ্বিক গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, "কেন সাধারণ মানুষ এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল, সেটা বোঝা জরুরি। সন্তানদের পাশে দাঁড়ানোর দায় থেকেই অনেক বাবা-মাও রাজপথে নেমেছিলেন।" তিনি আরও বলেন, জুনিয়র শিক্ষার্থীরা প্রথমে এগিয়ে এসে সিনিয়রদেরও আন্দোলনে অংশ নিতে বাধ্য করেছিল, এ প্রক্রিয়াটি বোঝা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বলেন, "আট মাসের মধ্যে দেখা গেল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ব্রাহ্মণ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে শূদ্র, আর নারীরা নমশূদ্র।" তিনি মনে করেন, এই বৈষম্যই স্বৈরাচারী শাসকদের শক্তিশালী করছে।

তিনি বলেন, "আন্দোলনে নারীদের এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা না থাকলে তা সফল হত না।" স্নিগ্ধা আরও বলেন, "প্রথমে নারীদের কৃতিত্ব অস্বীকার করা হয়েছে, পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান খাটো করা হয়েছে—এভাবেই জুলাই স্পিরিটকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।" তাঁর মতে, বইটিতে নারী সমন্বয়কদের ভূমিকা আরও বেশি করে তুলে ধরা উচিত ছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফারহান হাসান বর্ণ বলেন, "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেও যথাযথ মূল্যায়ন পায়নি। এখন দেখছি, আন্দোলন ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে। যাদের রক্তের ওপর দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানো হয়েছে, তারাই জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ব্যর্থ।"

অনুষ্ঠানে বইটির সম্পাদক শিবলী আজাদ ও মিনহাজুল ইসলামসহ ইউপিএলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ছবি

জেনেভো ক্যাম্পে সংঘর্ষে প্রাণহানি: গ্রেপ্তার চারজন কারাগারে

ছবি

সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ‘রেইনবো নেশন’ গড়ে তোলা হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ঝটিকা মিছিল করে প্রচার সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নতুনরূপে ফিরিয়ে আনা হলো সিগন্যাল বাতি

ছবি

রাজধানীতে একরাতে তিন যুবক খুন

ছবি

সাভারে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

জেনিভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত

ছবি

কার্গো ভিলেজে আগুন: শুক্রবার ও শনিবার খোলা ঢাকা কাস্টমস

ছবি

জাতীয়করণের ঘোষণার বাস্তবায়নে পল্টনে সড়ক অবরোধে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা

ছবি

বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ করবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি

পর্ন ভিডিও তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে বান্দরবান থেকে যুগল গ্রেপ্তার

ছবি

সালমান শাহ হত্যার ২৯ বছর পর হত্যা মামলা দায়েরের আদেশ

সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ: প্রধান আসামিসহ দুইজন গ্রেপ্তার

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘ভুখা মিছিল’ আটকে দিল পুলিশ

বিইউপি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনে ফ্লাইট বাতিল, কয়েকটি ফ্লাইটের গন্তব্য পরিবর্তন

ছবি

শাহজালালে আগুন লাগে কুরিয়ার গুদামে

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন

ছবি

‘সুযোগ সন্ধানীদের’ আশঙ্কায় পদযাত্রা স্থগিত, শুক্রবার থেকে আমরণ অনশন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

ছবি

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বিএফআইইউর সাবেক প্রধান শাহীনুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর

বাড়ি ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শাহবাগ অবরোধ শেষে শহীদ মিনারে অবস্থান, বৃহস্পতিবার পদযাত্রার ঘোষণা

ছবি

শাহবাগ মোড় ব্লকেডের ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা

ছবি

মিরপুরের আগুনে মৃত্যু অন্তত ১৬

ছবি

জিজ্ঞাসাবাদের নামে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে মারধরের অভিযোগে মামলা

ছবি

মিরপুরের আগুনে মৃত্যু বেড়ে ১৬

ছবি

পুলিশের বাধায় থমকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সচিবালয় অভিমুখী পদযাত্রা

ছবি

মিরপুরে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুনে ৯ জনের মৃত্যু

ছবি

মিরপুরে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে আগুন

ছবি

সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি

কলাবাগানে ফ্রিজের ভেতর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ছবি

চায়ের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

ছবি

বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থানে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার

ছবি

পুলিশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে

ছবি

ঢাকায় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি

tab

জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট হারানোর ঝুঁকি দেখছেন সলিমুল্লাহ খান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই আন্দোলনের এক বছর না পার হতেই এর স্পিরিট হারাতে বসেছে বলে মনে করছেন লেখক ও চিন্তক সলিমুল্লাহ খান। তাঁর মতে, এই বিষয়টি গভীরভাবে বোঝা জরুরি। আন্দোলন নিয়ে আরও বই প্রকাশের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি বলেছেন।

শনিবার ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) প্রকাশিত গ্রন্থ পনেরো সমন্বয়কের সাক্ষাৎকার–এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন শিবলী আজাদ ও মিনহাজুল ইসলাম, যেখানে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ সমন্বয়কের সাক্ষাৎকার সংকলিত হয়েছে।

সলিমুল্লাহ খান বলেন, "১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ ছিল বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে, আর এবারের আন্দোলন হয়েছে দেশের ভেতরের শক্তির বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য ও মানবিক মর্যাদার মূল মন্ত্রই আবার উচ্চারিত হয়েছে জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে।" তিনি আরও বলেন, "জুলাই আন্দোলনে অনেক শিক্ষক দাঁড়ালেও অধিকাংশ শিক্ষক বিরোধিতা করেছেন।"

তিনি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভাজন না করারও আহ্বান জানান। ইউপিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সাক্ষাৎকার সংকলনটি শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, বৈশ্বিক গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, "কেন সাধারণ মানুষ এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল, সেটা বোঝা জরুরি। সন্তানদের পাশে দাঁড়ানোর দায় থেকেই অনেক বাবা-মাও রাজপথে নেমেছিলেন।" তিনি আরও বলেন, জুনিয়র শিক্ষার্থীরা প্রথমে এগিয়ে এসে সিনিয়রদেরও আন্দোলনে অংশ নিতে বাধ্য করেছিল, এ প্রক্রিয়াটি বোঝা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বলেন, "আট মাসের মধ্যে দেখা গেল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ব্রাহ্মণ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে শূদ্র, আর নারীরা নমশূদ্র।" তিনি মনে করেন, এই বৈষম্যই স্বৈরাচারী শাসকদের শক্তিশালী করছে।

তিনি বলেন, "আন্দোলনে নারীদের এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা না থাকলে তা সফল হত না।" স্নিগ্ধা আরও বলেন, "প্রথমে নারীদের কৃতিত্ব অস্বীকার করা হয়েছে, পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান খাটো করা হয়েছে—এভাবেই জুলাই স্পিরিটকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।" তাঁর মতে, বইটিতে নারী সমন্বয়কদের ভূমিকা আরও বেশি করে তুলে ধরা উচিত ছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফারহান হাসান বর্ণ বলেন, "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেও যথাযথ মূল্যায়ন পায়নি। এখন দেখছি, আন্দোলন ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে। যাদের রক্তের ওপর দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানো হয়েছে, তারাই জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ব্যর্থ।"

অনুষ্ঠানে বইটির সম্পাদক শিবলী আজাদ ও মিনহাজুল ইসলামসহ ইউপিএলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

back to top