চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন কোভিড-১৯ প্রকল্পে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনের দুটি ফটকে তালা দেন আন্দোলনকারীরা, ফলে অধিদপ্তরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২০২০ সালে দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর পর ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ডেটা অ্যান্ট্রি অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই প্রকল্পে এক হাজার চারজন কর্মরত আছেন। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর জানান, কর্মীরা গত দুই দিন ধরে অবস্থান করছিলেন এবং মঙ্গলবার বিকালের পর ফটকে তালা দেন। তিনি বলেন, “তারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং প্রতি বছর নবায়ন করা হত। এখন তারা চাকরিতে আত্মীকরণ চাচ্ছেন, যা বাস্তবসম্মত নয়।”
সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, দুটি ফটকে তালা দেওয়া অবস্থায় কয়েকটি গাড়ি আটকে আছে। আন্দোলনকারীরা সেগুলো বের হতে দিচ্ছেন না।
সরকারি ইউনাননি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, “আমরা এখানকার কেউ না, কিন্তু আমাদেরও বের হতে দিচ্ছে না।”
আন্দোলনকারীদের মধ্যে মাসুম আহমেদ বলেন, “২০২০ সালে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ পেলেও পাঁচ বছর ধরে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেকের চাকরির বয়স পার হয়ে গেছে, এখন আর আবেদন করতে পারছি না।”
আরেক আন্দোলনকারী মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, “আমরা গত চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। প্রকল্প স্থায়ী না হলেও মৌখিক নির্দেশনায় আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রকল্পের অর্থায়ন শেষ হলেও ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প চলমান রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টিয়ারিং কমিটি।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন কোভিড-১৯ প্রকল্পে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনের দুটি ফটকে তালা দেন আন্দোলনকারীরা, ফলে অধিদপ্তরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২০২০ সালে দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর পর ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ডেটা অ্যান্ট্রি অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই প্রকল্পে এক হাজার চারজন কর্মরত আছেন। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর জানান, কর্মীরা গত দুই দিন ধরে অবস্থান করছিলেন এবং মঙ্গলবার বিকালের পর ফটকে তালা দেন। তিনি বলেন, “তারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং প্রতি বছর নবায়ন করা হত। এখন তারা চাকরিতে আত্মীকরণ চাচ্ছেন, যা বাস্তবসম্মত নয়।”
সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, দুটি ফটকে তালা দেওয়া অবস্থায় কয়েকটি গাড়ি আটকে আছে। আন্দোলনকারীরা সেগুলো বের হতে দিচ্ছেন না।
সরকারি ইউনাননি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, “আমরা এখানকার কেউ না, কিন্তু আমাদেরও বের হতে দিচ্ছে না।”
আন্দোলনকারীদের মধ্যে মাসুম আহমেদ বলেন, “২০২০ সালে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ পেলেও পাঁচ বছর ধরে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেকের চাকরির বয়স পার হয়ে গেছে, এখন আর আবেদন করতে পারছি না।”
আরেক আন্দোলনকারী মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, “আমরা গত চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। প্রকল্প স্থায়ী না হলেও মৌখিক নির্দেশনায় আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রকল্পের অর্থায়ন শেষ হলেও ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প চলমান রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টিয়ারিং কমিটি।