দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে নামা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইস উদ্দিন।
এদিন বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বক্তব্যের সময় তিনি বলেন, “আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকারের দাবি নিয়ে এসেছি। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মদদে আমাদের ওপরে গতকাল নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা ও অন্যায়।
আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি, কোনো ষড়যন্ত্র করতেও আসিনি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। যতক্ষণ দাবি মেনে না নেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন থাকবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।”
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন আন্দোলনকারীরা। প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের এলাকায় তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বুধবার রাতভর সড়কে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমবেত হতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩০টি একতলা ও দোতলা বাসে করে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে আসেন।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইস উদ্দিন ফেইসবুক লাইভে এসে আন্দোলনে যোগ দিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে শিক্ষকদের অন্তত পাঁচটি বাস আন্দোলনস্থলে আসে।
তিন দফা দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়। এগুলো হলো—
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে;
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে;
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
‘পুলিশি হামলার’ অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার আরেকটি দাবি যুক্ত করেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের নতুন দাবি হলো, বুধবার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত দিতে হবে।
প্রথম তিনটি দাবি নিয়ে বুধবার দুপুরে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও দপ্তর যমুনা অভিমুখে ‘লং মার্চ’ শুরু করেন।
মিছিলটি গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, সচিবালয়, শিক্ষা ভবন, হাই কোর্ট ও মৎস্য ভবন মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেও তা উপেক্ষা করে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসে।
একপর্যায়ে মিছিলটি প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে এলে সেখানে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা যমুনায় যান। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ ওঠে।
এ পরিস্থিতিতে রাত ৮টা থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কাকরাইল মসজিদ মোড় ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে নামা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইস উদ্দিন।
এদিন বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বক্তব্যের সময় তিনি বলেন, “আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকারের দাবি নিয়ে এসেছি। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মদদে আমাদের ওপরে গতকাল নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা ও অন্যায়।
আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি, কোনো ষড়যন্ত্র করতেও আসিনি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। যতক্ষণ দাবি মেনে না নেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন থাকবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।”
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন আন্দোলনকারীরা। প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের এলাকায় তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বুধবার রাতভর সড়কে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমবেত হতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩০টি একতলা ও দোতলা বাসে করে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে আসেন।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইস উদ্দিন ফেইসবুক লাইভে এসে আন্দোলনে যোগ দিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে শিক্ষকদের অন্তত পাঁচটি বাস আন্দোলনস্থলে আসে।
তিন দফা দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়। এগুলো হলো—
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে;
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে;
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
‘পুলিশি হামলার’ অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার আরেকটি দাবি যুক্ত করেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের নতুন দাবি হলো, বুধবার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত দিতে হবে।
প্রথম তিনটি দাবি নিয়ে বুধবার দুপুরে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও দপ্তর যমুনা অভিমুখে ‘লং মার্চ’ শুরু করেন।
মিছিলটি গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, সচিবালয়, শিক্ষা ভবন, হাই কোর্ট ও মৎস্য ভবন মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেও তা উপেক্ষা করে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসে।
একপর্যায়ে মিছিলটি প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে এলে সেখানে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা যমুনায় যান। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ ওঠে।
এ পরিস্থিতিতে রাত ৮টা থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কাকরাইল মসজিদ মোড় ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন।