ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিসে আগামী বুধবার তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং আহমেদ আকবর সোবহানকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
রোববার এই তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।
এর আগে, ৩ জুন দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক ও তাঁদের মেয়ে নুরিন সিদ্দিকের নামে থাকা ২৪ বিঘা জমিসহ পাঁচটি প্লট এবং পাঁচটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেয় আদালত।
জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে বারিধারার ডিওএইচএস এলাকায় একটি সাততলা বাড়ি এবং ওই এলাকার একটি ভবনের তিনটি ফ্ল্যাটসহ মোট পাঁচটি ফ্ল্যাট, পূর্বাঞ্চলের নতুন শহরে ২০ কাঠা জমির চারটি প্লট এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি প্লট। জমিগুলোর অবস্থান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শাহীন সিদ্দিক এবং নুরিন সিদ্দিক অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পদ অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন।
এর আগে, গত ২৮ জানুয়ারি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। ২৯ এপ্রিল তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং দুই মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নুরিন তাসমিয়াসহ আটজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
গত ১৪ মে তাঁদের নামে থাকা ১৩টি ব্যাংক হিসাবের ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৭১ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় আদালত।
এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধেও ভূমি দখল, অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থপাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এর অংশ হিসেবে গত ২৫ ও ২৬ মে আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও তাঁরা ৯০ দিনের সময় চান।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন গত ১৬ জুন জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর) ও কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহানের যুক্তরাজ্যে পাচার করা সম্পদের তথ্য চেয়ে সে দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লাভবান হওয়া বড় ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি-অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সক্রিয় হয় রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) বসুন্ধরাসহ পাঁচটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে এবং তাদের ও পরিবারের সদস্যদের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চেয়ে পাঠায়।
এরপর অক্টোবর মাসে আহমেদ আকবর সোবহান এবং তাঁর চার ছেলেসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই মাসে আদালত তাঁদের বিদেশগমনেও নিষেধাজ্ঞা দেন।
এছাড়া, তাঁদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধেরও আদেশ আসে আদালত থেকে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সিআইডি প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার জমি দখল এবং অর্থপাচারের অভিযোগে আহমেদ আকবর সোবহান, তাঁর ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিসে আগামী বুধবার তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং আহমেদ আকবর সোবহানকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
রোববার এই তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।
এর আগে, ৩ জুন দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক ও তাঁদের মেয়ে নুরিন সিদ্দিকের নামে থাকা ২৪ বিঘা জমিসহ পাঁচটি প্লট এবং পাঁচটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেয় আদালত।
জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে বারিধারার ডিওএইচএস এলাকায় একটি সাততলা বাড়ি এবং ওই এলাকার একটি ভবনের তিনটি ফ্ল্যাটসহ মোট পাঁচটি ফ্ল্যাট, পূর্বাঞ্চলের নতুন শহরে ২০ কাঠা জমির চারটি প্লট এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি প্লট। জমিগুলোর অবস্থান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শাহীন সিদ্দিক এবং নুরিন সিদ্দিক অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পদ অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন।
এর আগে, গত ২৮ জানুয়ারি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। ২৯ এপ্রিল তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং দুই মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নুরিন তাসমিয়াসহ আটজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
গত ১৪ মে তাঁদের নামে থাকা ১৩টি ব্যাংক হিসাবের ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৭১ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় আদালত।
এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধেও ভূমি দখল, অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থপাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এর অংশ হিসেবে গত ২৫ ও ২৬ মে আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও তাঁরা ৯০ দিনের সময় চান।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন গত ১৬ জুন জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর) ও কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহানের যুক্তরাজ্যে পাচার করা সম্পদের তথ্য চেয়ে সে দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লাভবান হওয়া বড় ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি-অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সক্রিয় হয় রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) বসুন্ধরাসহ পাঁচটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে এবং তাদের ও পরিবারের সদস্যদের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চেয়ে পাঠায়।
এরপর অক্টোবর মাসে আহমেদ আকবর সোবহান এবং তাঁর চার ছেলেসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই মাসে আদালত তাঁদের বিদেশগমনেও নিষেধাজ্ঞা দেন।
এছাড়া, তাঁদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধেরও আদেশ আসে আদালত থেকে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সিআইডি প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার জমি দখল এবং অর্থপাচারের অভিযোগে আহমেদ আকবর সোবহান, তাঁর ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।