৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশের সময় ধরা পড়া পরীক্ষার্থী সোলায়মান ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াক রিমান্ড ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার ও মামলা
শুক্রবার সকালে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সোলায়মানের কাছ থেকে দুইটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস/চিপ ও তিনটি এয়ার ফোন জব্দ করা হয়। পরে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পরিক্ষীত মধু লালবাগ থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
রিমান্ড আবেদন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তিনি বলেন, সোলায়মান একটি সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের সদস্য। পরীক্ষায় জালিয়াতির উদ্দেশ্যে তিনি ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন।
অন্যদিকে সোলায়মানের পক্ষে তার আইনজীবী মিজানুর রহমান রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিনের আবেদন জানান। তিনি আদালতে বলেন, ভুলবশত পরীক্ষার্থী ডিভাইস সঙ্গে এনেছিলেন। এ বয়সী তরুণদের কাছে নানা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস থাকা স্বাভাবিক। তিনি জানতেন না, পরীক্ষায় ডিভাইস আনা অপরাধ। এটি অনিচ্ছাকৃত ঘটনা।
তিনি আরও যুক্তি দেন, আসামির বয়স ২৭ বছর। তার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই তাকে কারাগারে রাখা উচিত হবে না।
তবে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগের বিবরণ
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোলায়মান ইসলাম ইডেন মহিলা কলেজের এক নম্বর ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির সময় তার দুই পায়ের গোড়ালির উপরে স্কচটেপে আটকানো দুইটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস/চিপ, তিনটি এয়ার ফোন ও একটি অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়—এর মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত এক বা একাধিক ব্যক্তি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সংঘবদ্ধ চক্রের সহায়তায় পরীক্ষায় প্রতারণার উদ্দেশ্যে এসব ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছিল।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশের সময় ধরা পড়া পরীক্ষার্থী সোলায়মান ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াক রিমান্ড ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার ও মামলা
শুক্রবার সকালে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সোলায়মানের কাছ থেকে দুইটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস/চিপ ও তিনটি এয়ার ফোন জব্দ করা হয়। পরে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পরিক্ষীত মধু লালবাগ থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
রিমান্ড আবেদন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তিনি বলেন, সোলায়মান একটি সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের সদস্য। পরীক্ষায় জালিয়াতির উদ্দেশ্যে তিনি ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন।
অন্যদিকে সোলায়মানের পক্ষে তার আইনজীবী মিজানুর রহমান রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিনের আবেদন জানান। তিনি আদালতে বলেন, ভুলবশত পরীক্ষার্থী ডিভাইস সঙ্গে এনেছিলেন। এ বয়সী তরুণদের কাছে নানা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস থাকা স্বাভাবিক। তিনি জানতেন না, পরীক্ষায় ডিভাইস আনা অপরাধ। এটি অনিচ্ছাকৃত ঘটনা।
তিনি আরও যুক্তি দেন, আসামির বয়স ২৭ বছর। তার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই তাকে কারাগারে রাখা উচিত হবে না।
তবে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগের বিবরণ
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোলায়মান ইসলাম ইডেন মহিলা কলেজের এক নম্বর ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির সময় তার দুই পায়ের গোড়ালির উপরে স্কচটেপে আটকানো দুইটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস/চিপ, তিনটি এয়ার ফোন ও একটি অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়—এর মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত এক বা একাধিক ব্যক্তি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সংঘবদ্ধ চক্রের সহায়তায় পরীক্ষায় প্রতারণার উদ্দেশ্যে এসব ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছিল।