ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজধানীতে এক রাতে পৃথক ঘটনায় তিন যুবক খুন হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন সময়ে খুনের শিকার হন তারা। আগারগাঁও সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন মাইনুদ্দিন মনু (২৩), মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০) এবং সায়েদাবাদে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা এক যুবকের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক জানান, গতকাল বুধবার রাতে বিএনপি বাজার এলাকার এক সিনিয়রের সামনে জুনিয়র সিগারেট পান করছিলো। তখন সিনিরয় ওই জুনিয়রকে শাসন করলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। বিষয়টি আবার জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে জানাজানি হয়। এ নিয়ে সিনিয়র গ্রুপের ওপর ক্ষিপ্ত হয় জুনিয়র গ্রুপ এবং দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সিনিয়র গ্রুপের একজনের ছুরিকাঘাতে আহত হয় জুনিয়র গ্রুপের মাইনুদ্দিন। পরে আত্মীয়-স্বজন খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই নিহতের পরিবার ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। লিমন, রাফী ও কামরান নামের তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গতকাল বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বৃহস্পতিবার,(২৩ অক্টোবর ২০২৫) আদালতে হাজির করা হয়েছে। বাকি দুজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরও আদালতে প্রেরণ করা হবে। নিহত মাইনুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। বর্তমানে মিরপুরের জনতা হাউজিং এলাকায় থাকতেন।
গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের ঝামেলা দেখতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়ে মারা যান জাহিদ। তিনি জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন জাহিদ। কল্যাণপুরে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি।
নিহতের ভগ্নিপতি রবিন হোসেন বলেন, জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি চলছিল। সে সময়ে জাহিদ বাসা থেকে বাইরে বের হন। একটু সামনের দিকে এগিয়ে যান। তখন একটি ককটেল এসে তার মাথায় পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। জাহিদকে প্রথমে স্থানীয় ট্রমা সেন্টারে নেয়া হয়েছিল। পরে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। পরীক্ষা করে ভোর সাড়ে চারটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসক। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল বলেন, বৃহস্পতিবার, ভোরে খবর আসে জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। তিনি জানান, সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ঘটনাতে একজন আহত হয়েছেন। তবে তার বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।
গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে সায়দাবাদ ভিসার গলির ফারুক আহমেদের নির্মাণাধীন বাড়ির নিচ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার এসআই রাসেল সরদার সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। তার পরনে ছিল হালকা গোলাপি রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি ও কালো টিশার্ট। তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিহতের গলায় টিশার্টের ছেড়া টুকরো দ্বারা আর দুই পা রশি দ্বারা বাঁধা। সমস্ত শরীর কিছুটা পঁচে ফুলে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার দুই পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। তবে মরদেহ সেই অবস্থায় নেই। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীতে এক রাতে পৃথক ঘটনায় তিন যুবক খুন হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন সময়ে খুনের শিকার হন তারা। আগারগাঁও সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন মাইনুদ্দিন মনু (২৩), মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০) এবং সায়েদাবাদে বস্তাবন্দি অজ্ঞাতনামা এক যুবকের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক জানান, গতকাল বুধবার রাতে বিএনপি বাজার এলাকার এক সিনিয়রের সামনে জুনিয়র সিগারেট পান করছিলো। তখন সিনিরয় ওই জুনিয়রকে শাসন করলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। বিষয়টি আবার জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে জানাজানি হয়। এ নিয়ে সিনিয়র গ্রুপের ওপর ক্ষিপ্ত হয় জুনিয়র গ্রুপ এবং দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সিনিয়র গ্রুপের একজনের ছুরিকাঘাতে আহত হয় জুনিয়র গ্রুপের মাইনুদ্দিন। পরে আত্মীয়-স্বজন খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই নিহতের পরিবার ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। লিমন, রাফী ও কামরান নামের তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গতকাল বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বৃহস্পতিবার,(২৩ অক্টোবর ২০২৫) আদালতে হাজির করা হয়েছে। বাকি দুজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরও আদালতে প্রেরণ করা হবে। নিহত মাইনুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। বর্তমানে মিরপুরের জনতা হাউজিং এলাকায় থাকতেন।
গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের ঝামেলা দেখতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়ে মারা যান জাহিদ। তিনি জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন জাহিদ। কল্যাণপুরে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি।
নিহতের ভগ্নিপতি রবিন হোসেন বলেন, জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি চলছিল। সে সময়ে জাহিদ বাসা থেকে বাইরে বের হন। একটু সামনের দিকে এগিয়ে যান। তখন একটি ককটেল এসে তার মাথায় পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। জাহিদকে প্রথমে স্থানীয় ট্রমা সেন্টারে নেয়া হয়েছিল। পরে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। পরীক্ষা করে ভোর সাড়ে চারটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসক। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল বলেন, বৃহস্পতিবার, ভোরে খবর আসে জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। তিনি জানান, সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ঘটনাতে একজন আহত হয়েছেন। তবে তার বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।
গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে সায়দাবাদ ভিসার গলির ফারুক আহমেদের নির্মাণাধীন বাড়ির নিচ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার এসআই রাসেল সরদার সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। তার পরনে ছিল হালকা গোলাপি রঙের হাফ হাতা গেঞ্জি ও কালো টিশার্ট। তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিহতের গলায় টিশার্টের ছেড়া টুকরো দ্বারা আর দুই পা রশি দ্বারা বাঁধা। সমস্ত শরীর কিছুটা পঁচে ফুলে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার দুই পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। তবে মরদেহ সেই অবস্থায় নেই। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।