alt

নারীবিদ্বেষী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে, দমন করতে হবে: মহিলা পরিষদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সমাজে নারীবিদ্বেষী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। ব্যাপক হারে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া হচ্ছে। মব সহিংসতা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসবের ফলে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে নারীবিদ্বেষী প্রচারণাকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার, (২৫ নভেম্বর ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দেশে গত ১০ মাসে (জানুয়ারি থেকে অক্টোবর) ১০টি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের খবর তুলে ধরা হয়। বলা হয়, এ সময় দেশে মোট ২ হাজার ৪৬৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭১৩ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধষর্ণের পর আত্মহত্যার শিকার হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। এছাড়া যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন, হত্যা, বাল্যবিবাহ, যৌন নিপীড়ন, অপহরণ, সাইবার সহিংসতার মতো নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী ও কন্যাশিশু।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলা হয়, ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে এ দিনকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন দিবস হিসেবে পালনের দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনা মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটিকে স্বীকৃতি দিয়ে ঘোষণা করা হয়, ‘নারীর অধিকার মানবাধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

২০০০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২৫ নভেম্বরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনের প্রচারাভিযান চালানোর কথা বলে।

দিবসটি উপলক্ষে এবার ‘সাইবার সহিংসতাসহ নারী ও কন্যার প্রতি সবধরনের নির্যাতনকে না বলুন, নারী ও কন্যার অগ্রসরমানতা নিশ্চিত করুন’ স্লোগান নিয়ে ১৬ দিনের কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন- আইনের যথাযথ প্রয়োগ, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সামাজের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। নারীবিদ্বেষী প্রচারণাকে দৃঢ়ভাবে দমন করতে হবে। গণমাধ্যমেও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এখানেও একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা দরকার।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর জন্য কর্মঘণ্টা ৫ ঘণ্টা রাখার (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন) কথা বলা হলো। এটা কিসের আলামত? সাধারণ নারীরাই এর উত্তর দিয়েছেন। নারীর মধ্যে জাগরণ ও মুক্তির যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে, সেটা কেউ দমন করতে পারবে না।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, সমাজ নারীর প্রতি সহিংসতাকে নানা অজুহাতে ‘অনুমোদন’ দেয়। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড নারী নির্যাতন বাড়াতে উসকানি দেয়। নারীর প্রতি বৈষম্যকে স্থায়ী করতে নানা ধরনের বয়ান দিতেও দেখা যায়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাদের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তারা নারীর বিষয় একপাশে সরিয়ে রাখতে চায়। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো সরকার ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চুপ ছিল।

সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, যত দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী ক্ষমতা না পাচ্ছে, তত দিন নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে না। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন হতে হবে। দলের মনোনয়ন পেয়ে সংরক্ষিত আসনে ‘অমুকের ভাবি’, ‘তমুকের স্ত্রী-বোন’ এলে হবে না।’

এ বছর প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, দেশের ৭৬ শতাংশ নারী কাছের মানুষের মাধ্যমে প্রধানত স্বামীর হাতে কোনো না কোনো সময় শারীরিক, মানসিক, যৌন ও আর্থিক নির্যাতন বা নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন।

মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের সদস্য সাবিকুন্নাহারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা। এ সময় কিছু সুপারিশ করা হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও সহনশীলতার সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করতে হবে। গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। নারীদের প্রতি আত্মশক্তি, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য উদ্দীপনামূলক নতুন নতুন কর্মসূচি নিতে হবে।

ছবি

বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, পুলিশের লাঠিপেটা-জলকামান

ছবি

পুড়ছিলো কড়াইল বস্তি, নেভানো যাচ্ছিল না আগুন

অনলাইনেও রিচার্জ করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড

ছবি

দশ মাসে ১৪শ’র বেশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্দেহভাজন আটক সাড়ে ৪ লাখ

ছবি

অবশেষে গাজীপুর রেডক্রিসেন্টের নির্বাচন স্থগিত

ছবি

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুবাইফেরত যাত্রীর ব্যাগে মিলল সিগারেট-ক্রিম

ছবি

জুরাইনে যুবক গুলিবিদ্ধ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে

ছবি

মহাখালীতে বৈশাখী পরিবহনের চলন্ত বাসে আগুন, হতাহত নেই

ছবি

মেট্রোরেল লাইনে ড্রোন পড়ে ৯ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ

সেগুনবাগিচায় কমার্শিয়াল বহুতল ভবনে আগুন

গণপিটুনিতে অংশ না নিয়েও মামলার আসামি নারী সাংবাদিক

ছবি

চতুর্থবারের মতো ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’ শুরু হচ্ছে শনিবার

কাজীপাড়ায় মেট্রোলাইনে হাতবোমা পাওয়া গেছে

ছবি

ভূমিকম্পে আহত ৬৩ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিলেন, সাতজন ভর্তি, আইসিইউতে একজনের মৃত্যু

ছবি

উখিয়ায় সরকারি জমি দখলমুক্ত, ২৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ইস্ট ওয়েস্ট ক্যাম্পাসের দুই ভবনের মাঝে পড়ে ছিল ছাত্রের মরদেহ

ছবি

উড়াল সেতুর রেলিং ভেঙে প্রাইভেটকার রাস্তায়, পথচারী নিহত

ছবি

ডিএমপি কমিশনার: অগ্নিসংযোগ–ককটেল হামলাকারীদের আইনের বিধান অনুযায়ী গুলি করা হবে

ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা প্রকাশ, নেগেটিভ মার্ক থাকছে

ছবি

গাজীপুরে পৃথক দুই অগ্নিকাণ্ডে ঝুট গুদাম ও মশার কয়েল কারখানার গোডাউন পুড়ে ছাই

ছবি

পল্লবীর যুবদল নেতা হত্যায় ‘বড় আর্থিক লেনদেন’ হয়েছে: র‌্যাব

ছবি

বসুন্ধরা সিটিসহ সব মোবাইল মার্কেট বন্ধ, ক্রেতাদের দুর্ভোগ

ছবি

রোজ গার্ডেন কেনায় রাষ্ট্রের ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

পল্লবীতে যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় ‘বড় অর্থ লেনদেন’ : র‌্যাবের দাবি

ছবি

স্ত্রী-সন্তানসহ কাজী জাফর উল্যাহর আয়কর নথি সিআইডিকে দিতে নির্দেশ

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ এর নিরাপত্তায় সেনা-পুলিশ-বিজিবি

ছবি

নজরুল ইসলাম মজুমদারের পূর্বাচলের জমি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ

ছবি

চলতি বছরে ঢাকায় ১৯৮ খুন, রহস্য উদঘাটনে আশাবাদী ডিএমপি

ছবি

৩২ নম্বরে এক্সকেভেটর, পুলিশ-সেনার লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড

ছবি

স্বজনরা সন্তুষ্ট তবে পুরোপুরি নয়

ছবি

পল্লবীতে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সংলগ্ন মিরপুর সড়কে পুলিশের পিকআপে হামলা, উত্তেজনা রোধে সেনা মোতায়েন

ছবি

উত্তরায় নাদিম হাসানের মাইক্রোবাসে আগুন

ছবি

২১ নভেম্বর সেনানিবাসে যান চলাচল সীমিত থাকবে

ছবি

আগুন-ককটেল: হামলাকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের

ছবি

রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে ককটেল বিস্ফোরণ: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে হামলা

tab

নারীবিদ্বেষী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে, দমন করতে হবে: মহিলা পরিষদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

সমাজে নারীবিদ্বেষী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। ব্যাপক হারে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া হচ্ছে। মব সহিংসতা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসবের ফলে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে নারীবিদ্বেষী প্রচারণাকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার, (২৫ নভেম্বর ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দেশে গত ১০ মাসে (জানুয়ারি থেকে অক্টোবর) ১০টি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের খবর তুলে ধরা হয়। বলা হয়, এ সময় দেশে মোট ২ হাজার ৪৬৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭১৩ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধষর্ণের পর আত্মহত্যার শিকার হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। এছাড়া যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন, হত্যা, বাল্যবিবাহ, যৌন নিপীড়ন, অপহরণ, সাইবার সহিংসতার মতো নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী ও কন্যাশিশু।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলা হয়, ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে এ দিনকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন দিবস হিসেবে পালনের দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনা মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটিকে স্বীকৃতি দিয়ে ঘোষণা করা হয়, ‘নারীর অধিকার মানবাধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

২০০০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২৫ নভেম্বরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনের প্রচারাভিযান চালানোর কথা বলে।

দিবসটি উপলক্ষে এবার ‘সাইবার সহিংসতাসহ নারী ও কন্যার প্রতি সবধরনের নির্যাতনকে না বলুন, নারী ও কন্যার অগ্রসরমানতা নিশ্চিত করুন’ স্লোগান নিয়ে ১৬ দিনের কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন- আইনের যথাযথ প্রয়োগ, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সামাজের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। নারীবিদ্বেষী প্রচারণাকে দৃঢ়ভাবে দমন করতে হবে। গণমাধ্যমেও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এখানেও একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা দরকার।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীর জন্য কর্মঘণ্টা ৫ ঘণ্টা রাখার (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন) কথা বলা হলো। এটা কিসের আলামত? সাধারণ নারীরাই এর উত্তর দিয়েছেন। নারীর মধ্যে জাগরণ ও মুক্তির যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে, সেটা কেউ দমন করতে পারবে না।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, সমাজ নারীর প্রতি সহিংসতাকে নানা অজুহাতে ‘অনুমোদন’ দেয়। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড নারী নির্যাতন বাড়াতে উসকানি দেয়। নারীর প্রতি বৈষম্যকে স্থায়ী করতে নানা ধরনের বয়ান দিতেও দেখা যায়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাদের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তারা নারীর বিষয় একপাশে সরিয়ে রাখতে চায়। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো সরকার ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চুপ ছিল।

সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, যত দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী ক্ষমতা না পাচ্ছে, তত দিন নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে না। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন হতে হবে। দলের মনোনয়ন পেয়ে সংরক্ষিত আসনে ‘অমুকের ভাবি’, ‘তমুকের স্ত্রী-বোন’ এলে হবে না।’

এ বছর প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, দেশের ৭৬ শতাংশ নারী কাছের মানুষের মাধ্যমে প্রধানত স্বামীর হাতে কোনো না কোনো সময় শারীরিক, মানসিক, যৌন ও আর্থিক নির্যাতন বা নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন।

মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের সদস্য সাবিকুন্নাহারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা। এ সময় কিছু সুপারিশ করা হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও সহনশীলতার সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করতে হবে। গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। নারীদের প্রতি আত্মশক্তি, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য উদ্দীপনামূলক নতুন নতুন কর্মসূচি নিতে হবে।

back to top