বরিশাল-ভোলা সেতুর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকাস্থ ভোলা জেলার বাসিন্দারা। শুক্রবার, (২৮ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তারা শাহবাগে অবস্থান নেয়ার ফলে চারপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।’
ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই ঢাকায় ও ভোলায় নানান কর্মসূচি পালন করে আসছেন ভোলার বাসিন্দারা। এর ধারাবাহিকতায় বিকেলে কয়েকশ মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেতু নির্মাণের দাবির পাশাপাশি ভোলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ ও গ্যাস সংযোগ প্রদানের দাবিও তুলে ধরেন তারা।
গত ১৪ নভেম্বর ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দাবিতে ভোলায় সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবরুদ্ধ রেখে তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখায় একদল শিক্ষার্থী।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনকে সেদিন অন্তত ২০ মিনিট অবরুদ্ধ করেন রাখেন ‘আমরা-ভোলাবাসী’ সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ভোলায় দীর্ঘদিন ধরে চলা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈন উদ্দীন এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়।
কিন্তু গত ১৪ নভেম্বর উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, এখনো ভোলা-বরিশাল সেতুর নকশার কাজই শুরু হয়নি, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তে আটকে আছে। তার এ কথার প্রতিবাদেই ক্ষিপ্ত হয়ে তিন উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারীরা। সেদিনই ভোলা থেকে ঢাকার সেতু ভবন অভিমুখে লংমার্চে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা তেতুলিয়া নদী সাঁতরে পাড়ি দিয়ে বরিশালে পৌঁছান। সেসময় টানা সাঁতার কেটে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক শিক্ষার্থী। আন্দোলনকারীদের পাঁচ দাবি হলো- ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান অগ্রগতি, ভোলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
বরিশাল-ভোলা সেতুর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকাস্থ ভোলা জেলার বাসিন্দারা। শুক্রবার, (২৮ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তারা শাহবাগে অবস্থান নেয়ার ফলে চারপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।’
ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই ঢাকায় ও ভোলায় নানান কর্মসূচি পালন করে আসছেন ভোলার বাসিন্দারা। এর ধারাবাহিকতায় বিকেলে কয়েকশ মানুষ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেতু নির্মাণের দাবির পাশাপাশি ভোলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ ও গ্যাস সংযোগ প্রদানের দাবিও তুলে ধরেন তারা।
গত ১৪ নভেম্বর ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দাবিতে ভোলায় সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবরুদ্ধ রেখে তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখায় একদল শিক্ষার্থী।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনকে সেদিন অন্তত ২০ মিনিট অবরুদ্ধ করেন রাখেন ‘আমরা-ভোলাবাসী’ সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ভোলায় দীর্ঘদিন ধরে চলা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈন উদ্দীন এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়।
কিন্তু গত ১৪ নভেম্বর উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, এখনো ভোলা-বরিশাল সেতুর নকশার কাজই শুরু হয়নি, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তে আটকে আছে। তার এ কথার প্রতিবাদেই ক্ষিপ্ত হয়ে তিন উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনকারীরা। সেদিনই ভোলা থেকে ঢাকার সেতু ভবন অভিমুখে লংমার্চে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা তেতুলিয়া নদী সাঁতরে পাড়ি দিয়ে বরিশালে পৌঁছান। সেসময় টানা সাঁতার কেটে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক শিক্ষার্থী। আন্দোলনকারীদের পাঁচ দাবি হলো- ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান অগ্রগতি, ভোলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।