ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলেই কমে যায় রাজধানীতে বাস চলাচল। অভিযান পরিচালনার সময় বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে বাস চালকরা। এতে পরিবহন সংকটে ভোগান্তি শিকার হতে হয় বলে যাত্রীরা জানান।
গতকাল গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিভিন্ন স্থানে ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন অপরাধে ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা ও ৯টি গাড়িকে ডাম্পিং-এ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাজধানীর রমনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৫টি ফিটনেসবিহীন বাসসহ ১৩ বাসের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
৫টি বাসের ফিটনেস না থাকায় ৫ মামলায় ৫ হাজার টাকা, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অপরাধে ১ বাসচালকের বিরুদ্ধে ৩ হাজার টাকা এবং আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাসসহ অন্য অপরাধে ৭টি বাসের বিরুদ্ধে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা বলে ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট দেখা দেয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলেই কমে যায় বাস চলাচল। অভিযান পরিচালনার সময় বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে বাস চালকরা। তাই অভিযান হলেও গণপরিবহনের মালিক ও চালকদের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা বন্ধ হবে না বলে জানান যাত্রীরা।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে গুলিস্তান এলাকায় রাসেল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীতে যাবো আধঘণ্টা যাবত দাঁড়িয়ে আছি। কোন বাস নেই। দুই-একটি আছে তাও অন্য রুটের। বিআরটিএ’র অভিযান চলছে তাই মিরপুর-যাত্রাবাড়ীর বাস বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল ১২টা বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে বাস-মিনিবাস কম চলাচল করতে দেখা গেছে। কারণ গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানের ভয়ে বাস বন্ধ রাখে চালকরা। অভিযান শেষ হলে আবার বিকেলের দিকে বাস চলাচল শুরু হয় বলে অনেক বাস স্টাফরা জানান।
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় মিলন নামের শিকড় পরিবহনের এক চালক সংবাদকে বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে প্রতিদিনেই মোবাইল কোর্ট অভিযান চলে। গত এক মাসে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছি। কোন কারণ নেই গাড়ি ধরলেই মামলা দেয়। কাগজ দেখে, সিট ঠিক নেই, লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ, লাইট ঠিক নেই নানা কারণে মামলা দেয়। সেজন্য অভিযান চললে গাড়ি বন্ধ রাখি। অভিযান শেষ হলে আবার শুরু করি। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করলে আবার সার্জেন্ট ধরে মামলা দেয়। গাড়ির সব ঠিক থাকলেও মামলা দেয়। বলে ট্রাফিক অমান্য করেছি। এ সব কিছু করে টাকার জন্য।’ গণপরিবহন শৃঙ্খলা করার আগে পুলিশ ও প্রশাসনকে ঠিক করতে হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক হেমায়েত উদ্দীন সংবাদকে বলেন, ‘সোমবার ঢাকায় ৭টি ও চট্টগ্রাম ২টি মোট ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে অনেক বাস বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। গতকালও বিভিন্ন অপরাধে ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর-মতিঝিল-কাঁচপুর রুটে ঢাকা নগর পরিবহন বাস সার্ভিস শুরু হবে। তাই বিআরটিএ’র সঙ্গে যৌথভাবে রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন এবং এক রুটের পারমিট নিয়ে অন্য রুটে চলাচলকারী বাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যৌথ অভিযানে ৫টি ফিটনেসবিহীন বাসসহ ১৩টি বাসের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান, রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিলা বিনতে মতিনের নেতৃত্বে এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মেঘলা পরিবহন, সাভার পরিবহন, মিডলাইন পরিবহন, শুভযাত্রা, বঙ্গবন্ধু পরিবহন ও দিশারী পরিবহনের মোট ১৩টি বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে বহুল প্রতীক্ষিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের প্রথম পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হচ্ছে। সে লক্ষ্যে আমরা অভিযান জোরদার করেছি। পরীক্ষামূলক যাত্রার নির্ধারিত রুটসহ অন্য রুটে রুট পারমিটবিহীন, ফিটনেসবিহীন এবং এক পারমিট নিয়ে অন্য রুটে পরিচালনা করা বাসের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।’
মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলেই কমে যায় রাজধানীতে বাস চলাচল। অভিযান পরিচালনার সময় বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে বাস চালকরা। এতে পরিবহন সংকটে ভোগান্তি শিকার হতে হয় বলে যাত্রীরা জানান।
গতকাল গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিভিন্ন স্থানে ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন অপরাধে ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা ও ৯টি গাড়িকে ডাম্পিং-এ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাজধানীর রমনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৫টি ফিটনেসবিহীন বাসসহ ১৩ বাসের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
৫টি বাসের ফিটনেস না থাকায় ৫ মামলায় ৫ হাজার টাকা, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অপরাধে ১ বাসচালকের বিরুদ্ধে ৩ হাজার টাকা এবং আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাসসহ অন্য অপরাধে ৭টি বাসের বিরুদ্ধে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা বলে ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট দেখা দেয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলেই কমে যায় বাস চলাচল। অভিযান পরিচালনার সময় বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে বাস চালকরা। তাই অভিযান হলেও গণপরিবহনের মালিক ও চালকদের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা বন্ধ হবে না বলে জানান যাত্রীরা।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে গুলিস্তান এলাকায় রাসেল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীতে যাবো আধঘণ্টা যাবত দাঁড়িয়ে আছি। কোন বাস নেই। দুই-একটি আছে তাও অন্য রুটের। বিআরটিএ’র অভিযান চলছে তাই মিরপুর-যাত্রাবাড়ীর বাস বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল ১২টা বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে বাস-মিনিবাস কম চলাচল করতে দেখা গেছে। কারণ গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানের ভয়ে বাস বন্ধ রাখে চালকরা। অভিযান শেষ হলে আবার বিকেলের দিকে বাস চলাচল শুরু হয় বলে অনেক বাস স্টাফরা জানান।
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় মিলন নামের শিকড় পরিবহনের এক চালক সংবাদকে বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে প্রতিদিনেই মোবাইল কোর্ট অভিযান চলে। গত এক মাসে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছি। কোন কারণ নেই গাড়ি ধরলেই মামলা দেয়। কাগজ দেখে, সিট ঠিক নেই, লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ, লাইট ঠিক নেই নানা কারণে মামলা দেয়। সেজন্য অভিযান চললে গাড়ি বন্ধ রাখি। অভিযান শেষ হলে আবার শুরু করি। বিকল্প সড়ক ব্যবহার করলে আবার সার্জেন্ট ধরে মামলা দেয়। গাড়ির সব ঠিক থাকলেও মামলা দেয়। বলে ট্রাফিক অমান্য করেছি। এ সব কিছু করে টাকার জন্য।’ গণপরিবহন শৃঙ্খলা করার আগে পুলিশ ও প্রশাসনকে ঠিক করতে হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক হেমায়েত উদ্দীন সংবাদকে বলেন, ‘সোমবার ঢাকায় ৭টি ও চট্টগ্রাম ২টি মোট ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে অনেক বাস বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। গতকালও বিভিন্ন অপরাধে ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর-মতিঝিল-কাঁচপুর রুটে ঢাকা নগর পরিবহন বাস সার্ভিস শুরু হবে। তাই বিআরটিএ’র সঙ্গে যৌথভাবে রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন এবং এক রুটের পারমিট নিয়ে অন্য রুটে চলাচলকারী বাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যৌথ অভিযানে ৫টি ফিটনেসবিহীন বাসসহ ১৩টি বাসের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান, রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিলা বিনতে মতিনের নেতৃত্বে এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মেঘলা পরিবহন, সাভার পরিবহন, মিডলাইন পরিবহন, শুভযাত্রা, বঙ্গবন্ধু পরিবহন ও দিশারী পরিবহনের মোট ১৩টি বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে বহুল প্রতীক্ষিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের প্রথম পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হচ্ছে। সে লক্ষ্যে আমরা অভিযান জোরদার করেছি। পরীক্ষামূলক যাত্রার নির্ধারিত রুটসহ অন্য রুটে রুট পারমিটবিহীন, ফিটনেসবিহীন এবং এক পারমিট নিয়ে অন্য রুটে পরিচালনা করা বাসের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।’