মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইন শুরু
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন ঢাকা উত্তরের মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে, কারণ একটি সিটির মধ্যে এরকম হোল সেল মার্কেট থাকতে পারে না। গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চাচ্ছি কারওয়ান বাজারকে কীভাবে একটি আধুনিক মার্কেট করা যায়। কারওয়ান বাজারকে সরিয়ে গাবতলী এবং সায়েদাবাদে নিয়ে যাওয়া যায় এরকম পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে। কারওয়ান বাজারকে সরিয়ে এখানে অত্যাধুনিক হাব বিজনেস সেন্টার হবে। সেই পরিকল্পনা আমরা করে ফেলেছি। আমি সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, একটি সিটির মধ্যে এরকম হোল সেল মার্কে থাকতে পারে না। দোকান মালিক সমিতি, এই এলাকার সংসদ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা সবাই মিলে আলাপ করেছি। কারওয়ান বাজার সরিয়ে কীভাবে গাবতলী নিতে পারি, কারওয়ান বাজার সরিয়ে কীভাবে সায়েদাবাদে নিতে পারি এভাবে আমরা ইমপ্লিকেশন করছি। আমরা মনে করি, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে বাংলাদেশ। তখন কিন্তু কারওয়ান বাজারের চেহারাও পাল্টে যাবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রাতে কাজ করছি। সকালে দোকান খুলেই দোকানের ময়লা রাস্তার ওপর ফেলে দিচ্ছে। আমাদের সেই চ্যালেঞ্জগুলো আছে। আমাদের গাড়ি আছে, ড্রাইভার নেই। ড্রাইভার আছে, তার লাইসেন্স নেই। এটি এক দিনে হয়নি। এটা যুগে যুগে হয়ে আজ এই অচলাবস্থার সৃষ্টি। এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমরা কাজগুলো করছি। সিটি করপোরেশনের গাড়ি ব্যবস্থাপনা যেটা আছে এটিকে কীভাবে আধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনা হবে সেই কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা দেখছি, যত ডোবা ছিল সেগুলো ভরাট হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উঠছে। অর্থাৎ আমাদের জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মেট্রো রেল থেকে শুরু সব কাজ চলছে। আমি বলবো যারা নির্মাণ কাজ করছেন, তারা যদি দায়িত্ব নিয়ে আপনার এলাকায় পানি ছিটিয়ে দেন তাহলে বায়ু দূষণ অনেক কমে যায়। এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রো রেলসহ যেসব কাজ হচ্ছে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে সকালে শুধু পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। সেটা যদি না করেন তাহলে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, আমরা ব্যবস্থা নেব বলেন আতিকুল।
এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় ১০ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইন। যা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ও সাধারণ সর্বমোট ৭২ জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে ১০ দিনে প্রায় ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে। শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড ও কাঁচাবাজারসহ জনসমাগমস্থলে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।
ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করে মেয়র নিজে কারওয়ান বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। যারা মাস্ক পরেনি তাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন। এ সময় মেয়র বলেন, নিজে সুস্থ থাকার জন্য মাস্ক পরতে হবে। আপনি মাস্ক পরলে যেমন ভালো থাকবেন তেমনি আপনার পরিবারের সদস্যসহ অন্য মানুষরাও ভালো থাকবে। তাই নিজের জন্য এবং সবার জন্য আপনাকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমারা সচেতনতা সৃষ্টি করতে এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছি, ক্যাম্পেইনে আমরা ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করব। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ক্যাম্পেইন সময় এবং মাস্ক বিতরণের সংখ্যা আরও বাড়াব। এছাড়া প্রথমে আমারা সচেতনতা সৃষ্টির পর পরবর্তী সময়ে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা করব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসির সব কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ইতোমধ্যে এ ৫ লাখ মাস্ক পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনের ১০ দিনে প্রায় ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে।
এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় জনসচেতনতামূলক বার্তা মাইকিং করে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে আগত মুসল্লিদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ এবং জনস্বার্থে জারিকরা সরকারি নির্দেশনাসমূহ মসজিদের মাইকে প্রচারের জন্য বলা হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে।
মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইন শুরু
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন ঢাকা উত্তরের মেয়র
রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে, কারণ একটি সিটির মধ্যে এরকম হোল সেল মার্কেট থাকতে পারে না। গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চাচ্ছি কারওয়ান বাজারকে কীভাবে একটি আধুনিক মার্কেট করা যায়। কারওয়ান বাজারকে সরিয়ে গাবতলী এবং সায়েদাবাদে নিয়ে যাওয়া যায় এরকম পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে। কারওয়ান বাজারকে সরিয়ে এখানে অত্যাধুনিক হাব বিজনেস সেন্টার হবে। সেই পরিকল্পনা আমরা করে ফেলেছি। আমি সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, একটি সিটির মধ্যে এরকম হোল সেল মার্কে থাকতে পারে না। দোকান মালিক সমিতি, এই এলাকার সংসদ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা সবাই মিলে আলাপ করেছি। কারওয়ান বাজার সরিয়ে কীভাবে গাবতলী নিতে পারি, কারওয়ান বাজার সরিয়ে কীভাবে সায়েদাবাদে নিতে পারি এভাবে আমরা ইমপ্লিকেশন করছি। আমরা মনে করি, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে বাংলাদেশ। তখন কিন্তু কারওয়ান বাজারের চেহারাও পাল্টে যাবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রাতে কাজ করছি। সকালে দোকান খুলেই দোকানের ময়লা রাস্তার ওপর ফেলে দিচ্ছে। আমাদের সেই চ্যালেঞ্জগুলো আছে। আমাদের গাড়ি আছে, ড্রাইভার নেই। ড্রাইভার আছে, তার লাইসেন্স নেই। এটি এক দিনে হয়নি। এটা যুগে যুগে হয়ে আজ এই অচলাবস্থার সৃষ্টি। এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমরা কাজগুলো করছি। সিটি করপোরেশনের গাড়ি ব্যবস্থাপনা যেটা আছে এটিকে কীভাবে আধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনা হবে সেই কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা দেখছি, যত ডোবা ছিল সেগুলো ভরাট হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উঠছে। অর্থাৎ আমাদের জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মেট্রো রেল থেকে শুরু সব কাজ চলছে। আমি বলবো যারা নির্মাণ কাজ করছেন, তারা যদি দায়িত্ব নিয়ে আপনার এলাকায় পানি ছিটিয়ে দেন তাহলে বায়ু দূষণ অনেক কমে যায়। এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রো রেলসহ যেসব কাজ হচ্ছে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে সকালে শুধু পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। সেটা যদি না করেন তাহলে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, আমরা ব্যবস্থা নেব বলেন আতিকুল।
এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় ১০ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইন। যা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ও সাধারণ সর্বমোট ৭২ জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে ১০ দিনে প্রায় ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে। শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড ও কাঁচাবাজারসহ জনসমাগমস্থলে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।
ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করে মেয়র নিজে কারওয়ান বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। যারা মাস্ক পরেনি তাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন। এ সময় মেয়র বলেন, নিজে সুস্থ থাকার জন্য মাস্ক পরতে হবে। আপনি মাস্ক পরলে যেমন ভালো থাকবেন তেমনি আপনার পরিবারের সদস্যসহ অন্য মানুষরাও ভালো থাকবে। তাই নিজের জন্য এবং সবার জন্য আপনাকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমারা সচেতনতা সৃষ্টি করতে এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছি, ক্যাম্পেইনে আমরা ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করব। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ক্যাম্পেইন সময় এবং মাস্ক বিতরণের সংখ্যা আরও বাড়াব। এছাড়া প্রথমে আমারা সচেতনতা সৃষ্টির পর পরবর্তী সময়ে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা করব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসির সব কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ইতোমধ্যে এ ৫ লাখ মাস্ক পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনের ১০ দিনে প্রায় ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে।
এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় জনসচেতনতামূলক বার্তা মাইকিং করে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে আগত মুসল্লিদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ এবং জনস্বার্থে জারিকরা সরকারি নির্দেশনাসমূহ মসজিদের মাইকে প্রচারের জন্য বলা হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে।