বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ আগস্ট হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তার মতে, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্বাস্থ্য খাতে দেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের বেড সংখ্যা ৭৫০টি। প্রাপ্ত তথ্য মতে, শাহবাগে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি চালু হলে রোগীদের আর বিদেশ যেতে হবে না। কিংবা বিদেশ যাওয়া কমবে। এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৫ হাজারেরও বেশি রোগী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
হাসপাতালের সেবার মান বিশ্বমানের করতে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সদের দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৬টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে। হাসপাতালটিতে কার্যক্রম চালু হলে সেখানে প্রায় দুই বছরের জন্য ৫৬ জন কোরিয়ান কনসালটেন্ট থাকবে। দেশীয় জনবলকে প্রশিক্ষিত করতে তারা ভূমিকা রাখবেন।
সাধারণ মানুষকে এ হাসপাতালে সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দেয়া হবে। এ চিকিৎসা সেবা পেতে প্রথমে ৩০ টাকায় টিকেট সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর ভর্তিকৃত রোগীদের জন্য সর্বাধুনিক কেবিন থাকবে। থাকবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাও। বিশেষায়িত সব ধরনের সেবা নিয়ে দেশে এই প্রথম সেন্টারভিত্তিক হাসপাতাল।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে ১০০ শয্যার আইসিইউ, ১০০ বেডের জরুরি বিভাগ, ১৪টি অপারেশন থিয়েটার, ৬টি ভিভিআইপি কেবিন, ভিআইপি কেবিন ২২টি, ডিলাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি, সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে ৮টি বেড থাকবে। আর হাসপাতালের গুণগত মান ধরে রাখতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বেশিরভাগ আসবাবপত্র আনা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ হাসপাতালে প্রথম পর্যায়ে থাকবে, স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রো অ্যান্টোরোলজি সেন্টার, কার্ডিও ভাস্কুলার সেন্টার, কিডনি সেন্টার।
দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে, রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি সেন্টার ও ফিজিক্যাল মেডিসিন সেন্টার।
এছাড়া এ হাসপাতালে আরও বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। থাকবে ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টার। প্রাপ্ত তথ্য মতে, হাসপাতালটির নির্মাণ ব্যয় ১৩শ’ কোটি টাকা। এরমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ হাসপাতালটি চালু হলে রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, এটা আসলে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালের আদলে সার্ভিস হসপিটালের মতোই হবে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ আগস্ট হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তার মতে, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্বাস্থ্য খাতে দেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের বেড সংখ্যা ৭৫০টি। প্রাপ্ত তথ্য মতে, শাহবাগে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি চালু হলে রোগীদের আর বিদেশ যেতে হবে না। কিংবা বিদেশ যাওয়া কমবে। এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৫ হাজারেরও বেশি রোগী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
হাসপাতালের সেবার মান বিশ্বমানের করতে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সদের দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৬টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে। হাসপাতালটিতে কার্যক্রম চালু হলে সেখানে প্রায় দুই বছরের জন্য ৫৬ জন কোরিয়ান কনসালটেন্ট থাকবে। দেশীয় জনবলকে প্রশিক্ষিত করতে তারা ভূমিকা রাখবেন।
সাধারণ মানুষকে এ হাসপাতালে সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দেয়া হবে। এ চিকিৎসা সেবা পেতে প্রথমে ৩০ টাকায় টিকেট সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর ভর্তিকৃত রোগীদের জন্য সর্বাধুনিক কেবিন থাকবে। থাকবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাও। বিশেষায়িত সব ধরনের সেবা নিয়ে দেশে এই প্রথম সেন্টারভিত্তিক হাসপাতাল।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে ১০০ শয্যার আইসিইউ, ১০০ বেডের জরুরি বিভাগ, ১৪টি অপারেশন থিয়েটার, ৬টি ভিভিআইপি কেবিন, ভিআইপি কেবিন ২২টি, ডিলাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি, সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে ৮টি বেড থাকবে। আর হাসপাতালের গুণগত মান ধরে রাখতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বেশিরভাগ আসবাবপত্র আনা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ হাসপাতালে প্রথম পর্যায়ে থাকবে, স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রো অ্যান্টোরোলজি সেন্টার, কার্ডিও ভাস্কুলার সেন্টার, কিডনি সেন্টার।
দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে, রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি সেন্টার ও ফিজিক্যাল মেডিসিন সেন্টার।
এছাড়া এ হাসপাতালে আরও বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। থাকবে ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টার। প্রাপ্ত তথ্য মতে, হাসপাতালটির নির্মাণ ব্যয় ১৩শ’ কোটি টাকা। এরমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ হাসপাতালটি চালু হলে রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, এটা আসলে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালের আদলে সার্ভিস হসপিটালের মতোই হবে।