alt

নগর-মহানগর

উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া কর্মকর্তাদের পুলিশি বাধা ও গ্রেপ্তারের হুমকির অভিযোগ

ডিএনসিসি তো বক্স করে দেবে, উল্টো কেন তারা বক্স ভাঙবে : এডিসি রোমানা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর আসাদ গেট এলাকায় ‘ফুটপাত দখল করে’ গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ বক্সও। বক্স অপসারণে গিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের বাধার কারণে ‘অবৈধ’ ট্রাফিক বক্সটি অপসারণ না করেই ফিরে এসেছে ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকারী দলটি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই বক্সটি ভাঙার কথা তারা কাউকে জানায়নি।

ডিএনসিসির অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশ বক্স উচ্ছেদ করতে গিয়ে ‘পুলিশের বাধার সম্মুখীন’ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডিএনসিসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে পুলিশ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সেখানকার পুলিশ সদস্যরা শুধু তাদের উচ্ছেদের কাজেই বাধা দেননি, তারা উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহৃত ডাম্প ট্রাক ও পে-লোডার জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানোসহ গ্রেপ্তারের হুমকিও দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, তারা মিথ্যা বলছে, এসবে কোন প্রমাণ নেই।

সেখানে অবস্থান করা ডিএনসিরি উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান সংবাদকে জানান, গত সোমবার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদসহ তারা মোহাম্মদপুরের আসাদগেট থেকে একটি সভা শেষে ফিরছিলেন। এ সময় তারা দেখতে পান, আসাদগেটে সড়ক বিভাজকের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের বসার জন্য এক কক্ষের ঘর করেছে। পাকা ওই ঘর তৈরির কাজ চলছে। বিষয়টি দেখে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নেমে পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘এই ঘরটি কার? তখন সেখানকার পুলিশ সদস্যরা জানান তারা জানেন না। পরবর্তীতে আসার সময় স্যার সেখানকার পুলিশ সদস্যদের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বলেন; যদি কারো সন্ধান পাওয়া যায় তবে যেন যোগাযোগ করেন।’ কিন্তু তারা কোন যোগাযোগ না করায় মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে আমরা উচ্ছেদে যাই।

তিনি আরও বলেন, সিটি কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে পে-লোডার, ডাম্প ট্রাক প্রস্তুত করে অভিযানে যান উত্তর সিটির কর্মকর্তারা। এ সময় সেখানে তিন থেকে চারজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তারা মুঠোফোনে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ডেকে আনেন। পুলিশের কর্মকর্তারা এসেই বলতে শুরু করেন, ‘ওদের অ্যারেস্ট করেন, পে-লোডার ডাম্পিংয়ে নিয়ে যান।’ সঙ্গে অনেক হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।

মফিজুর রহমান আরও জানান, উচ্ছেদ করতে আসার আগে কেন পুলিশকে জানায়নি। তারা ‘জামাত শিবিরের লোক’ তারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এগুলো করছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেন।

এমন ঘটনার পর বিষয়টি তাৎক্ষণিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদকে জানানো হলে তিনি পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি অভিযান না করে সবাইকে চলে যেতে বলেন। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি বলেও জানান তিনি।

অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ সংবাদকে বলেন, আসাদ অ্যাভিনিউয়ে সড়ক বিভাজকে আসাদের যে স্মৃতি ফলক আছে, সেটি নির্মাণাধীন পুলিশ বক্সের কারণে আড়াল হয়ে গেছে। সকালে এটি ভাঙতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ছিলেন।

ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশের বাধার বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কোথাও পুলিশের বক্স করতে হলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনকে জানাতে হবে। না জানিয়ে রাস্তায় কোন স্থাপনা করা যাবে না।’

ট্রাফিক পুলিশের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সারাদিন রাস্তায় থাকেন। তাদের জামাকাপড়, জিনিসপত্র রাখার জন্য বক্স করা হয়। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচতেও তাদের একটু জায়গার প্রয়োজন হয়।

এডিসি ট্রাফিক তেঁজগাও কাজী রোমানা নাসরিন সংবাদকে বলেন, ‘পুলিশ বক্স ভাঙবে তারা তো কাউকে জানায়নি। হঠাৎ করে যে বক্স ভেঙে ফেলবে এটা আবার কেমন কথা। তারা তো আমাদের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি।’

‘কোন কারণ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভেঙে ফেলবে কেন? ট্রাফিক পুলিশ তো সারাক্ষণ জণগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। রোদ বৃষ্টিতে তাদের ছাতাটা রাখা, পানির বোতল রাখা, ডিউটিতে আসে ব্যাগটা রাখা, এগুলো কোথায় রাখবে তারা। তাহলে কী আমাদের ট্রাফিক একটা জিনিস রাখতেও পারবে না, একটু বসতেও পারবে না।’ বলে প্রশ্ন তার।

‘ডিএনসিসি তো বক্স করে দিবে উল্টো কেন তারা বক্স ভাঙবে।’

‘অভিযোগ তখনই আসতো যখন আমরা জানতাম আমাদের ওনারা ইনফর্ম করতেছে, আসছে আমি তো নিজেই জানি না।’

পলিশ সদস্যরা ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগেুলো অসত্য কথা। কোন প্রমাণ আছে, ভিডিও আছে, অডিও আছে।’

ছবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রীন ফোর্স বাংলাদেশের পথচলা শুরু

ছবি

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হলো আহমেদ আকবর সোবহানকে, তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন মোড়

ছবি

‘শাটডাউন’ আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে এনবিআর সেবা অপরিহার্য ঘোষণা

ছবি

এক রাতেই ঢাকার সড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

ছবি

অবাঞ্ছিত ঘোষণার মধ্যেও এনবিআর চেয়ারম্যান দায়িত্বে, চলছে আন্দোলন

অবশেষে নগর ভবনে ফিরলেন প্রশাসক শাহজাহান মিয়া

ছবি

অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচারের অভিযোগে হাছান মাহমুদের ৯টি হিসাব ও গাড়ি জব্দ

ছবি

বিএনপির মামলায় গ্রেপ্তারের পর সাবেক সিইসিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ছবি

বৈঠকে ‘সন্তুষ্ট’ হলেও ক্লাসে ফিরছে না মেডিকেল শিক্ষার্থীরা, সিদ্ধান্ত কাল

ছবি

‘মব সংস্কৃতির’ হুমকি বাড়ছে, সাবেক সিইসির লাঞ্ছনায় তীব্র সমালোচনা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের

ছবি

ঢাকা মেডিকেল অ্যালামনাই ট্রাস্টের নেতৃত্বে নতুন কমিটি, চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন

ছবি

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা আন্দোলনে সাময়িক বিরতি

ছবি

পল্লবীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত

ছবি

উত্তরায় সাবেক সিইসি আটক, উচ্ছৃংখল ‘জনতার’ হাতে লাঞ্ছিত

ছবি

নতুন আইন মানি না, বাতিল চাই’: কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মচারীদের

ছবি

ঢাকায় শুরু হলো ‘চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ’

ছবি

গায়েবি মামলার সংস্কৃতিতে বিনিয়োগ স্থবির, সমাধানে বাজেটে কিছুই নেই: হোসেন জিল্লুর রহমান

ছবি

প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ল পুলিশ, ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থী

ছবি

ছাত্রদলের মিছিলে হামলার চেষ্টায় চারজন গ্রেপ্তার, উদ্ধার বিস্ফোরক-অস্ত্র

ছবি

ঐক্য পরিষদের আহ্বানে এনবিআরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি

ছবি

দুর্নীতি-অপচয় বন্ধে ইতিবাচক উদাহরণ রেখে যেতে চান ফাওজুল কবির

ছবি

নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ, অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ঘোষণা ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

ছবি

হল ত্যাগের নির্দেশ, বন্ধ ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম

ছবি

এনবিআর-বিডা কার্যালয় এলাকায় সভা-সমাবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

ছবি

জনশৃঙ্খলার স্বার্থে ডিএমপির নতুন গণবিজ্ঞপ্তি

ছবি

‘অবৈধ বহিষ্কারাদেশ’ বাতিলের দাবি, নতুনবাজার অবরোধ ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

ছবি

রাজধানীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বাহার আটক

ছবি

গোপন আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব অস্বীকার নয়, রাষ্ট্রীয় দমননীতির অংশ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে গুম: কমিশন

ছবি

চাকরি ফেরতের দাবিতে প্রেসক্লাবমুখী মিছিল ইআরপিপি কর্মীদের

চট্টগ্রামে ঝুলে রয়েছে ২১ হাজার ৬০৩টি এনআইডি সংশোধনের আবেদন

ছবি

সচিবালয়ের ভেতর বিক্ষোভ, উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা

ছবি

অধ্যাদেশ বাতিল ও মহার্ঘ ভাতার দাবিতে প্রতিবাদে উত্তাল সচিবালয়ের সামন

ছবি

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ফের আন্দোলন

ছুটি শেষে অফিস খুলতেই সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন ফের শুরু

ছবি

মক্কা-মদিনায় তাপমাত্রা বাড়ায় হাজিদের দিনভর বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ

tab

নগর-মহানগর

উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া কর্মকর্তাদের পুলিশি বাধা ও গ্রেপ্তারের হুমকির অভিযোগ

ডিএনসিসি তো বক্স করে দেবে, উল্টো কেন তারা বক্স ভাঙবে : এডিসি রোমানা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর আসাদ গেট এলাকায় ‘ফুটপাত দখল করে’ গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ বক্সও। বক্স অপসারণে গিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের বাধার কারণে ‘অবৈধ’ ট্রাফিক বক্সটি অপসারণ না করেই ফিরে এসেছে ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকারী দলটি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই বক্সটি ভাঙার কথা তারা কাউকে জানায়নি।

ডিএনসিসির অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশ বক্স উচ্ছেদ করতে গিয়ে ‘পুলিশের বাধার সম্মুখীন’ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডিএনসিসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে পুলিশ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সেখানকার পুলিশ সদস্যরা শুধু তাদের উচ্ছেদের কাজেই বাধা দেননি, তারা উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহৃত ডাম্প ট্রাক ও পে-লোডার জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানোসহ গ্রেপ্তারের হুমকিও দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, তারা মিথ্যা বলছে, এসবে কোন প্রমাণ নেই।

সেখানে অবস্থান করা ডিএনসিরি উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান সংবাদকে জানান, গত সোমবার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদসহ তারা মোহাম্মদপুরের আসাদগেট থেকে একটি সভা শেষে ফিরছিলেন। এ সময় তারা দেখতে পান, আসাদগেটে সড়ক বিভাজকের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের বসার জন্য এক কক্ষের ঘর করেছে। পাকা ওই ঘর তৈরির কাজ চলছে। বিষয়টি দেখে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নেমে পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘এই ঘরটি কার? তখন সেখানকার পুলিশ সদস্যরা জানান তারা জানেন না। পরবর্তীতে আসার সময় স্যার সেখানকার পুলিশ সদস্যদের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বলেন; যদি কারো সন্ধান পাওয়া যায় তবে যেন যোগাযোগ করেন।’ কিন্তু তারা কোন যোগাযোগ না করায় মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে আমরা উচ্ছেদে যাই।

তিনি আরও বলেন, সিটি কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে পে-লোডার, ডাম্প ট্রাক প্রস্তুত করে অভিযানে যান উত্তর সিটির কর্মকর্তারা। এ সময় সেখানে তিন থেকে চারজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তারা মুঠোফোনে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ডেকে আনেন। পুলিশের কর্মকর্তারা এসেই বলতে শুরু করেন, ‘ওদের অ্যারেস্ট করেন, পে-লোডার ডাম্পিংয়ে নিয়ে যান।’ সঙ্গে অনেক হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।

মফিজুর রহমান আরও জানান, উচ্ছেদ করতে আসার আগে কেন পুলিশকে জানায়নি। তারা ‘জামাত শিবিরের লোক’ তারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এগুলো করছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেন।

এমন ঘটনার পর বিষয়টি তাৎক্ষণিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদকে জানানো হলে তিনি পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি অভিযান না করে সবাইকে চলে যেতে বলেন। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি বলেও জানান তিনি।

অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ সংবাদকে বলেন, আসাদ অ্যাভিনিউয়ে সড়ক বিভাজকে আসাদের যে স্মৃতি ফলক আছে, সেটি নির্মাণাধীন পুলিশ বক্সের কারণে আড়াল হয়ে গেছে। সকালে এটি ভাঙতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ছিলেন।

ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশের বাধার বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কোথাও পুলিশের বক্স করতে হলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনকে জানাতে হবে। না জানিয়ে রাস্তায় কোন স্থাপনা করা যাবে না।’

ট্রাফিক পুলিশের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সারাদিন রাস্তায় থাকেন। তাদের জামাকাপড়, জিনিসপত্র রাখার জন্য বক্স করা হয়। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচতেও তাদের একটু জায়গার প্রয়োজন হয়।

এডিসি ট্রাফিক তেঁজগাও কাজী রোমানা নাসরিন সংবাদকে বলেন, ‘পুলিশ বক্স ভাঙবে তারা তো কাউকে জানায়নি। হঠাৎ করে যে বক্স ভেঙে ফেলবে এটা আবার কেমন কথা। তারা তো আমাদের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি।’

‘কোন কারণ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভেঙে ফেলবে কেন? ট্রাফিক পুলিশ তো সারাক্ষণ জণগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। রোদ বৃষ্টিতে তাদের ছাতাটা রাখা, পানির বোতল রাখা, ডিউটিতে আসে ব্যাগটা রাখা, এগুলো কোথায় রাখবে তারা। তাহলে কী আমাদের ট্রাফিক একটা জিনিস রাখতেও পারবে না, একটু বসতেও পারবে না।’ বলে প্রশ্ন তার।

‘ডিএনসিসি তো বক্স করে দিবে উল্টো কেন তারা বক্স ভাঙবে।’

‘অভিযোগ তখনই আসতো যখন আমরা জানতাম আমাদের ওনারা ইনফর্ম করতেছে, আসছে আমি তো নিজেই জানি না।’

পলিশ সদস্যরা ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগেুলো অসত্য কথা। কোন প্রমাণ আছে, ভিডিও আছে, অডিও আছে।’

back to top