অসহনীয় গরম ও লাগামছাড়া লোডশেডিংয়ের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ওয়াসা পানি সরবরাহ করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। কিন্তু ঢাকা ওয়াসার এমডি তাদের কোন দোষ খুঁজে পাননি।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। ঢাকা ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা শহরে প্রতিদিন ২৫৫ থেকে ২৬০ কোটি লিটার পানির প্রয়োজন হয়। ওয়াসা প্রায় ২৮০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে। কিন্তু সরবরাহকালে অপচয় (সিস্টেম লস, যা প্রায় ২০ শতাংশ) এবং পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে মাঝেমধ্যেই এলাকাভিত্তিক কিছু সমস্যা তৈরি হয়। ওয়াসা বলছে, গরমের কারণে এখন পানির চাহিদা বেড়ে দৈনিক ৩০০ কোটি লিটারের কাছাকাছি চলে গেছে। ফলে বেশিসংখ্যক এলাকায় সংকট দেখা দিয়েছে।
তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমাদের প্রোডাকশনের ইকুইপমেন্টে বা যন্ত্রপাতিতে কোন সমস্যা নেই। পানি না পাওয়ার একমাত্র কারণ লোডশেডিং। আমাদের দিক থেকে কোন সমস্যা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পানি প্রোডাকশন আমরা করতে পারছি, কিন্তু এটা সাপ্লাই দেয়ার জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিছুদিন ধরে আমরা ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। ফলে আমাদের পাম্পগুলো বন্ধ থাকছে। লোডশেডিংয়ের কারণে পানিতে প্রেসার দিয়ে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পাম্পের ডিপ টিউবওয়েলগুলো বন্ধ থাকছে। ফলে পানি পৌঁছানো যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার ১০টি জোনের মধ্যে ৪টি জোনে বেশি সমস্যা হচ্ছে। গাড়িতে করে পানি সরবরাহ করতেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারণ গাড়িতে অনেক সময় পানি ভর্তি করা যাচ্ছে না। পানি সরবরাহ করতে আমাদের ৪৮টি গাড়ি দিয়ে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জেনারেটর দিয়ে পাম্পগুলোকে সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু জেনারেটরে বিদ্যুতের মতো প্রেসার পাওয়া যাচ্ছে না।’
তাপমাত্রা কমে গিয়ে বৃষ্টি হলে এবং লোডশেডিং কমে গেলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানান তিনি। ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমরা নিজেরা বার বার মিটিং করে কর্মীদের সর্বোচ্চ এফোর্ট দিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি।’
তিনি জানান, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার উৎপাদিত পানির প্রায় ৬৭ শতাংশ আসে ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে। বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে গভীর নলকূপ দিয়ে টেনে এই পানি তোলা হয়। সংস্থাটির তথ্য বলছে, এখন ঢাকা ওয়াসার ১ হাজার ৬১টি পাম্প (স্ট্যান্ডবাইসহ) রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে ওয়াসা নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে পাম্পগুলো চালায়। তবে জেনারেটর দিয়ে সব পাম্প চালানোর মতো সক্ষমতা ওয়াসার নেই। অনেক পাম্প বন্ধ রাখতে হয়।
সংস্থাটির একটি সূত্র বলছে, ঢাকা ওয়াসায় এখন সব মিলিয়ে ৪০০টির মতো জেনারেটর আছে।
ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাটি ১০টি জোন বা অঞ্চলে বিভক্ত। অঞ্চলগুলো থেকে গত সোমবারের সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা গেছে, পাঁচটি অঞ্চলে (১, ২, ৩, ৫ ও ১০) বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে বেশি সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব অঞ্চলের পাম্পগুলো গত সোমবার মোট ১৫৮ বার বিদ্যুতের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগের দিন এসব অঞ্চলের পাম্প ১৪৯ বার বিদ্যুৎবিভ্রাটের শিকার হয়।
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
অসহনীয় গরম ও লাগামছাড়া লোডশেডিংয়ের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ওয়াসা পানি সরবরাহ করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। কিন্তু ঢাকা ওয়াসার এমডি তাদের কোন দোষ খুঁজে পাননি।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। ঢাকা ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা শহরে প্রতিদিন ২৫৫ থেকে ২৬০ কোটি লিটার পানির প্রয়োজন হয়। ওয়াসা প্রায় ২৮০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে। কিন্তু সরবরাহকালে অপচয় (সিস্টেম লস, যা প্রায় ২০ শতাংশ) এবং পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে মাঝেমধ্যেই এলাকাভিত্তিক কিছু সমস্যা তৈরি হয়। ওয়াসা বলছে, গরমের কারণে এখন পানির চাহিদা বেড়ে দৈনিক ৩০০ কোটি লিটারের কাছাকাছি চলে গেছে। ফলে বেশিসংখ্যক এলাকায় সংকট দেখা দিয়েছে।
তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমাদের প্রোডাকশনের ইকুইপমেন্টে বা যন্ত্রপাতিতে কোন সমস্যা নেই। পানি না পাওয়ার একমাত্র কারণ লোডশেডিং। আমাদের দিক থেকে কোন সমস্যা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পানি প্রোডাকশন আমরা করতে পারছি, কিন্তু এটা সাপ্লাই দেয়ার জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিছুদিন ধরে আমরা ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। ফলে আমাদের পাম্পগুলো বন্ধ থাকছে। লোডশেডিংয়ের কারণে পানিতে প্রেসার দিয়ে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পাম্পের ডিপ টিউবওয়েলগুলো বন্ধ থাকছে। ফলে পানি পৌঁছানো যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার ১০টি জোনের মধ্যে ৪টি জোনে বেশি সমস্যা হচ্ছে। গাড়িতে করে পানি সরবরাহ করতেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারণ গাড়িতে অনেক সময় পানি ভর্তি করা যাচ্ছে না। পানি সরবরাহ করতে আমাদের ৪৮টি গাড়ি দিয়ে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জেনারেটর দিয়ে পাম্পগুলোকে সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু জেনারেটরে বিদ্যুতের মতো প্রেসার পাওয়া যাচ্ছে না।’
তাপমাত্রা কমে গিয়ে বৃষ্টি হলে এবং লোডশেডিং কমে গেলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানান তিনি। ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমরা নিজেরা বার বার মিটিং করে কর্মীদের সর্বোচ্চ এফোর্ট দিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি।’
তিনি জানান, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার উৎপাদিত পানির প্রায় ৬৭ শতাংশ আসে ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে। বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে গভীর নলকূপ দিয়ে টেনে এই পানি তোলা হয়। সংস্থাটির তথ্য বলছে, এখন ঢাকা ওয়াসার ১ হাজার ৬১টি পাম্প (স্ট্যান্ডবাইসহ) রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে ওয়াসা নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে পাম্পগুলো চালায়। তবে জেনারেটর দিয়ে সব পাম্প চালানোর মতো সক্ষমতা ওয়াসার নেই। অনেক পাম্প বন্ধ রাখতে হয়।
সংস্থাটির একটি সূত্র বলছে, ঢাকা ওয়াসায় এখন সব মিলিয়ে ৪০০টির মতো জেনারেটর আছে।
ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাটি ১০টি জোন বা অঞ্চলে বিভক্ত। অঞ্চলগুলো থেকে গত সোমবারের সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা গেছে, পাঁচটি অঞ্চলে (১, ২, ৩, ৫ ও ১০) বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে বেশি সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব অঞ্চলের পাম্পগুলো গত সোমবার মোট ১৫৮ বার বিদ্যুতের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগের দিন এসব অঞ্চলের পাম্প ১৪৯ বার বিদ্যুৎবিভ্রাটের শিকার হয়।