চট্টগ্রাম মহানগরে কলেজছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন এবং ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার সাবেক পরিদর্শক (বরখাস্ত) মিজানুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী ও তার এক ছেলেবন্ধু ফয়’স লেকে ২০১১ সালের ১২ জুলাই বেড়াতে গেলে পুলিশ পরিদর্শক মিজান তাদের জোর করে গাড়িতে তুলে নগরের চকবাজার এলাকায় ‘আল আকাবা’ হোটেলে নিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, রাতে দুজনকে দুটি কক্ষে আটকে রেখে ছাত্রীটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে মিজান। এ সময় ওই ছাত্রী হোটেল কক্ষের শৌচাগারে আশ্রয় নেয় এবং কাচ দিয়ে নিজের হাত কেটে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার সময় মিজান চট্টগ্রামে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে পাঁচ দিনের ছুটিতে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় দায়িত্ব পালনের আগে মিজান নগরের পাঁচলাইশ থানায় কর্মরত ছিলেন। পরে মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জামিন বাতিল করে আসামি মিজানুর রহমানকে কারগারে পাঠায় আদালত। এই মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন। মামলায় অন্য আসামি বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অন্য একটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। উভয় দন্ড এক সঙ্গে চলবে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চট্টগ্রাম মহানগরে কলেজছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন এবং ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার সাবেক পরিদর্শক (বরখাস্ত) মিজানুর রহমানকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী ও তার এক ছেলেবন্ধু ফয়’স লেকে ২০১১ সালের ১২ জুলাই বেড়াতে গেলে পুলিশ পরিদর্শক মিজান তাদের জোর করে গাড়িতে তুলে নগরের চকবাজার এলাকায় ‘আল আকাবা’ হোটেলে নিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, রাতে দুজনকে দুটি কক্ষে আটকে রেখে ছাত্রীটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে মিজান। এ সময় ওই ছাত্রী হোটেল কক্ষের শৌচাগারে আশ্রয় নেয় এবং কাচ দিয়ে নিজের হাত কেটে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার সময় মিজান চট্টগ্রামে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে পাঁচ দিনের ছুটিতে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় দায়িত্ব পালনের আগে মিজান নগরের পাঁচলাইশ থানায় কর্মরত ছিলেন। পরে মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জামিন বাতিল করে আসামি মিজানুর রহমানকে কারগারে পাঠায় আদালত। এই মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন। মামলায় অন্য আসামি বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অন্য একটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। উভয় দন্ড এক সঙ্গে চলবে বলে তিনি জানান।