বরগুনার আলোচিত হৃদয় হত্যা মামলার রায়ে ১২ জনকে কিশোর অপরাধীকে ১০ বছর ও ৪ জনকে ৭ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান।
জানা যায়, ২০২০ সালে ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে বরগুনা সদ উপজোলার গোলবুনিয়া এলাকায় নোমান কাজী ও ইউনুস কাজীসহ ২৮ জন মিলে প্রকাশ্যে দিবালোকে কিশোর হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যা করে। পরের দিন নিহত মো. হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বরগুনা থানা পুলিশ ওই বছরের ১৬ নভেম্বর ১৬ জন কিশোর ও ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আরও ৩ কিশোরসহ ১৯ জনের নামে চার্জশিট গঠন করেন। পরে এই মামলায় ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ১৯ জন অভিযুক্তের রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে ইউনুছ কাজী, রানা আকন, ইমন হাওলাদার, জুয়েল কাজী, নয়ন হাওলাদার, সজিব, নাজমুল শিকদার, রাইয়ান বিন অন্তর অরফে অন্তর, সিফাত ইসলাম, মোশারেফ, সাইফুল মৃধা, রাব্বিকে ১০ বছরের কারাদ- দেন আদালত। এদের মধ্যে নয়ন হাওলাদার, সিফাত ইসলাম ও মো. সজিব পলাতক রয়েছে।
এছাড়া সাগর গাজী, সাইফুল কাজী, সোহাগ কাজী ও ফাইজুল ইসলামকে ৭ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন আদালত। অপর ৩ আসামি শফিকুল ইসলাম, নাঈম কাজী ও রবিউল ইসলামকে বেখসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
নিহত হৃদয়ের মা ও মামলার বাদী ফিরোজা বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলে ঈদের দিন ঘুরতে বের হয়েছিল। তাকে আাসামিরা পিটিয়ে হত্যা করে। আমি এ রায়ে তিনি খুশি হয়েছেন। সবাই যেন তার মরহুম ছেলের জন্য দোয়া করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। রায়ে আমরাসহ সাধারণ মানুষ খুশি।
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বরগুনার আলোচিত হৃদয় হত্যা মামলার রায়ে ১২ জনকে কিশোর অপরাধীকে ১০ বছর ও ৪ জনকে ৭ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান।
জানা যায়, ২০২০ সালে ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে বরগুনা সদ উপজোলার গোলবুনিয়া এলাকায় নোমান কাজী ও ইউনুস কাজীসহ ২৮ জন মিলে প্রকাশ্যে দিবালোকে কিশোর হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যা করে। পরের দিন নিহত মো. হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বরগুনা থানা পুলিশ ওই বছরের ১৬ নভেম্বর ১৬ জন কিশোর ও ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আরও ৩ কিশোরসহ ১৯ জনের নামে চার্জশিট গঠন করেন। পরে এই মামলায় ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ১৯ জন অভিযুক্তের রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে ইউনুছ কাজী, রানা আকন, ইমন হাওলাদার, জুয়েল কাজী, নয়ন হাওলাদার, সজিব, নাজমুল শিকদার, রাইয়ান বিন অন্তর অরফে অন্তর, সিফাত ইসলাম, মোশারেফ, সাইফুল মৃধা, রাব্বিকে ১০ বছরের কারাদ- দেন আদালত। এদের মধ্যে নয়ন হাওলাদার, সিফাত ইসলাম ও মো. সজিব পলাতক রয়েছে।
এছাড়া সাগর গাজী, সাইফুল কাজী, সোহাগ কাজী ও ফাইজুল ইসলামকে ৭ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন আদালত। অপর ৩ আসামি শফিকুল ইসলাম, নাঈম কাজী ও রবিউল ইসলামকে বেখসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
নিহত হৃদয়ের মা ও মামলার বাদী ফিরোজা বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলে ঈদের দিন ঘুরতে বের হয়েছিল। তাকে আাসামিরা পিটিয়ে হত্যা করে। আমি এ রায়ে তিনি খুশি হয়েছেন। সবাই যেন তার মরহুম ছেলের জন্য দোয়া করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। রায়ে আমরাসহ সাধারণ মানুষ খুশি।