দেওয়ানগঞ্জে মেম্বারকে টাকা না দিলে কাজ পান না উপকারভোগীরা

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
প্রতিনিধি, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)

জামালপুরের দেয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের পাটাধোয়াপাড়া এলাকায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি “প্লাস” (ইজিপিপি+) উপকারভোগীদের কাছ থেকে ইউপি মেম্বার আব্দুল লতিফ তিন হাজার করে টাকা ঘুষ আদায় করছে বলে অভিযোগ তুলেছে উপকারভোগীরা।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ৪০ কর্মদিবসের ইজিপিপি প্লাস কর্মসূচির কাজ শুরু হয়েছে চলতি মাসের ১১ নভেম্বর। প্রকল্পটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পাটাধুয়াপাড়া আইজলের বাড়ি হতে পশ্চিমে বেড়ীবাঁধ পর্যন্ত রাস্তা মেরামত। প্রকল্পে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৩ জন। যাদের দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা এবং সর্দারদের ৪৫০ টাকা।

সরেজমিন দেখা যায়, কর্মসূচীর কাজ চলাকালীন সময়ে ৩৩ জনের জায়গায় উপস্থিত মাত্র ১৭ জন। বাকি ১৬ জনের হদিস পাওয়া যায়নি। এসময় সাংবাদিক দেখে উপস্থিত উপকারভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ। কর্মসূচিতে লটারির মাধ্যমে নাম পেয়েছি। কাজ শুরুর পর থেকে তিন হাজার করে টাকা ঘুষ দাবি করে আসছে সর্দার মঞ্জু ও খলিলুর রহমান। ইউপি মেম্বার আব্দুল লতিফ সর্দারদের নির্দেশ দিয়ে আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। অনেকেই ধার দেনা করে টাকা দিয়েছে। আবার অনেকে টাকা দেয়নি জন্য প্রতিদিন সকালে টাকার জন্য চাপ দেয় সর্দাররা।

কর্মসূচির তালিকাভুক্ত উপকারভোগী আছাতুন জানায়, আমি টাকা দেয়নি জন্য গত কয়েকদিন আগে সকালে কাজে আসার পর সর্দার মঞ্জু আমাকে কাজ করতে বাধা দেয়। পরে এই এলাকার নেতা ইয়াকুব এসে আমার জন্য শুপারিশ করে। তারপর আমাকে কাজ করার সুযোগ দেয় সর্দার। আঞ্জুয়ারা বলেন, আমাকেও তিন হাজার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে, টাকা হাতে পেলেই দিবো বলে ১৫ দিনের সময় চেয়ে নিয়েছি। তবুও দুই তিনদিন পরপর টাকার জন্য চাপ দেয়।

জাহানারা বলেন সুরুজ্জামান, মাজারুল, রমজান, মাকসুদা , আঞ্জু, সোহেলসহ অনেকেই টাকা দিয়েছে। তাই আমিও তিন হাজার টাকা সুদের উপর নিয়ে সর্দারকে দিয়েছি। যাতে কাজ করে খেতে পারি। আমরা চাই আমাদের টাকাগুলো যেনো মেম্বার এবং সর্দাররা ফেরত দিয়ে ঠিক ভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়। কোন প্রকার মানসিক নির্যাতন না করে। উপকারভোগী মো. নুরনবী, আনিছুর, রমজান, মিনা, সুবিয়া বেগম সহ আরো অনেকে বলেন, আমরা টাকা দেয়নি সেজন্য সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কাজ করায়। যারা টাকা দিয়েছে তারা বিকাল তিনটার আগেই চলে যায়। উপকারভোরা আরও বলেন ঘুষ দেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অনিয়মের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স সংবাদকে বলেন, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘অপরাধ ও দুর্নীতি’ : আরও খবর

সম্প্রতি