ঝিনাইদহে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার ঘটনায় মো. সুজন (৩৫) কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। গত সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্দুল মতিন এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত সুজন শৈলকুপা উপজেলার দোহা-নাগিরাট গ্রামের মো: বিশে’র ছেলে। রায়ের বিবরণ ও এজাহার সুত্রে জানা যায়, ঘটনার ছয় বছর পুর্বে (আদালতে অভিযোগ দায়েরের ৬বছর পুর্বে) ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নোন্দীরগাতী গ্রামের সালেহা বেগমের কন্যা ইয়াসমিন এর বিয়ে হয় মো: সুজনের সঙ্গে। পরে তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকেই সুজনের পরকীয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হত। এরই জেরে সুজন তার স্ত্রী ও সন্তানকে শশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন পরে সুজন অন্যদের সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে বিবাদে জড়াবেনা বলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ওই বছরেরই মার্চ মাসের ২২ তারিখে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে অভিযোগ দায়ের করে ইয়াসমিন এর মা সালেহা বেগম। পরে আদালত সেটি এজাহার হিসাবে গণ্য করেন। আদালতের নির্দেশে শৈলকুপা থানা পুলিশ জানতে পারে সুজন শেখ ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার মৈজদ্দি-মাতব্বরকান্দি গ্রামে আত্মগোপনে আছে। পরবর্তিতে পুলিশ ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ আদালতে চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই মামলার শুনানী শেষে আদালত সুজনকে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
ঝিনাইদহে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার ঘটনায় মো. সুজন (৩৫) কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। গত সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্দুল মতিন এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত সুজন শৈলকুপা উপজেলার দোহা-নাগিরাট গ্রামের মো: বিশে’র ছেলে। রায়ের বিবরণ ও এজাহার সুত্রে জানা যায়, ঘটনার ছয় বছর পুর্বে (আদালতে অভিযোগ দায়েরের ৬বছর পুর্বে) ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নোন্দীরগাতী গ্রামের সালেহা বেগমের কন্যা ইয়াসমিন এর বিয়ে হয় মো: সুজনের সঙ্গে। পরে তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকেই সুজনের পরকীয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হত। এরই জেরে সুজন তার স্ত্রী ও সন্তানকে শশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন পরে সুজন অন্যদের সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে বিবাদে জড়াবেনা বলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ওই বছরেরই মার্চ মাসের ২২ তারিখে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে অভিযোগ দায়ের করে ইয়াসমিন এর মা সালেহা বেগম। পরে আদালত সেটি এজাহার হিসাবে গণ্য করেন। আদালতের নির্দেশে শৈলকুপা থানা পুলিশ জানতে পারে সুজন শেখ ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার মৈজদ্দি-মাতব্বরকান্দি গ্রামে আত্মগোপনে আছে। পরবর্তিতে পুলিশ ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ আদালতে চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই মামলার শুনানী শেষে আদালত সুজনকে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।