বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে অংশ নেয়ায়
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউপি চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী। চেয়ারম্যানের কথামতো নির্বাচন থেকে সরে না যাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রবাসীর স্ত্রীসহ পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। জীবন বাঁচাতে পরিবারটি বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মাসুদ রানার স্ত্রী সোহাগী বেগম জানান, তার মেয়ে বাহাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার অষ্টম শ্রেণি পাস করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান মিয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানাভাবে তাকে হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় চেয়ারম্যান আরো ক্ষিপ্ত হন। গত রোববার রাতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির দরজা-জানালা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে সোহাগী বেগম ও তার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণেরও হুমকি দেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকেই সোহাগী বেগম তার দুই সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে মির্জাপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে সোহাগী বেগম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সোহাগী বেগমের নবম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে, পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া ছেলে ও শাশুড়ি মদিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
তবে এসব অভিযোগ চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান মিয়া অস্বীকার করেছেন। পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ হাসান সুমন জানান, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে অংশ নেয়ায়
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ইউপি চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী। চেয়ারম্যানের কথামতো নির্বাচন থেকে সরে না যাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রবাসীর স্ত্রীসহ পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। জীবন বাঁচাতে পরিবারটি বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মাসুদ রানার স্ত্রী সোহাগী বেগম জানান, তার মেয়ে বাহাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার অষ্টম শ্রেণি পাস করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান মিয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানাভাবে তাকে হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় চেয়ারম্যান আরো ক্ষিপ্ত হন। গত রোববার রাতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির দরজা-জানালা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে সোহাগী বেগম ও তার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণেরও হুমকি দেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকেই সোহাগী বেগম তার দুই সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে মির্জাপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে সোহাগী বেগম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সোহাগী বেগমের নবম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে, পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া ছেলে ও শাশুড়ি মদিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
তবে এসব অভিযোগ চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান মিয়া অস্বীকার করেছেন। পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ হাসান সুমন জানান, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।