বাগেরহাটে ভ্যানচালক প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা (৪৫) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গ্রেফতারকৃতরা হলো: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের মৃত মালেক মল্লিকের ছেলে মো. ইউসুফ মল্লিক (৩৬), একই উপজেলার চিংগুড়িয়া এলাকার মোশারেফ মুন্সির ছেলে মো. শামসুল হক মুন্সি (২৬) ও কুলিয়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে গোলাম ফারুখ চাঁদ (২৪)। এদের মধ্যে ইউসুফ মল্লিককে ঢাকার মিরপুর থেকে এবং শামসুল হক মুন্সিকে চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে গোলাম ফারুখ চাঁদের বাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়া ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই বাগেরহাট জেলা কার্য্যলয়ের পুলিশ সুপার মো. আবদুর রহমান এ কথা জানান। তিনি বলেন, মূলত প্রল্লাদ দাস ভোলার ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি ছিনিয়ে নিতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পিবিআই-এর ছায়া তদন্তে পাওয়া গেছে। পিবিআই বাগেরহাট কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক (এডমিন) এম এম মিজানুর রহমান বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না মেলায় প্রহল্লাদের স্ত্রী গত ১ ডিসেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এদিকে, নিখোঁজের ৫দিন পর হয়রত খান জাহান (রঃ.) এর মাজার দিঘিতে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশাটি ওই ভ্যান চালকের বলে সনাক্ত করে তার পরিবার। এ ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর বাগেরহাট সদর মডেল থানায় নিহতের ভাই সঞ্জিত দাস বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পিবিআই ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ম্যধমে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রথমে এক জনকে সনাক্ত করে। অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত অপর দুজনকে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে গেফ্রতার করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ২ ছিনতাইকারীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত প্রহলাদের ভ্যানটিও উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে গ্রেফতার ইউসুফ ও শামসুল জানায় তারা ভ্যানটি ছিনতাইয়ের জন্য গত ৩০ নভেম্বর কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে বাগেরহাট যাবে বলে ভাড়া করে। পথে চালক প্রহল্লাদের সঙ্গে সক্ষ্যতা গড়ে। এক পর্যায়ে মাজার মোড়ে এসে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো জুস কৌশলে তাকে খাইয়ে দেয়। পরে তাকে নিয়ে মাজারের দীঘি পাড়ে ঘুরতে থাকে। দীঘির পূর্ব পাশে দিয়ে যাবার সময় ঘুম ঘুম পেতে থাকলে প্রহল্লাদ অচেতন হয়ে পাড়ে। এ সময় ভ্যানচালক প্রহল্লাদের পকেটে থেকে মোবাইল ফোন ও ৭০ টাকা নিয়ে তাকে দীঘিতে ফেলে দিয়ে তার ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুই ব্যক্তি। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বাগেরহাটে ভ্যানচালক প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা (৪৫) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গ্রেফতারকৃতরা হলো: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের মৃত মালেক মল্লিকের ছেলে মো. ইউসুফ মল্লিক (৩৬), একই উপজেলার চিংগুড়িয়া এলাকার মোশারেফ মুন্সির ছেলে মো. শামসুল হক মুন্সি (২৬) ও কুলিয়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে গোলাম ফারুখ চাঁদ (২৪)। এদের মধ্যে ইউসুফ মল্লিককে ঢাকার মিরপুর থেকে এবং শামসুল হক মুন্সিকে চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে গোলাম ফারুখ চাঁদের বাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়া ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই বাগেরহাট জেলা কার্য্যলয়ের পুলিশ সুপার মো. আবদুর রহমান এ কথা জানান। তিনি বলেন, মূলত প্রল্লাদ দাস ভোলার ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি ছিনিয়ে নিতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পিবিআই-এর ছায়া তদন্তে পাওয়া গেছে। পিবিআই বাগেরহাট কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক (এডমিন) এম এম মিজানুর রহমান বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না মেলায় প্রহল্লাদের স্ত্রী গত ১ ডিসেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এদিকে, নিখোঁজের ৫দিন পর হয়রত খান জাহান (রঃ.) এর মাজার দিঘিতে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশাটি ওই ভ্যান চালকের বলে সনাক্ত করে তার পরিবার। এ ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর বাগেরহাট সদর মডেল থানায় নিহতের ভাই সঞ্জিত দাস বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পিবিআই ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ম্যধমে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রথমে এক জনকে সনাক্ত করে। অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত অপর দুজনকে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে গেফ্রতার করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ২ ছিনতাইকারীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত প্রহলাদের ভ্যানটিও উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে গ্রেফতার ইউসুফ ও শামসুল জানায় তারা ভ্যানটি ছিনতাইয়ের জন্য গত ৩০ নভেম্বর কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে বাগেরহাট যাবে বলে ভাড়া করে। পথে চালক প্রহল্লাদের সঙ্গে সক্ষ্যতা গড়ে। এক পর্যায়ে মাজার মোড়ে এসে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো জুস কৌশলে তাকে খাইয়ে দেয়। পরে তাকে নিয়ে মাজারের দীঘি পাড়ে ঘুরতে থাকে। দীঘির পূর্ব পাশে দিয়ে যাবার সময় ঘুম ঘুম পেতে থাকলে প্রহল্লাদ অচেতন হয়ে পাড়ে। এ সময় ভ্যানচালক প্রহল্লাদের পকেটে থেকে মোবাইল ফোন ও ৭০ টাকা নিয়ে তাকে দীঘিতে ফেলে দিয়ে তার ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুই ব্যক্তি। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।