alt

কক্সবাজারে ফের সক্রিয় মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার : : মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ১০ থেকে ১২ শক্তিশালী সিন্ডিকেটের পাঁচ শতাধিক মানব পাচারকারী এ কাজে জড়িত। তাদের মধ্যে গত ২৬ মে রাত সাড়ে ১১টায় পাঁচ দালালসহ ২৩ জনকে আটক করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।

আটক পাঁচ দালালের মধ্যে রয়েছে টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়ার মো. সেলিমের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৫), মো. হাসেমের ছেলে জামাল হোসেন (৩১), আমিন শরীফের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪২) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের বরইতলী গ্রামের আলী জোহার ছেলে মো. ইউনুচ (২৩) ও মো. শাহর ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৩)।

অপর ১৮ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের দালাল চক্র সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবার জন্য এনে নাইট্যং পাড়ার আমিন শরীফের বাড়িতে এনে জড়ো করেছিলো।

তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৭ জন শিশু ছিলো। তাদের মিয়ানমারের মংন্ডু থেকে নাফনদী দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যেতে জড়ো করা হয়েছিলো। প্রত্যেকের কাছ থেকে মিয়ানমারের দুই লাখ টাকা যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার টাকা করে নেয় দালালরা।

এছাড়া আরও অনেক চক্র আছে যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু, নারী ও পুরুষ পাচারের জন্য জোগাড় করছে। তাদের মধ্যে যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভালো তাদের নিলামে তোলা হয়। তাদের নিলামে কিনে নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। এমন অবস্থা এখন নিত্যদিনের।

জানাগেছে, মানব পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয় টেকনাফ উখিয়ার ছয়টি নৌঘাট। নৌঘাট ছয়টি দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় লোক পাচার করা হচ্ছে।

মানব পাচারকারী ১২ সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন মো. হোছন প্রকাশ মাছন মাঝি (৪৫), তার ভাই মো. হাছন প্রকাশ আতুরী (৩৫), সুলতান মাহমুদউল্লাহ (৩২), রশিদ মিয়া (৩২) (বর্তমান মেম্বার, মাদক ও মানব পাচারকারী), আবদুল আমিন (৪২) এবং হুমায়ুন।

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, লম্বরী, মহেশখালিয়া পাড়া এবং বাহারছড়াসহ সাগরতীরবর্তী ছয়টি ঘাট এখন আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ এসব ঘাট দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছে অনেকেই।

গত ৪ নভেম্বর মহেশখালীয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ মানব পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয় একজনকে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, যারা মানব পাচার করছে তারা এখন অনেক সোচ্চার, পুলিশের তোয়াক্কা করছে না।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, আমার ইউনিয়ন উপকূলে হওয়ায় পাচারের চেষ্টা বেশি হয়। এসব নৌঘাটে মানব পাচারে কারা সম্পৃক্ত তা জানে স্থানীয়রাও।

স্থানীয়রা বলেন, লম্বরী ঘাটের সাইফুল, নতুন পল্লান পাড়ার সিরাজ মেম্বারের ছেলে আরিফ, ইয়াসিন, মাস্টার মাহবুব আলম, এনামসহ কয়েকজন মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত।

মানব পাচারের জন্য আলোচিত শাহপরীর দ্বীপে যে কয়জন সক্রিয় বলে অভিযোগ তাদের অন্যতম আবুল কালাম ভুলু ও শাহপরীর দ্বীপ মাঝর পাড়ার জাইর হোসেনের ছেলে ছৈয়দ উল্লাহ। টেকনাফ উপকূলের নোয়াখালী পাড়ার কাটাবনিয়া-কচুবনিয়া, শাহপরীর দ্বীপ ঘাট মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। সম্প্রতি আবারও এ পথে মানব পাচার বেড়ে গেছে।

পাচারের পয়েন্ট : টেকনাফের সাগর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকার পাশাপাশি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বেশকিছু পয়েন্ট দিয়ে মানব পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।

এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছটা, ফিশারিঘাট, নাজিরাটেক, সমিতিপাড়া; মহেশখালীর সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, কুতুবজোম, ধলঘাটা; উখিয়ার সোনারপাড়া, রেজুরখাল, ইনানী, ছেপটখালী, মনখালী; টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, নোয়াখালীপাড়া, মহেশখালীয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, কাটাবনিয়া, খুরেরমুখ, হাদুরছড়া, জাহাজপুরা, কচ্ছপিয়া, শামলাপুর, সদরের ঈদগাঁও, খুরুশকুল, চৌফলী, পিএমখালী, চকরিয়া, পেকুয়া; চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা কুতুবদিয়া ও পটিয়া উল্লেখযোগ্য। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারকারীরা সক্রিয়।

ক্যাম্পের মো. ওসমান, আবদুল গফুর ও সাইফুল মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। তারা উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। এছাড়া উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা মানব পাচারকারী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্তরা হলেন, হাফেজ ছলিম, আতাত উদ্দিন,কুতুপালং রেজিস্ট্রাট ক্যাম্পের মোলভী কামাল হোসেন।

সে গত বছর সাড়ে ১৩ লাখ হুন্ডির টাকাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে আবারও সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে হুন্ডি ও মানব পাচার। এমনটা জানিয়েছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক ঘনিষ্ট সহযোগী। সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হলেও পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম ও উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ইয়াবা এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে গত দুই মাসে শতাধিক দালাল ও ভিকটিমকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

ছবি

‘সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি’: সেই মার্কিন নাগরিক ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহেলের ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

অপরাধ বেড়েছে জামালপুর শহরে

ছবি

মহেশখালীতে পুলিশের উপর হামলার প্রধান আসামি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ছবি

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ঘুষের টাকাসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ছবি

ডিএসসিসির বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করবে দুদক

ছবি

গৃহবধূ হত্যার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

দর্শনায় জুয়েলার্সে হামলা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

চাকরির প্রলোভনে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ছবি

পাসপোর্ট অফিসে দালালবিরোধী অভিযানে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবি

পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলা: আনিসুলকে দেখানো হলো গ্রেপ্তার, পাভেল রিমান্ডে

ছবি

দুর্নীতির মামলায় মোরশেদ আলমের জামিন নাকচ

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘যথেষ্ট’ প্রমাণ পাওয়া গেছে: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

সংসদের আসন পুনর্বিন্যাস, ফরিদপুরের ভাঙ্গা রণক্ষেত্র

ছবি

চকরিয়ায় থানা হাজতে দুজর্য়ের মৃত্যুর ঘটনায় ওসিসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

ছবি

বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতচক্রের তিনসদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

সাদা পাথর লুট: সাহাব উদ্দিন গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত বললো ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে

ছবি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ৫ গুণ বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ, ১৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ভোলায় মুভি দেখে বাবা খুন করল ছেলে

ছবি

বুড়িমারী স্থলবন্দর ইয়ার্ডে বাংলাদেশী দুই টাকার নতুন নোট জব্দ

ছবি

বনানীতে চুরি হওয়া ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ছবি

প্রতারণার নতুন ফাঁদ: ফেইসবুকে ‘টু-লেট’ বিজ্ঞাপন, বাসা নিতে গিয়ে কলেজ ছাত্রকে হেনস্থা

ছবি

স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ১

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ‘ব্লগারকে’ কুপিয়ে বাইক ও ফোন ছিনতাই

ছবি

টঙ্গীতে দুপুরে ‘চোর সন্দেহে’ যুবক আটক, রাতে মৃত্যু

ছবি

উত্তরায় ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি’, তিনজন কারাগারে

ছবি

একদিনে সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮০৯

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, তিনজন কারাগারে

ছবি

‘সন্দেহজনক’ লেনদেন, সাবেক এমপি দিদার দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ: ২ যুবকের যাবজ্জীবন, শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা: ২ জনের সাক্ষ্যে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা

ছবি

ফ্ল্যাট বরাদ্দে ‘অনিয়ম’: সচিব পদমর্যাদার সাবেক ১২ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

ছবি

‘অবৈধ সম্পদ ও প্লট জালিয়াতি’ বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

ছবি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: ভারতে থাকা হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

tab

কক্সবাজারে ফের সক্রিয় মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার :

মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। ১০ থেকে ১২ শক্তিশালী সিন্ডিকেটের পাঁচ শতাধিক মানব পাচারকারী এ কাজে জড়িত। তাদের মধ্যে গত ২৬ মে রাত সাড়ে ১১টায় পাঁচ দালালসহ ২৩ জনকে আটক করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।

আটক পাঁচ দালালের মধ্যে রয়েছে টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়ার মো. সেলিমের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৫), মো. হাসেমের ছেলে জামাল হোসেন (৩১), আমিন শরীফের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪২) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের বরইতলী গ্রামের আলী জোহার ছেলে মো. ইউনুচ (২৩) ও মো. শাহর ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৩)।

অপর ১৮ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের দালাল চক্র সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবার জন্য এনে নাইট্যং পাড়ার আমিন শরীফের বাড়িতে এনে জড়ো করেছিলো।

তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৭ জন শিশু ছিলো। তাদের মিয়ানমারের মংন্ডু থেকে নাফনদী দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যেতে জড়ো করা হয়েছিলো। প্রত্যেকের কাছ থেকে মিয়ানমারের দুই লাখ টাকা যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার টাকা করে নেয় দালালরা।

এছাড়া আরও অনেক চক্র আছে যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু, নারী ও পুরুষ পাচারের জন্য জোগাড় করছে। তাদের মধ্যে যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভালো তাদের নিলামে তোলা হয়। তাদের নিলামে কিনে নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। এমন অবস্থা এখন নিত্যদিনের।

জানাগেছে, মানব পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয় টেকনাফ উখিয়ার ছয়টি নৌঘাট। নৌঘাট ছয়টি দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় লোক পাচার করা হচ্ছে।

মানব পাচারকারী ১২ সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন মো. হোছন প্রকাশ মাছন মাঝি (৪৫), তার ভাই মো. হাছন প্রকাশ আতুরী (৩৫), সুলতান মাহমুদউল্লাহ (৩২), রশিদ মিয়া (৩২) (বর্তমান মেম্বার, মাদক ও মানব পাচারকারী), আবদুল আমিন (৪২) এবং হুমায়ুন।

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, লম্বরী, মহেশখালিয়া পাড়া এবং বাহারছড়াসহ সাগরতীরবর্তী ছয়টি ঘাট এখন আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ এসব ঘাট দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছে অনেকেই।

গত ৪ নভেম্বর মহেশখালীয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ মানব পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয় একজনকে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, যারা মানব পাচার করছে তারা এখন অনেক সোচ্চার, পুলিশের তোয়াক্কা করছে না।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, আমার ইউনিয়ন উপকূলে হওয়ায় পাচারের চেষ্টা বেশি হয়। এসব নৌঘাটে মানব পাচারে কারা সম্পৃক্ত তা জানে স্থানীয়রাও।

স্থানীয়রা বলেন, লম্বরী ঘাটের সাইফুল, নতুন পল্লান পাড়ার সিরাজ মেম্বারের ছেলে আরিফ, ইয়াসিন, মাস্টার মাহবুব আলম, এনামসহ কয়েকজন মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত।

মানব পাচারের জন্য আলোচিত শাহপরীর দ্বীপে যে কয়জন সক্রিয় বলে অভিযোগ তাদের অন্যতম আবুল কালাম ভুলু ও শাহপরীর দ্বীপ মাঝর পাড়ার জাইর হোসেনের ছেলে ছৈয়দ উল্লাহ। টেকনাফ উপকূলের নোয়াখালী পাড়ার কাটাবনিয়া-কচুবনিয়া, শাহপরীর দ্বীপ ঘাট মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। সম্প্রতি আবারও এ পথে মানব পাচার বেড়ে গেছে।

পাচারের পয়েন্ট : টেকনাফের সাগর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকার পাশাপাশি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বেশকিছু পয়েন্ট দিয়ে মানব পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।

এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছটা, ফিশারিঘাট, নাজিরাটেক, সমিতিপাড়া; মহেশখালীর সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, কুতুবজোম, ধলঘাটা; উখিয়ার সোনারপাড়া, রেজুরখাল, ইনানী, ছেপটখালী, মনখালী; টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, নোয়াখালীপাড়া, মহেশখালীয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, কাটাবনিয়া, খুরেরমুখ, হাদুরছড়া, জাহাজপুরা, কচ্ছপিয়া, শামলাপুর, সদরের ঈদগাঁও, খুরুশকুল, চৌফলী, পিএমখালী, চকরিয়া, পেকুয়া; চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা কুতুবদিয়া ও পটিয়া উল্লেখযোগ্য। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারকারীরা সক্রিয়।

ক্যাম্পের মো. ওসমান, আবদুল গফুর ও সাইফুল মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। তারা উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। এছাড়া উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা মানব পাচারকারী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্তরা হলেন, হাফেজ ছলিম, আতাত উদ্দিন,কুতুপালং রেজিস্ট্রাট ক্যাম্পের মোলভী কামাল হোসেন।

সে গত বছর সাড়ে ১৩ লাখ হুন্ডির টাকাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে আবারও সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে হুন্ডি ও মানব পাচার। এমনটা জানিয়েছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক ঘনিষ্ট সহযোগী। সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হলেও পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম ও উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ইয়াবা এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে গত দুই মাসে শতাধিক দালাল ও ভিকটিমকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

back to top