দীর্ঘ ৮ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার বিচার কাজ আবার শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ই জুন মামলার আসামীদের হাজিরের আদেশ দিয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশে মামলার আসামীদের হাজিরের আদেশ দেয়া হয়েছে।
নিহত ইকবাল আজাদের স্ত্রী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ জানান, মামলাটি দীর্র্র্ঘদিন স্টে থাকার পর হাই কোর্টে সম্প্রতি পূর্নাঙ্গ শুনানীর হয়েছে। শুনানীর পর হাইকোর্ট এই হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলতে কোন বাধা নেই বলে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপীল করলে সুপ্রীম কোর্টও অনুরূপ আদেশ বহাল রাখে। এরপরই গত ১৭ই মে থেকে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং মামলার আসামীদের আগামী ১৫ই জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার আদেশ করা হয়েছে।
২০১২ সালের ২১ অক্টোবর দলীয় বিরোধে সরাইল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম,সাধারন সম্পাদক মো: রফিক উদ্দিন ঠাকুর,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবদুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ইসমত আলীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ। পুলিশের তদন্তে ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আখিতারা গ্রামের মো: সাদেক মিয়াসহ আরো ৭ জনের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর চার্জশীট দেয় পুলিশ। মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামীরা হচ্ছে কুট্টাপাড়া গ্রামের রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও মাহফুজ আলী সৈয়দটুলা গ্রামের আবদুল জব্বার,সিরাজ, নয়াহাটি গ্রামের ইসমত আলী,ইদ্রিস আলী,মোকাররম হোসেন সোহেল,বাবু,কুট্টাপাড়ার হারিছ,নয়াহাটির বকুল,লিমন,আবদুল্লাহ সৈয়দটুলার শরিফ,মিজান,রাসেল,নিজ সরাইলের ইমদাদ,নয়াহাটির হাবিব,ইনু মিয়া সৈয়দটুলার মুছা মিয়া,নয়াহাটির জনি মিয়া,নয়ন মিয়া, আখিতারা গ্রামের মো: সাদেক মিয়া,ঝিলুকদার পাড়ার আরব আলী,অস্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান সৈয়দটুলার মিষ্টার আলী,আড়িয়ল গ্রামের মো: কামরুল ইসলাম,পূর্ব কুট্টপাড়ার আল ইমরান।পরবর্তীতে তাদের মধ্যে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল হালিম ও সহ-সভাপতি মো: সাদেক মিয়া মারা যান।
২০১৩ সালের ৫ই মার্চ ইকবাল আজাদ হত্যা মামলা চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। ওই আদালতে ডাক্তারসহ মামলার ১৪জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষী বাকী থাকা অবস্থায় মামলার ১৩৫ কার্য দিবস শেষ হয়ে যায়। সেকারনে দ্রুুত বিচার ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুসারে মামলাটি আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর মামলাটি আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্যে ২০১৪ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন (নং- ১৬২/ ২০১৪) করেন মামলার বাদী । এর প্রেক্ষিত হাইকোর্ট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপরই গত ১৭ই মে থেকে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩
দীর্ঘ ৮ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আজাদ হত্যা মামলার বিচার কাজ আবার শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ই জুন মামলার আসামীদের হাজিরের আদেশ দিয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশে মামলার আসামীদের হাজিরের আদেশ দেয়া হয়েছে।
নিহত ইকবাল আজাদের স্ত্রী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ জানান, মামলাটি দীর্র্র্ঘদিন স্টে থাকার পর হাই কোর্টে সম্প্রতি পূর্নাঙ্গ শুনানীর হয়েছে। শুনানীর পর হাইকোর্ট এই হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলতে কোন বাধা নেই বলে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপীল করলে সুপ্রীম কোর্টও অনুরূপ আদেশ বহাল রাখে। এরপরই গত ১৭ই মে থেকে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং মামলার আসামীদের আগামী ১৫ই জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার আদেশ করা হয়েছে।
২০১২ সালের ২১ অক্টোবর দলীয় বিরোধে সরাইল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম,সাধারন সম্পাদক মো: রফিক উদ্দিন ঠাকুর,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবদুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ইসমত আলীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ। পুলিশের তদন্তে ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আখিতারা গ্রামের মো: সাদেক মিয়াসহ আরো ৭ জনের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর চার্জশীট দেয় পুলিশ। মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামীরা হচ্ছে কুট্টাপাড়া গ্রামের রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও মাহফুজ আলী সৈয়দটুলা গ্রামের আবদুল জব্বার,সিরাজ, নয়াহাটি গ্রামের ইসমত আলী,ইদ্রিস আলী,মোকাররম হোসেন সোহেল,বাবু,কুট্টাপাড়ার হারিছ,নয়াহাটির বকুল,লিমন,আবদুল্লাহ সৈয়দটুলার শরিফ,মিজান,রাসেল,নিজ সরাইলের ইমদাদ,নয়াহাটির হাবিব,ইনু মিয়া সৈয়দটুলার মুছা মিয়া,নয়াহাটির জনি মিয়া,নয়ন মিয়া, আখিতারা গ্রামের মো: সাদেক মিয়া,ঝিলুকদার পাড়ার আরব আলী,অস্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান সৈয়দটুলার মিষ্টার আলী,আড়িয়ল গ্রামের মো: কামরুল ইসলাম,পূর্ব কুট্টপাড়ার আল ইমরান।পরবর্তীতে তাদের মধ্যে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল হালিম ও সহ-সভাপতি মো: সাদেক মিয়া মারা যান।
২০১৩ সালের ৫ই মার্চ ইকবাল আজাদ হত্যা মামলা চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। ওই আদালতে ডাক্তারসহ মামলার ১৪জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষী বাকী থাকা অবস্থায় মামলার ১৩৫ কার্য দিবস শেষ হয়ে যায়। সেকারনে দ্রুুত বিচার ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুসারে মামলাটি আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর মামলাটি আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্যে ২০১৪ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন (নং- ১৬২/ ২০১৪) করেন মামলার বাদী । এর প্রেক্ষিত হাইকোর্ট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপরই গত ১৭ই মে থেকে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় ।