alt

ডলারে আয়ের লোভনীয় ফাঁদ, কয়েক মাসে চক্র ৬-৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইনে বিনিয়োগে উচ্চ লাভের আশায় একটি চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকে। গত কয়েক মাসে চক্রটি ৬-৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মিরপুর মডেল থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় চক্রটির ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- আবদুল্লাহ আল মামুন (২৬), মো. ইমরান শেখ (২৮), মো. মাহবুবুর রহমান সাদিক (৩২) ও শাহনেওয়াজ শরীফ শামীম (৩৪)। গত ৩০ জানুয়ারি সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি আমেরিকান কোম্পানির নাম ধারণ করে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে এমএলএম স্কিমে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা নির্ধারিত প্যাকেজের আওতায় ডলারের বিপরীতে টাকা বিনিয়োগ করতেন। আর সেই টাকা নিয়ে পলাতক হয়ে যায় চক্রের সদস্যরা। এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মোবাইলে হ্যাচারি প্রজেক্টের নামে অন্য একটি স্কিমের তথ্য পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে লাখ টাকা করে নেয়া শুরু করেছিল তারা।

তিনি বলেন, আমরা গ্রেপ্তারদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের বিষয়ে তথ্য নিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে। আর কতো সংখ্যক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হবে। প্রতারণা এড়াতে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনে না জড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন অবৈধ। নাম সর্বস্ব সফটওয়?্যারে বা ওয়েবসাইটে বিনিয়োগ না করা, অনুমোদিত ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যাতীত কোথাও লেনদেন না করারও পরামর্শ দেন তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, উচ্চ রেফারেল কমিশন এবং ৩ মাসে জমা টাকা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেয়। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকমাসে প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা প্রতারক চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারক চক্র একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ হারে মুনাফা প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্কিম প্যাকেজে ইনভেস্টমেন্ট করতে প্রলুব্ধ করে। তাছাড়াও একজন ইনভেস্টর যদি অন্য কাউকে বিনিয়োগ করাতে পারে তাহলে প্যাকেজ ভেদে বিভিন্ন রকমের কমিশন প্রদান করা হতো। সেখানে রয়েছে তাদের অসংখ্য বিনিয়োগ স্কিম প্যাকেজ।

ডিবি আরও জানায়, তারা প্রায় ৬ মাস ধরে সাধারণ মানুষদের অ্যাকাউন্ট তৈরি ও তাতে ক্রিপ্টোকারেন্সির সহায়তায় ডলার ডিপোজিট করতে সহায়তা করতো। ডিপোজিট করা টাকা ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হয়ে যেত। যার প্রভাব পড়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর। ডিবি সূত্রে জানা যায়, সিলভার, গোল্ড, ডায়মন্ড, প্লাটিনাম, এক্সক্লুসিভ ও ভিআইপি প্যাকেজে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হতো ভুক্তভোগীদের। এসব প্যাকেজে ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০০ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করলে দিনে সর্বোচ্চ ২০০ ডলার রিটার্ন ও রেফারেল কমিশনে ১ হাজার ডলার পাওয়া যাবে বলে প্রচারণা চালানো হতো।

ছবি

চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই, চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

জিমেইল হ্যাক করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৭ লাখ টাকা উধাও

ছবি

বিনিয়োগের ফাঁদে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

ছবি

ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা, ৫ মাস পর আকাশের মরদেহ উত্তোলন

ছবি

দুর্নীতির মামলায় এস কে সুরের বিচার শুরু

২৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডিসি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

আসামিপক্ষের আইনজীবীর প্রশ্ন ‘মানহানিকর’, ট্রাইব্যুনালের ‘সতর্কতা’

ছবি

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

ছবি

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের দুই সাবেক কর্মকর্তা কারাগারে

জকিগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ: পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র দুঃখ প্রকাশ

ছবি

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

সিলেটে আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ছেলে আসাদ ৩ দিনের রিমান্ডে

ছবি

দেওয়ানগঞ্জ বালু মহলে অভিযান, একজনকে জরিমানা

ছবি

শাহজালালে পেটে ইয়াবা পাচার: গ্রেপ্তার পান্নু দুইদিনের রিমান্ডে

ছবি

বিরুদ্ধে ৪২ মামলা, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়’ অভিযোগ তার

ছবি

নরসিংদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

মোহাম্মদপুরে বাসে তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পিয়ন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১শ’ কোটি টাকা পাচারের মামলা

ছবি

পার্বতীপুরে ভবানীপুর-মধ্যপাড়া রেলপথের ফিসপ্লেটসহ ৬ হাজার নাটবল্টু চুরি

সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪০ জন: অধিকারের প্রতিবেদন

ছবি

‘অর্থ পাচার’: রন ও রিকের বিরুদ্ধে দুই অভিযোগপত্র দুদকের

ছবি

এস আলমের আরও ৪৬৯ একর জমি জব্দের আদেশ

ছবি

খুলনায় জোড়া খুন: ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

সোনারগাঁয়ে ডাকাতির মালামাল ভাগ নিয়ে দুই ডাকাত গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩

ছবি

অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

পার্বতীপুরে লগি-বৈঠার নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

সিরাজদিখানে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় আমামি গ্রেপ্তার

ছবি

বাঘায় চর দখলের সংঘর্ষে গুলিতে ২ জন নিহত

ছবি

সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

ছবি

জেনেভা ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণে যুবক নিহতের মামলায় ৪ জন রিমান্ডে

ছবি

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি: ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

ছবি

সোনাইমুড়ীতে মাদারাসায় ঘুমন্ত ছাত্রকে জবাই করে হত্যা, হত্যাকারী আটক

ছবি

শেওড়াপাড়ায় কিশোরী নির্যাতন: গৃহকর্ত্রী পারভীন চৌধুরীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, ফরিদপুরের সৌরভকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করলো র‍্যাব

tab

ডলারে আয়ের লোভনীয় ফাঁদ, কয়েক মাসে চক্র ৬-৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইনে বিনিয়োগে উচ্চ লাভের আশায় একটি চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকে। গত কয়েক মাসে চক্রটি ৬-৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মিরপুর মডেল থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় চক্রটির ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- আবদুল্লাহ আল মামুন (২৬), মো. ইমরান শেখ (২৮), মো. মাহবুবুর রহমান সাদিক (৩২) ও শাহনেওয়াজ শরীফ শামীম (৩৪)। গত ৩০ জানুয়ারি সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি আমেরিকান কোম্পানির নাম ধারণ করে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে এমএলএম স্কিমে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা নির্ধারিত প্যাকেজের আওতায় ডলারের বিপরীতে টাকা বিনিয়োগ করতেন। আর সেই টাকা নিয়ে পলাতক হয়ে যায় চক্রের সদস্যরা। এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মোবাইলে হ্যাচারি প্রজেক্টের নামে অন্য একটি স্কিমের তথ্য পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে লাখ টাকা করে নেয়া শুরু করেছিল তারা।

তিনি বলেন, আমরা গ্রেপ্তারদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের বিষয়ে তথ্য নিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে। আর কতো সংখ্যক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হবে। প্রতারণা এড়াতে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনে না জড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন অবৈধ। নাম সর্বস্ব সফটওয়?্যারে বা ওয়েবসাইটে বিনিয়োগ না করা, অনুমোদিত ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যাতীত কোথাও লেনদেন না করারও পরামর্শ দেন তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, উচ্চ রেফারেল কমিশন এবং ৩ মাসে জমা টাকা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেয়। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকমাসে প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা প্রতারক চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারক চক্র একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ হারে মুনাফা প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্কিম প্যাকেজে ইনভেস্টমেন্ট করতে প্রলুব্ধ করে। তাছাড়াও একজন ইনভেস্টর যদি অন্য কাউকে বিনিয়োগ করাতে পারে তাহলে প্যাকেজ ভেদে বিভিন্ন রকমের কমিশন প্রদান করা হতো। সেখানে রয়েছে তাদের অসংখ্য বিনিয়োগ স্কিম প্যাকেজ।

ডিবি আরও জানায়, তারা প্রায় ৬ মাস ধরে সাধারণ মানুষদের অ্যাকাউন্ট তৈরি ও তাতে ক্রিপ্টোকারেন্সির সহায়তায় ডলার ডিপোজিট করতে সহায়তা করতো। ডিপোজিট করা টাকা ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হয়ে যেত। যার প্রভাব পড়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর। ডিবি সূত্রে জানা যায়, সিলভার, গোল্ড, ডায়মন্ড, প্লাটিনাম, এক্সক্লুসিভ ও ভিআইপি প্যাকেজে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হতো ভুক্তভোগীদের। এসব প্যাকেজে ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০০ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করলে দিনে সর্বোচ্চ ২০০ ডলার রিটার্ন ও রেফারেল কমিশনে ১ হাজার ডলার পাওয়া যাবে বলে প্রচারণা চালানো হতো।

back to top