জামালপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া বাবা সাজিয়ে এক নারী সরকারি চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সে নারীর নাম রুনা আক্তার। তিনি সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও গেজেটভুক্ত বীরমুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত রুনা আক্তারের বাবার নাম এবং গেজেটভুক্ত ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম একই। এ সুযোগে অভিযুক্ত রুনা আক্তার প্রকৃত বাবার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে
সরকারি চাকরি হাতিয়ে নেন।
২০১৯ সালের মার্চ থেকে তিনি শেরপুরের চাপাতলী সরকারি শিশু (বালিকা) পরিবারে বাবুর্চি পদে চাকরিরত। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত উত্তোলন করছেন বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না ওই বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবার।
২৩৮২ নম্বর গেজেটভুক্ত ওই বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের চিনারচর গ্রামে তার বসবাস। তার স্ত্রী মুমিনা বেগম। তিন মেয়ে এবং তিন ছেলে নিয়ে সংসার।
নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার সনদ ও গেজেট ব্যবহার করে সরকারের সঙ্গে প্রতারণা করে চাকরি নিয়েছেন রুনা আক্তার। বিষয়টি আমিও জানতাম না। সম্প্রতি এটি জানতে পেরে আমি হতাশ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও এর প্রতিকার মেলেনি।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইসলামপুর উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মানিকুল ইসলাম বলেন, ‘রুনা আক্তারের নামের প্রত্যায়নে আমার যে সইটি রয়েছে, তা মূলত আমার না। তিনি কোনোভাবে আমার সই জাল করে প্রত্যয়ন নিতে পারেন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার রুনা আক্তারের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি তার পরিবার । ফোনও করলেও তিনি রিসিভ করেন না। শেরপুরের সরকারি শিশু (বালিকা) পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক বেলাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
জামালপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া বাবা সাজিয়ে এক নারী সরকারি চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সে নারীর নাম রুনা আক্তার। তিনি সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও গেজেটভুক্ত বীরমুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত রুনা আক্তারের বাবার নাম এবং গেজেটভুক্ত ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম একই। এ সুযোগে অভিযুক্ত রুনা আক্তার প্রকৃত বাবার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে
সরকারি চাকরি হাতিয়ে নেন।
২০১৯ সালের মার্চ থেকে তিনি শেরপুরের চাপাতলী সরকারি শিশু (বালিকা) পরিবারে বাবুর্চি পদে চাকরিরত। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত উত্তোলন করছেন বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না ওই বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবার।
২৩৮২ নম্বর গেজেটভুক্ত ওই বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের চিনারচর গ্রামে তার বসবাস। তার স্ত্রী মুমিনা বেগম। তিন মেয়ে এবং তিন ছেলে নিয়ে সংসার।
নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার সনদ ও গেজেট ব্যবহার করে সরকারের সঙ্গে প্রতারণা করে চাকরি নিয়েছেন রুনা আক্তার। বিষয়টি আমিও জানতাম না। সম্প্রতি এটি জানতে পেরে আমি হতাশ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও এর প্রতিকার মেলেনি।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইসলামপুর উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মানিকুল ইসলাম বলেন, ‘রুনা আক্তারের নামের প্রত্যায়নে আমার যে সইটি রয়েছে, তা মূলত আমার না। তিনি কোনোভাবে আমার সই জাল করে প্রত্যয়ন নিতে পারেন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার রুনা আক্তারের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি তার পরিবার । ফোনও করলেও তিনি রিসিভ করেন না। শেরপুরের সরকারি শিশু (বালিকা) পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক বেলাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।