গৃহকর্মীর মৃত্যু---
রাজধানীর মতিঝিল থানার এলাকায় শিল্পী বেগম নামে এক গৃহপরিচারিকার মৃত্যু ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে আসামিদের।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের জামিন বাতিল সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালত বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম রায় ঘোষণার বিষয়টি জানান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম শিল্পী বেগম মতিঝিল থানার উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দিন রোড এলাকায় আসামি নজরুল ইসলাম বাসায় কাজ করতেন। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সংবাদ পাওয়ার পর তিনি ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি আছে। আসামিরা ভিকটিমকে ঘরের দরজা আটকে লাথি মারে ও লোহার রড দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অযুহাতে ভিকটিমকে আঘাত করতো এই দম্পতি।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরে তার বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানায় এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালীন সময়ে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
গৃহকর্মীর মৃত্যু---
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
রাজধানীর মতিঝিল থানার এলাকায় শিল্পী বেগম নামে এক গৃহপরিচারিকার মৃত্যু ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে আসামিদের।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের জামিন বাতিল সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালত বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম রায় ঘোষণার বিষয়টি জানান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম শিল্পী বেগম মতিঝিল থানার উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দিন রোড এলাকায় আসামি নজরুল ইসলাম বাসায় কাজ করতেন। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সংবাদ পাওয়ার পর তিনি ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি আছে। আসামিরা ভিকটিমকে ঘরের দরজা আটকে লাথি মারে ও লোহার রড দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অযুহাতে ভিকটিমকে আঘাত করতো এই দম্পতি।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরে তার বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানায় এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালীন সময়ে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।