রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান মার্শালের মোটরসাইকেল মার্কার পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণের ছবি ধারণ করায় স্থানীয় দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে মোবাইল ফোন ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায়, ইউএনও এবং রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও ৬ দিনে প্রতিকার মেলেনি। উল্টো অভিযোগ করায় অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই সাংবাদিক। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ মে বিকেলে তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ালকুঠি ইউনিয়নের বরাতি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
পুলিশ এলাকাবাসী ও নির্যাতিত সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছে আগামী ৫ মে বুধবার রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সাবেক বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহিনুর রহমান মার্শালের মোটরসাইকেল মার্কার পক্ষে প্রকাশ্যেই নির্বাচনী প্রচারণাসহ বিভিন্ন নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন হাড়িয়ালকুঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ বাবুল। গত ২৫ মে গোপন সূত্রে খবর পান দৈনিক
আলোকিত বাংলাদেশের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি দীপক রায়। তিনি জানান আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল উপজেলার নারায়নজন মুকুলের বাজারে গিয়ে মোটরসাইকেল মার্কার পক্ষে ভোটারদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করবেন। খবর পাওয়ার পর সহকর্মী দৈনিক সময় পত্রিকার প্রতিনিধি আলমগীর হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে উক্ত বাজারে গিয়ে দেখতে পান আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ভোটারদের মাঝে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দেয়ার বিনিময়ে নগদ অর্থ বিতরণ করছেন। সাংবাদিক দীপক টাকা বিতরণের ছবি ও ভিডিও তাদের দুই জনের এনড্রয়েট মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি ধারণ করে। এ দৃশ্য দেখে আওয়ামী লীগ নেতা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। এরপর টাকা বিতরণের বিষয় জানতে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের সঙ্গে কথা বলার জন্য বরাতি উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে সাংবাদিক দীপক টাকা বিতরণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দীপকের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে দীপককে উপর্যুপরি ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে। এ সময় বাবুলের গাড়ির ড্রাইভার ও আরও ২/৩ জন সহযোগী সাংবাদিক আলমগীরকে গালাগাল দেয় এবং তাকেও মারধর করে। ওই সময় স্থানীয় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীসহ অন্যরা দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে।
সাংবাদিক দীপক রায় জানান এ ঘটনা তারাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে থানা থেকে জানানো হয় যেহেতু নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে ঘটনা ঘটেছে সে কারণে রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে। পুলিশের কথা মতো রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও তারাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানানো হয়।
এদিকে অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ বাবুল তার লোকজন দিয়ে সাংবাদিক দীপক রায় ও আলমগীরকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। শুধু তাই নয় ফেইসবুকে বিভিন্ন ফ্যাক আইডি থেকে হত্যা করার হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এতে করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক দীপক রায় তারাগঞ্জ থানায় জিডি করে যার নম্বর ১১৫৩ তারিখ ২৭.০৫.২৪ইং। বর্তমানে দুই সাংবাদিককে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হুমকি প্রদান অব্যাহত রাখায় দুই সাংবাদিক প্রাণভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুই সাংবাদিকের ওপর নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে বলেন পুরো ঘটনা তদন্ত করার জন্য এসি ল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে তারাগঞ্জ থানার ওসি ছিদ্দিকুল ইসলামের সঙ্গে ৩১ মে শুক্রবার বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দুই সাংবাদিকের অভিযোগ পাওয়া গেছে আপাতত জিডি করা হয়েছে তদন্ত চলছে বলে জানান।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা হারুনর রশীদ বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তেমন কিছুই হয়নি। তবে মোবাইল ভাঙচুর মারধর করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে দুই সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান মোবাইল ভাঙচুর ও আহত করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারাগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও হাড়িয়াল কুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুমারেশ রায়। তিনি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
শনিবার, ০১ জুন ২০২৪
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান মার্শালের মোটরসাইকেল মার্কার পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণের ছবি ধারণ করায় স্থানীয় দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে মোবাইল ফোন ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায়, ইউএনও এবং রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও ৬ দিনে প্রতিকার মেলেনি। উল্টো অভিযোগ করায় অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই সাংবাদিক। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ মে বিকেলে তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ালকুঠি ইউনিয়নের বরাতি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
পুলিশ এলাকাবাসী ও নির্যাতিত সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছে আগামী ৫ মে বুধবার রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সাবেক বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহিনুর রহমান মার্শালের মোটরসাইকেল মার্কার পক্ষে প্রকাশ্যেই নির্বাচনী প্রচারণাসহ বিভিন্ন নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন হাড়িয়ালকুঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ বাবুল। গত ২৫ মে গোপন সূত্রে খবর পান দৈনিক
আলোকিত বাংলাদেশের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি দীপক রায়। তিনি জানান আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল উপজেলার নারায়নজন মুকুলের বাজারে গিয়ে মোটরসাইকেল মার্কার পক্ষে ভোটারদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করবেন। খবর পাওয়ার পর সহকর্মী দৈনিক সময় পত্রিকার প্রতিনিধি আলমগীর হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে উক্ত বাজারে গিয়ে দেখতে পান আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ভোটারদের মাঝে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দেয়ার বিনিময়ে নগদ অর্থ বিতরণ করছেন। সাংবাদিক দীপক টাকা বিতরণের ছবি ও ভিডিও তাদের দুই জনের এনড্রয়েট মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি ধারণ করে। এ দৃশ্য দেখে আওয়ামী লীগ নেতা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। এরপর টাকা বিতরণের বিষয় জানতে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের সঙ্গে কথা বলার জন্য বরাতি উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে সাংবাদিক দীপক টাকা বিতরণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দীপকের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে দীপককে উপর্যুপরি ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে। এ সময় বাবুলের গাড়ির ড্রাইভার ও আরও ২/৩ জন সহযোগী সাংবাদিক আলমগীরকে গালাগাল দেয় এবং তাকেও মারধর করে। ওই সময় স্থানীয় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীসহ অন্যরা দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে।
সাংবাদিক দীপক রায় জানান এ ঘটনা তারাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে থানা থেকে জানানো হয় যেহেতু নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে ঘটনা ঘটেছে সে কারণে রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে। পুলিশের কথা মতো রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও তারাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানানো হয়।
এদিকে অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ বাবুল তার লোকজন দিয়ে সাংবাদিক দীপক রায় ও আলমগীরকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। শুধু তাই নয় ফেইসবুকে বিভিন্ন ফ্যাক আইডি থেকে হত্যা করার হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এতে করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক দীপক রায় তারাগঞ্জ থানায় জিডি করে যার নম্বর ১১৫৩ তারিখ ২৭.০৫.২৪ইং। বর্তমানে দুই সাংবাদিককে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হুমকি প্রদান অব্যাহত রাখায় দুই সাংবাদিক প্রাণভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুই সাংবাদিকের ওপর নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে বলেন পুরো ঘটনা তদন্ত করার জন্য এসি ল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে তারাগঞ্জ থানার ওসি ছিদ্দিকুল ইসলামের সঙ্গে ৩১ মে শুক্রবার বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দুই সাংবাদিকের অভিযোগ পাওয়া গেছে আপাতত জিডি করা হয়েছে তদন্ত চলছে বলে জানান।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা হারুনর রশীদ বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তেমন কিছুই হয়নি। তবে মোবাইল ভাঙচুর মারধর করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে দুই সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান মোবাইল ভাঙচুর ও আহত করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারাগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও হাড়িয়াল কুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুমারেশ রায়। তিনি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।