রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রী শুকতারা বেগম (৩৫) জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ল্যাংড়ার বাজার এলাকায় স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে পাঠিয়েছে। গঙ্গাচড়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান গৃহবধু শুকতারাকে নির্মমভাবে হত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায় ১৬ বছর আগে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা এলাকায় নিহত শুকতারা বেগমের সাথে গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ল্যাংড়ার বাজার এলাকার মাহবুব হাসান রাহাত ওরফে বল্টুর সাথে বিয়ে হয়। তাদের নবম শ্রেনীতে পড়–য়া ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যা মল্লিকা আখতার জানান রোববার স্বামী বল্টুর মা তার নাতীকে নিয়ে রংপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। বাসায় স্বামী বল্টু ও স্ত্রী শুকতারা বেগম দুজনেই ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। স্বামী তার শশুড় বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা ধার হিসেবে নিয়ে ফেরৎ না দেয়া নিয়েই মুলত ঝগড়া সুত্রপাত। স্ত্রী শুকতারা বেগম টাকা ফেরৎ দেবার কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী বল্টু তার স্ত্রী শুকতারা বেগমকে ছোড়া দিয়ে বুকে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করে। এরপর তাকে জবাই করে হত্যা করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি জানান দীর্ঘ সময় ধরে শুকতারা বেগম বাড়ির বাইরে না আসায় তারা বাড়িতে ঢুকে শুকতারা বেগমকে ঘরের ভেতরে বিছানার মধ্যে জবাই করা অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখে। তার শরীরে বুকে সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানেও আঘাতের চিহ্ন ছিলো। নারী ইউপি সদস্যা বিষয়টি গঙ্গাচড়া থানায় ফোন করে পুরো বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া থানার ওসি মাসুমুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে নিহত শুকতারা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্দের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে পাঠানো হয়েছে। কাল বুধবার ময়না তদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রী শুকতারা বেগম (৩৫) জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ল্যাংড়ার বাজার এলাকায় স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে পাঠিয়েছে। গঙ্গাচড়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান গৃহবধু শুকতারাকে নির্মমভাবে হত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায় ১৬ বছর আগে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা এলাকায় নিহত শুকতারা বেগমের সাথে গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ল্যাংড়ার বাজার এলাকার মাহবুব হাসান রাহাত ওরফে বল্টুর সাথে বিয়ে হয়। তাদের নবম শ্রেনীতে পড়–য়া ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যা মল্লিকা আখতার জানান রোববার স্বামী বল্টুর মা তার নাতীকে নিয়ে রংপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। বাসায় স্বামী বল্টু ও স্ত্রী শুকতারা বেগম দুজনেই ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। স্বামী তার শশুড় বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা ধার হিসেবে নিয়ে ফেরৎ না দেয়া নিয়েই মুলত ঝগড়া সুত্রপাত। স্ত্রী শুকতারা বেগম টাকা ফেরৎ দেবার কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী বল্টু তার স্ত্রী শুকতারা বেগমকে ছোড়া দিয়ে বুকে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করে। এরপর তাকে জবাই করে হত্যা করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি জানান দীর্ঘ সময় ধরে শুকতারা বেগম বাড়ির বাইরে না আসায় তারা বাড়িতে ঢুকে শুকতারা বেগমকে ঘরের ভেতরে বিছানার মধ্যে জবাই করা অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখে। তার শরীরে বুকে সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানেও আঘাতের চিহ্ন ছিলো। নারী ইউপি সদস্যা বিষয়টি গঙ্গাচড়া থানায় ফোন করে পুরো বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া থানার ওসি মাসুমুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে নিহত শুকতারা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্দের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে পাঠানো হয়েছে। কাল বুধবার ময়না তদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।