হবিগঞ্জর চুনারুঘাটের রঘুনন্দন পাহাড়ে স্বামীর বিরোধ মীমাংসা করার কথায় ইউপি সদস্যের সাথে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধ। তিনি ওলিপুর প্রাণ কোম্পানীর শ্রমিক । এ ঘটনায় ১২ জুন রাতে চুনারুঘাট থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের ৫ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন(৪০), একই এলাকার মো: আজির উদ্দিনের পুত্র মো: আব্দুস শুকুর (৩৩), আলীম উদ্দিন (৩০) ,সোলায়মান মিয়ার পুত্র মো: রুবেল (৩০) সহ অজ্ঞাত আরো ৩ জন।
অভিযোগে জানা য়ায়, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কাপ্তানপুর গ্রামের ৩ সন্তানের জননী (৩২) এর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামীর সাথে মনমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্বামী ওই নারীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
গত ৮ জুন জীবিকা নির্বাহের জন্য হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ওলিপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রাণের বিস্কুট কোম্পানিতে চাকরি নেন ওই নারী । ডিউটি শেষে রাত সাড়ে ৮টায় স্বামীর বাড়ির এলাকার এক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো: মামুনুর রশীদের সঙ্গে দেখা হয়। মামুনুর রশীদ ওই নারীর বিরোধ মীমাংসার কথা বলে চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের রঘুনন্দন পাহাড়ের নিয়ে মুখ বেধে একের পর এক ৭ জন রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে ওই নারী অসুস্থ হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন ।
এবিষয়ে ওই নারী জানান, আমার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আমার ৩ সন্তান নিয়ে আমি আমার পিত্রালয়ে অবস্থান করছিলাম। আমার অসহায় পিতামাতা আমাদের ভরণ পোষণ করতে না পারায় আমি চাকুরীর সন্ধানে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আসি। ওলিপুরে মামুন মেম্বারের সাথে আমার দেখা হয়। কিন্তু সে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে তার বন্ধুদের নিয়ে রাতভর নির্যাতন করে। আমি এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, মামলা সম্পর্কে তিনি পুলিশের মাধ্যমে শুনেছেন কিন্তু তিনি ঘটনায় জড়িত নয় এবং ওই নারীকে ছিনেন না।
এবিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রঘুনন্দন পাহাড়টি মাধবপুর , শায়েস্তগঞ্জ ও চুনারুঘাটসহ ৩ উপজেলার সীমান্ত ঘেষা পাহাড়। তাই অপরাধীরা ওই স্থানটিকে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে। রঘুনন্দন যেন ‘ক্রাইমজোনে’ পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরের ব্যবধানে দুটি সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ ও ৪টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখানে। পাশাপাশি প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। এতে আতঙ্কিত স্থানীয়রা । স্থানীয়রা মনে করছেন, স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ওই এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, এখানে নিরাপত্তার কোনও অভাব নেই।
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
হবিগঞ্জর চুনারুঘাটের রঘুনন্দন পাহাড়ে স্বামীর বিরোধ মীমাংসা করার কথায় ইউপি সদস্যের সাথে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধ। তিনি ওলিপুর প্রাণ কোম্পানীর শ্রমিক । এ ঘটনায় ১২ জুন রাতে চুনারুঘাট থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের ৫ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন(৪০), একই এলাকার মো: আজির উদ্দিনের পুত্র মো: আব্দুস শুকুর (৩৩), আলীম উদ্দিন (৩০) ,সোলায়মান মিয়ার পুত্র মো: রুবেল (৩০) সহ অজ্ঞাত আরো ৩ জন।
অভিযোগে জানা য়ায়, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কাপ্তানপুর গ্রামের ৩ সন্তানের জননী (৩২) এর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামীর সাথে মনমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্বামী ওই নারীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
গত ৮ জুন জীবিকা নির্বাহের জন্য হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ওলিপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রাণের বিস্কুট কোম্পানিতে চাকরি নেন ওই নারী । ডিউটি শেষে রাত সাড়ে ৮টায় স্বামীর বাড়ির এলাকার এক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো: মামুনুর রশীদের সঙ্গে দেখা হয়। মামুনুর রশীদ ওই নারীর বিরোধ মীমাংসার কথা বলে চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের রঘুনন্দন পাহাড়ের নিয়ে মুখ বেধে একের পর এক ৭ জন রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে ওই নারী অসুস্থ হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন ।
এবিষয়ে ওই নারী জানান, আমার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আমার ৩ সন্তান নিয়ে আমি আমার পিত্রালয়ে অবস্থান করছিলাম। আমার অসহায় পিতামাতা আমাদের ভরণ পোষণ করতে না পারায় আমি চাকুরীর সন্ধানে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আসি। ওলিপুরে মামুন মেম্বারের সাথে আমার দেখা হয়। কিন্তু সে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে তার বন্ধুদের নিয়ে রাতভর নির্যাতন করে। আমি এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, মামলা সম্পর্কে তিনি পুলিশের মাধ্যমে শুনেছেন কিন্তু তিনি ঘটনায় জড়িত নয় এবং ওই নারীকে ছিনেন না।
এবিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রঘুনন্দন পাহাড়টি মাধবপুর , শায়েস্তগঞ্জ ও চুনারুঘাটসহ ৩ উপজেলার সীমান্ত ঘেষা পাহাড়। তাই অপরাধীরা ওই স্থানটিকে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে। রঘুনন্দন যেন ‘ক্রাইমজোনে’ পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরের ব্যবধানে দুটি সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ ও ৪টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখানে। পাশাপাশি প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। এতে আতঙ্কিত স্থানীয়রা । স্থানীয়রা মনে করছেন, স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ওই এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, এখানে নিরাপত্তার কোনও অভাব নেই।