লোভনীয় চাকরি ও বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল
ব্ল্যাকমেইল করে ১শ’ কোটি টাকার সম্পদের মালিক-সিআইডি প্রধান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোভনীয় চাকরি ও বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করা সিন্ডিকেট চক্রের মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৭ বছরে এই চক্র অবৈধ ভাবে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা আয় করেছে। সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গতকাল সাংবাদিকদেরকে এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ১. মেহেদী হাসান, ২. তার সহযোগী শেখ জাহিদ বিন সুজন ৩. জাহিদ হাসান ওরফে কাঁকন ৪. তানভীর আহমে দীপ্ত ৫. সৈয়দ হাসিবুর রহমান ৬. শাদাত আল মুইজ ৭. সুম্মিতা আক্তার ওরফে পপি ও ৮. নায়না ইসলাম।
সিআইডি প্রধান জানান, এই চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও টেলিগ্রামে লোভনীয় চাকরি দেয়া, মডেল বানানো এবং মেধা অম্বেষনের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ব্ল্যাক মেইলের মাধ্যমে জোর পূর্বক তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসায় নামাতো। সিআইডির অনুসন্ধানে এই চক্রের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে।
মেডিকেল শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তুলেছিল। চিকিৎসা বিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যাসেঞ্জারে এ সংক্রান্ত সার্ভিস প্রদান করে গত ৭ বছরে তারা প্রায় ১শ’ কোটি টাকা আয় করেছে।
শুরুতে ফেইসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন, কখনোও মডেল তৈরি, কখনো বা ট্যালেন্ট শীর্ষক প্রতিযোগীতার আয়োজন করত চক্রটি। এতে যারা সাড়া দিত। তাদেরকে নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলত। এরপর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিদেশি বায়ারদের কাছে পাঠানোর কথা বলে মেয়েদের ছবি হাতিয়ে নিত চক্রটি। এরপর হাতিয়ে নেয়া আপতিকর ছবি ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে তাদের নগ্ন ভিডিও কলের সব কিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্বে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করত। তাদের খপ্পরে পড়ে শত শত তরুণী যৌন দাসিতে পরিণত হয়েছে। সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার এই চক্রের মূল হোতা ও তার প্রধান সহযোগীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে-বিদেশে চক্রটির রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। নানা নামে তাদের শতাধিক চ্যানেল গ্রাহক সংখ্যা কয়েক লাখ। এই চক্র অবৈধ ভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমান জমিও কিনেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে টেলিগ্রাম আইডি, ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম, চেক বই এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামল দায়ের করা হয়েছে।
লোভনীয় চাকরি ও বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল
ব্ল্যাকমেইল করে ১শ’ কোটি টাকার সম্পদের মালিক-সিআইডি প্রধান
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোভনীয় চাকরি ও বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করা সিন্ডিকেট চক্রের মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৭ বছরে এই চক্র অবৈধ ভাবে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা আয় করেছে। সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গতকাল সাংবাদিকদেরকে এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ১. মেহেদী হাসান, ২. তার সহযোগী শেখ জাহিদ বিন সুজন ৩. জাহিদ হাসান ওরফে কাঁকন ৪. তানভীর আহমে দীপ্ত ৫. সৈয়দ হাসিবুর রহমান ৬. শাদাত আল মুইজ ৭. সুম্মিতা আক্তার ওরফে পপি ও ৮. নায়না ইসলাম।
সিআইডি প্রধান জানান, এই চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও টেলিগ্রামে লোভনীয় চাকরি দেয়া, মডেল বানানো এবং মেধা অম্বেষনের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ব্ল্যাক মেইলের মাধ্যমে জোর পূর্বক তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসায় নামাতো। সিআইডির অনুসন্ধানে এই চক্রের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে।
মেডিকেল শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তুলেছিল। চিকিৎসা বিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যাসেঞ্জারে এ সংক্রান্ত সার্ভিস প্রদান করে গত ৭ বছরে তারা প্রায় ১শ’ কোটি টাকা আয় করেছে।
শুরুতে ফেইসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন, কখনোও মডেল তৈরি, কখনো বা ট্যালেন্ট শীর্ষক প্রতিযোগীতার আয়োজন করত চক্রটি। এতে যারা সাড়া দিত। তাদেরকে নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলত। এরপর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিদেশি বায়ারদের কাছে পাঠানোর কথা বলে মেয়েদের ছবি হাতিয়ে নিত চক্রটি। এরপর হাতিয়ে নেয়া আপতিকর ছবি ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে তাদের নগ্ন ভিডিও কলের সব কিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্বে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করত। তাদের খপ্পরে পড়ে শত শত তরুণী যৌন দাসিতে পরিণত হয়েছে। সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার এই চক্রের মূল হোতা ও তার প্রধান সহযোগীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে-বিদেশে চক্রটির রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। নানা নামে তাদের শতাধিক চ্যানেল গ্রাহক সংখ্যা কয়েক লাখ। এই চক্র অবৈধ ভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমান জমিও কিনেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে টেলিগ্রাম আইডি, ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম, চেক বই এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামল দায়ের করা হয়েছে।