ছাগলকাণ্ড ে অভিযুক্ত এনবির কর্মকর্তা মতিউর রহমান দেশেই আছে। সরকারি পাসপোর্টে বিদেশ যাওয়ার কোনো তথ্য নেই। তাকে আটকানোর জন্য আন্তর্জাতিক রেলপথ, নৌপথ, সড়কপথ ও আকাশপথসহ ২৯টি চেকপোস্টে তার পাসপোর্ট নম্বর ও ছবি পাঠানো হয়েছে। তবে জালিয়াতি করে করা অন্য কোনো পাসপোর্টে পালাতে পারে বলে ইমিগ্রেশন ও গোয়েন্দা সংস্থার আশঙ্কা করছেন। এরপরও তার বিষয় নিশ্চিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তৎপর রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব থাকলেও মতিউর সিন্ডিকেট সব আমলে অনিয়ম করছে। তার অনিয়মে শীর্ষ প্রতারকও হার মানবে।
এনবিআর থেকে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের একজন কর্মকর্তা স্বাভাবিক নিয়মে একস্থানে ২ বছর চাকরি করতে পারে। খুব বেশি হলে তিন বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। কিন্তু মতিউর সিন্ডিকেটের সদস্যরা একই স্থানে ৫ বছর ধরে কর্মরত আছে। শুল্ক ও ভ্যাট শাখার মতিউর রহমানের আর্শীবাদ পুষ্ট কর্মকর্তারা রহস্য জনক কারণে বহাল তবিয়তে আছেন।
এইভাবে মতিউর সিন্ডিকেটের অনেক কর্মকর্তা চট্টগ্রাম কার্স্টমস হাউস, বেনাপোল কার্স্টমস, সেগুন বাগিচা বন্ড অফিসসহ ঢাকা ও বিভাগীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারের টার্গেটকৃত রাজস্ব আদায়ের চেয়ে নিজেরাই বেশি লাভ হতে পোস্টিং বাণিজ্য থেকে শুরু করে এমন কোনো অনিয়ম নেই, সবই করছেন মতিউর। আর গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
কাস্টমসের একজন সাবেক কমিশনার সংবাদকে জানান, মতিউর সিন্ডিকেটের এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা বন্ডলাইসেন্স ও প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিও আছে। এক কর্মকর্তার দুটি প্রতিষ্ঠান আছে তার বোনের নামে। গুলশান ও উত্তরাসহ অভিজাত এলাকায় আছে একাধিক নামে বেনামে ফ্ল্যাট। মাঠ পর্যায়ে তারা চাঁদা ছাড়া কোনো কথাই বলে না। টাকায় মিলে পোস্টিং। টাকার দাপটে সন্তানরা বিদেশে ঘুষের টাকায় এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে প্রতিষ্ঠান। তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে টাকা লাভেও খাটায়।
সূত্র জানায়, মতিউরের দুর্নীতিতে বাধা দেয়ায় সৎ অফিসাররা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তারা পদে পদে হেনাস্থ হয়েছেন। অবসরে যাওয়ার পরও তাদেরকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এমকি মতিউর টাকা দিয়ে তার পছন্দের কিছু অসাধু সাংবাদিক দিয়ে সৎ অফিসারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে বলছেন বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
সূত্র আরও জানায়, এনবিআরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত মতিউর সিন্ডিকেটের একজন কর্মকর্তার ২ ছেলে কানাডায়। ঢাকায় কমপক্ষে তার ৪টি ফ্ল্যাট আছে।
অপরাধবিষয়ক সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, দুর্নীতিবাজ মতিউরের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ ছিল। যারা তাকে যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে তারাও প্রত্যক্ষ-প্ররোক্ষ ভাবে দায়ী।
তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে পারলে ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্নীতি দূরে থাকবে। আর দুর্নীতি দমন কমিশন যে ভাবে তদন্ত করছে তা সঠিক ভাবেগুলোতে এ অপরাধীর কঠিন বিচার হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে ইমিগ্রেশন সূত্র দাবি করছেন, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর দেশেই আছেন। তার সরকারি পাসপোর্টের তথ্য মতে, তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি। তাকে শনাক্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক রেলপথ, সড়কপথ ও আকাশপথে তার পাসপোর্ট নম্বরসহ অন্যান্য সতর্ক তথ্য পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার গতিবিধি সর্বক্ষণ মনিটরিং করছেন। এজন্য আদালতের নির্দেশ মতো ২৯টি চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ কাজ করছেন।
ইমিগ্রেশনের অন্য এক সূত্র জানায়, মতিউর সরকারি ছাড়াও যদি জালিয়াতি করে পাসপোর্ট তৈরি করে থাকে। তাহলে ওই পাসপোর্টে দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে। সেখানে তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেয়া তিনজনই ধারণা করা হচ্ছে এখনো দেশেই আছে। বিষয়টি আরও নিশ্চিত করার জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কাজ করছেন।
দেশের সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে একের পর এক দুর্নীতিবাজের তথ্য বেরিয়ে আসায় নড়ে-চড়ে বসছেন নানা মহল। দুর্নীতি দমন ও দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পৃথক কমিশন গঠন করে তাদের অপরাধ চিহ্নিত করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
খোদ জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এনবিআরের প্রধান কার্যালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের অফিস পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তা উদ্ঘাটনে তদন্ত করা দরকার বলে আলোচনা করেন।
বরিশাল থেকে আমাদের নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, বরিশালের মুলাদি উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম হাওলাদারের পুত্র বহুল আলোচিত ছাগলকাণ্ড ের হোতা মতিউর রহমান হাওলাদারের পুরো পরিবারই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
মতিউর রহমানের পিতা শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নিয়ে কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে মুলাদি উপজেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ইউসুফ আলীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বাহাদুরপুর গ্রামে তাকে মতিউর নামে খুব কম সংখ্যক লোকে চেনেন। সবাই জানেন তার নাম পিন্টু। সাধারণত বাড়িতে তিন আসতেন না। মোবাইল ফোনে নির্দেশ দিয়ে তার কর্মকাণ্ড চালাতেন। গ্রামের বাড়ি ও সম্পত্তি দেখভাল করছেন তার চাচাতো ভাই মাহমুদ্দিননবী ও ফখরুদ্দিন।
অবশ্য তার বাড়ির বর্তমান অবস্থা আগে ছিল না। রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পর এলাকায় প্রায় ৫০ একর একর জমি কিনেছেন। তবে এই জমি কার নামে কেনা হয়েছে তা তারা জানেন না। প্রায় পৌনে দুই একর জমির উপর নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি, দোতালা মসজিদ ও তিনতলা মাদ্রাসা। তার ভাই কাইউম ঢাকায় থাকেন। ভাইকে ঢাকার টঙ্গীতে ব্যাগের কারখানা খুলে দিয়েছেন।
তিনি মুলাদি পৌর এলাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি কিনেছেন। অবশ্য মতিউরের বিরুদ্ধে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার বিষয় তার দুই চাচাতো ভাই অস্বীকার করেন।
চাচাতো ভাইরা জানান, বাহাদুরপুর গ্রামের কয়লা খালে পানি উন্নয়নের বোর্ডের দ্বারা ব্লক দিয়ে বাঁধাই করে দিয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ খালের জমি দখল করে নিজের বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ। খালটিতে বাঁধ দেয়ায় এখন গ্রামবাসীদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের কাছে বাড়ির গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। গ্রামবাসীদের মতে মতিউর নিজেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
ছাগলকাণ্ড ে অভিযুক্ত এনবির কর্মকর্তা মতিউর রহমান দেশেই আছে। সরকারি পাসপোর্টে বিদেশ যাওয়ার কোনো তথ্য নেই। তাকে আটকানোর জন্য আন্তর্জাতিক রেলপথ, নৌপথ, সড়কপথ ও আকাশপথসহ ২৯টি চেকপোস্টে তার পাসপোর্ট নম্বর ও ছবি পাঠানো হয়েছে। তবে জালিয়াতি করে করা অন্য কোনো পাসপোর্টে পালাতে পারে বলে ইমিগ্রেশন ও গোয়েন্দা সংস্থার আশঙ্কা করছেন। এরপরও তার বিষয় নিশ্চিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তৎপর রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব থাকলেও মতিউর সিন্ডিকেট সব আমলে অনিয়ম করছে। তার অনিয়মে শীর্ষ প্রতারকও হার মানবে।
এনবিআর থেকে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের একজন কর্মকর্তা স্বাভাবিক নিয়মে একস্থানে ২ বছর চাকরি করতে পারে। খুব বেশি হলে তিন বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। কিন্তু মতিউর সিন্ডিকেটের সদস্যরা একই স্থানে ৫ বছর ধরে কর্মরত আছে। শুল্ক ও ভ্যাট শাখার মতিউর রহমানের আর্শীবাদ পুষ্ট কর্মকর্তারা রহস্য জনক কারণে বহাল তবিয়তে আছেন।
এইভাবে মতিউর সিন্ডিকেটের অনেক কর্মকর্তা চট্টগ্রাম কার্স্টমস হাউস, বেনাপোল কার্স্টমস, সেগুন বাগিচা বন্ড অফিসসহ ঢাকা ও বিভাগীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারের টার্গেটকৃত রাজস্ব আদায়ের চেয়ে নিজেরাই বেশি লাভ হতে পোস্টিং বাণিজ্য থেকে শুরু করে এমন কোনো অনিয়ম নেই, সবই করছেন মতিউর। আর গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
কাস্টমসের একজন সাবেক কমিশনার সংবাদকে জানান, মতিউর সিন্ডিকেটের এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা বন্ডলাইসেন্স ও প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিও আছে। এক কর্মকর্তার দুটি প্রতিষ্ঠান আছে তার বোনের নামে। গুলশান ও উত্তরাসহ অভিজাত এলাকায় আছে একাধিক নামে বেনামে ফ্ল্যাট। মাঠ পর্যায়ে তারা চাঁদা ছাড়া কোনো কথাই বলে না। টাকায় মিলে পোস্টিং। টাকার দাপটে সন্তানরা বিদেশে ঘুষের টাকায় এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে প্রতিষ্ঠান। তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে টাকা লাভেও খাটায়।
সূত্র জানায়, মতিউরের দুর্নীতিতে বাধা দেয়ায় সৎ অফিসাররা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তারা পদে পদে হেনাস্থ হয়েছেন। অবসরে যাওয়ার পরও তাদেরকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এমকি মতিউর টাকা দিয়ে তার পছন্দের কিছু অসাধু সাংবাদিক দিয়ে সৎ অফিসারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে বলছেন বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
সূত্র আরও জানায়, এনবিআরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত মতিউর সিন্ডিকেটের একজন কর্মকর্তার ২ ছেলে কানাডায়। ঢাকায় কমপক্ষে তার ৪টি ফ্ল্যাট আছে।
অপরাধবিষয়ক সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, দুর্নীতিবাজ মতিউরের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ ছিল। যারা তাকে যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে তারাও প্রত্যক্ষ-প্ররোক্ষ ভাবে দায়ী।
তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে পারলে ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্নীতি দূরে থাকবে। আর দুর্নীতি দমন কমিশন যে ভাবে তদন্ত করছে তা সঠিক ভাবেগুলোতে এ অপরাধীর কঠিন বিচার হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে ইমিগ্রেশন সূত্র দাবি করছেন, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর দেশেই আছেন। তার সরকারি পাসপোর্টের তথ্য মতে, তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি। তাকে শনাক্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক রেলপথ, সড়কপথ ও আকাশপথে তার পাসপোর্ট নম্বরসহ অন্যান্য সতর্ক তথ্য পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার গতিবিধি সর্বক্ষণ মনিটরিং করছেন। এজন্য আদালতের নির্দেশ মতো ২৯টি চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ কাজ করছেন।
ইমিগ্রেশনের অন্য এক সূত্র জানায়, মতিউর সরকারি ছাড়াও যদি জালিয়াতি করে পাসপোর্ট তৈরি করে থাকে। তাহলে ওই পাসপোর্টে দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে। সেখানে তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেয়া তিনজনই ধারণা করা হচ্ছে এখনো দেশেই আছে। বিষয়টি আরও নিশ্চিত করার জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কাজ করছেন।
দেশের সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে একের পর এক দুর্নীতিবাজের তথ্য বেরিয়ে আসায় নড়ে-চড়ে বসছেন নানা মহল। দুর্নীতি দমন ও দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পৃথক কমিশন গঠন করে তাদের অপরাধ চিহ্নিত করে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
খোদ জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এনবিআরের প্রধান কার্যালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের অফিস পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তা উদ্ঘাটনে তদন্ত করা দরকার বলে আলোচনা করেন।
বরিশাল থেকে আমাদের নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, বরিশালের মুলাদি উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম হাওলাদারের পুত্র বহুল আলোচিত ছাগলকাণ্ড ের হোতা মতিউর রহমান হাওলাদারের পুরো পরিবারই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
মতিউর রহমানের পিতা শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নিয়ে কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে মুলাদি উপজেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ইউসুফ আলীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বাহাদুরপুর গ্রামে তাকে মতিউর নামে খুব কম সংখ্যক লোকে চেনেন। সবাই জানেন তার নাম পিন্টু। সাধারণত বাড়িতে তিন আসতেন না। মোবাইল ফোনে নির্দেশ দিয়ে তার কর্মকাণ্ড চালাতেন। গ্রামের বাড়ি ও সম্পত্তি দেখভাল করছেন তার চাচাতো ভাই মাহমুদ্দিননবী ও ফখরুদ্দিন।
অবশ্য তার বাড়ির বর্তমান অবস্থা আগে ছিল না। রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পর এলাকায় প্রায় ৫০ একর একর জমি কিনেছেন। তবে এই জমি কার নামে কেনা হয়েছে তা তারা জানেন না। প্রায় পৌনে দুই একর জমির উপর নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি, দোতালা মসজিদ ও তিনতলা মাদ্রাসা। তার ভাই কাইউম ঢাকায় থাকেন। ভাইকে ঢাকার টঙ্গীতে ব্যাগের কারখানা খুলে দিয়েছেন।
তিনি মুলাদি পৌর এলাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি কিনেছেন। অবশ্য মতিউরের বিরুদ্ধে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার বিষয় তার দুই চাচাতো ভাই অস্বীকার করেন।
চাচাতো ভাইরা জানান, বাহাদুরপুর গ্রামের কয়লা খালে পানি উন্নয়নের বোর্ডের দ্বারা ব্লক দিয়ে বাঁধাই করে দিয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ খালের জমি দখল করে নিজের বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ। খালটিতে বাঁধ দেয়ায় এখন গ্রামবাসীদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের কাছে বাড়ির গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। গ্রামবাসীদের মতে মতিউর নিজেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।