মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে আরমান (২২) নামে এক যুবক খুনের ঘটনা নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। খুনের পর থেকে ঘটনার মূল বিষয় নিয়ে ভয়ে মুখ খুলছে না এলাকাবাসী। তবে মানুষ জানতে চায় আরমান খুনের মূল নেপথ্যের ঘটনা কি ? আর কিসেরই বা টাকার লেনদেন ছিল তাদের?
জুয়ারীরা তাদের পথের কাঁটা সরাতে গিয়ে আরমানকে বলি দিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা বলে বেড়াচ্ছে। পুলিশ জুয়ারীদের হামলায় আরমান খুনের ঘটনা স্বীকার না করলেও ঘটনায় সম্পৃক্ত খুনে জড়িতরা জুয়ারী হিসেবে আইনের খাতায় লিপিবদ্ধ। ডিবি পুলিশ ও আদালতে তা প্রমাণিত।
পুলিশ অভ্যন্তরীণ লেনদেনের কারণে আরমান খুন হয়েছে স্বীকার করলেও জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে আরমান খুন হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করতে পারছে না। তবে তারা বলছে এটা দীর্ঘতমের বিষয়। জেলা পুলিশের কর্তা পুলিশ সুপার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরের গাঁও গ্রামের জুয়ার বোর্ডের বিষয় শুনে বিস্মিত হয়েছেন।
জুয়ার আসরের ভাগাভাগি নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটলেও মূল ঘটনাকে আড়াল করতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তবে নিহত আরমান জুয়ারিদের বলির পাঠা হয়েছেন এমন কথা এলাকাবাসীর মুখে মুখে এখন টক অফ দা জুড়ী। আরমান জুয়াড়িদের বলি!
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গরেরগাঁও গ্রামের যুবলীগ নেতা নেতা সাইফুর রহমান গংরা সিএনজি চালক রফিক মিয়া সহ স্থানীয় ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই জুয়ার আসরটি নিয়ন্ত্রণ করছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় থানার ওসিকে ম্যানেজ করে তারা প্রতিদিনই বসাচ্ছে জুয়ার আসর।
এদিকে গরেরগাঁও গ্রামের ইয়াজ মিয়ার ছেলে তানভীর আহমেদ নিয়মিত চাঁদা পান ওই আসর থেকে। সম্প্রতি সময়ে তানভীরকে জুয়ার আসর থেকে চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেন আসর নিয়ন্ত্রণকারীরা। এতে করে ক্ষিপ্ত হন তানভীর। গত শনিবার (২২ জুন) রাতে চাঁদার টাকার জন্য জুয়ার আসরে যায় তানভীর।
এসময় আসর নিয়ন্ত্রণকারী যুবনেতা সাইফুর রহমান, ডাঃ মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক হারিছ মোহাম্মদ ও সিএনজি চালক রফিক মিয়ার সাথে তানভীরের কথা কাটাকাটি হয়।
এর রেশ ধরেই রাতে জুয়ার আসর শেষে ঘটে হাতাহাতি ও খুনের ঘটনা ঘটায় তানভীর।
তানভীর রফিক মিয়ার পেটে ছুরিকাঘাত করেন। তখন রফিককে ফেলে বাকিরা পালিয়ে যান। রফিকের আত্মচিৎকারে পাশের ঘরের প্রবাসী সুমন মিয়ার ছেলে আরমান বেরিয়ে আসে। তানভীরের হাত থেকে রফিক মিয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তানভীর আরমানের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আরমান ও রফিক মিয়াকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নেয়।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে জুড়ী থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে।
ঘটনাকারী তানভীর হলেও আসামি করা হয়েছে তানভীরের বাবা ইয়াজ উদ্দিন, তার ভাই তুহিন ও একই গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর ছেলে তাজ উদ্দিনকে
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে লুটে নিচ্ছে ওই জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণকারী চক্র বলে জানান এলাকাবাসী।
রফিক পুলিশের কাছে একজনের নাম বললেও এ মামলায় নিরীহ মানুষকে ফাঁসানোর কারণে এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জুড়ী থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই আরমান খুনের ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) বলেন, খুনের ঘটনাটি জানি, তবে জুয়ারীদের হামলায় আরমান খুন হয়েছে এমন বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের নলেজে নেই।
শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে আরমান (২২) নামে এক যুবক খুনের ঘটনা নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। খুনের পর থেকে ঘটনার মূল বিষয় নিয়ে ভয়ে মুখ খুলছে না এলাকাবাসী। তবে মানুষ জানতে চায় আরমান খুনের মূল নেপথ্যের ঘটনা কি ? আর কিসেরই বা টাকার লেনদেন ছিল তাদের?
জুয়ারীরা তাদের পথের কাঁটা সরাতে গিয়ে আরমানকে বলি দিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা বলে বেড়াচ্ছে। পুলিশ জুয়ারীদের হামলায় আরমান খুনের ঘটনা স্বীকার না করলেও ঘটনায় সম্পৃক্ত খুনে জড়িতরা জুয়ারী হিসেবে আইনের খাতায় লিপিবদ্ধ। ডিবি পুলিশ ও আদালতে তা প্রমাণিত।
পুলিশ অভ্যন্তরীণ লেনদেনের কারণে আরমান খুন হয়েছে স্বীকার করলেও জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে আরমান খুন হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করতে পারছে না। তবে তারা বলছে এটা দীর্ঘতমের বিষয়। জেলা পুলিশের কর্তা পুলিশ সুপার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরের গাঁও গ্রামের জুয়ার বোর্ডের বিষয় শুনে বিস্মিত হয়েছেন।
জুয়ার আসরের ভাগাভাগি নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটলেও মূল ঘটনাকে আড়াল করতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তবে নিহত আরমান জুয়ারিদের বলির পাঠা হয়েছেন এমন কথা এলাকাবাসীর মুখে মুখে এখন টক অফ দা জুড়ী। আরমান জুয়াড়িদের বলি!
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গরেরগাঁও গ্রামের যুবলীগ নেতা নেতা সাইফুর রহমান গংরা সিএনজি চালক রফিক মিয়া সহ স্থানীয় ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই জুয়ার আসরটি নিয়ন্ত্রণ করছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় থানার ওসিকে ম্যানেজ করে তারা প্রতিদিনই বসাচ্ছে জুয়ার আসর।
এদিকে গরেরগাঁও গ্রামের ইয়াজ মিয়ার ছেলে তানভীর আহমেদ নিয়মিত চাঁদা পান ওই আসর থেকে। সম্প্রতি সময়ে তানভীরকে জুয়ার আসর থেকে চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেন আসর নিয়ন্ত্রণকারীরা। এতে করে ক্ষিপ্ত হন তানভীর। গত শনিবার (২২ জুন) রাতে চাঁদার টাকার জন্য জুয়ার আসরে যায় তানভীর।
এসময় আসর নিয়ন্ত্রণকারী যুবনেতা সাইফুর রহমান, ডাঃ মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক হারিছ মোহাম্মদ ও সিএনজি চালক রফিক মিয়ার সাথে তানভীরের কথা কাটাকাটি হয়।
এর রেশ ধরেই রাতে জুয়ার আসর শেষে ঘটে হাতাহাতি ও খুনের ঘটনা ঘটায় তানভীর।
তানভীর রফিক মিয়ার পেটে ছুরিকাঘাত করেন। তখন রফিককে ফেলে বাকিরা পালিয়ে যান। রফিকের আত্মচিৎকারে পাশের ঘরের প্রবাসী সুমন মিয়ার ছেলে আরমান বেরিয়ে আসে। তানভীরের হাত থেকে রফিক মিয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তানভীর আরমানের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আরমান ও রফিক মিয়াকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নেয়।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে জুড়ী থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে।
ঘটনাকারী তানভীর হলেও আসামি করা হয়েছে তানভীরের বাবা ইয়াজ উদ্দিন, তার ভাই তুহিন ও একই গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর ছেলে তাজ উদ্দিনকে
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে লুটে নিচ্ছে ওই জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণকারী চক্র বলে জানান এলাকাবাসী।
রফিক পুলিশের কাছে একজনের নাম বললেও এ মামলায় নিরীহ মানুষকে ফাঁসানোর কারণে এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জুড়ী থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই আরমান খুনের ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) বলেন, খুনের ঘটনাটি জানি, তবে জুয়ারীদের হামলায় আরমান খুন হয়েছে এমন বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের নলেজে নেই।