বিগত সরকারের আমলে প্রভাবশালীরা কচুয়া-বটতলী খালের উপর দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা, খালে বাঁধ দিয়ে বাড়ির রাস্তা তৈরি করে খাল দখল করে রেখেছে। এতে করে খালে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় নোয়াখালীর চাটখিল লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার বশিকপুর এলাকা ও রামগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যায় মাসব্যাপী হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে ও বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, খালটির কচুয়া, আটঘর, শাহাপুর, ঠাকুর দিঘীরপাড়, বাংলা বাজার, সোমপাড়া, বশিকপুর, দত্তপাড়া বাজারসহ কচুয়া থেকে বটতলীর প্রায় সকল বাজার এলাকায় দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা না করে দোকানঘর, স্থাপনাসহ বাড়ির রাস্তা তৈরি করে খালের পানি চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে রেখেছে।
প্রভাবশালীদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন এই সকল বিষয়ে কোনো অভিযোগ করতে সাহস পায় না। তারপরও মাঝেমধ্যে এসব বিষয়ে এলাকা বাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খবর প্রকাশ করলেও অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এক সময়ে বর্ষাকালে কচুয়া থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত এই এলাকার লোকজনের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম ছিল নৌকা। এখন খাল দিয়ে নৌকা চলাচল তো দূরের কথা পানির স্বাভাবিক চলাচলও কল্পনা করা যায় না।
তাই এবার প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে এই এলাকায় বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কচুয়া-বটতলী সড়কে কোথাও হাঁটু পরিমাণ পানি উঠে সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকস্থানে রিকশা, সিএনজি চলাচলও বন্ধ রয়েছে। ফলে একদিকে লোকজন কে নিদারুণ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে বন্যাকবলিত এসব এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। মানুষের ভোগান্তি চরমে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত না থাকলেও বন্যার পানি কমছে না। দ্রুত খালটিতে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হলে, এই এলাকার পানি নেমে যাবে এবং মানুষের দুর্ভোগ কমবে। এলাকা বাসী এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দত্তপাড়া বাজারের চারপাশে এক সময় খাল ছিল। ওই সব খালে দিয়ে নৌকাযোগে ধান, পাট ও নারিকেলসহসহ অন্যান্য পণ্য নৌকাযোগে বাজারে আনা নেয়ার কাজ হতো। এখন সেখানে যে এক সময় খাল ছিল তার হদিস নেই। খালের উপর প্রভাবশালীরা মার্কেট তৈরি করেছেন। তাই একটু বৃষ্টিতে বাজারে পানি জমে। এ বছর বন্যায় বটতলী থেকে দত্তপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কটি বন্ধ হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে দত্তপাড়া বাজারের চারপাশের খালগুলো পূর্ণ উদ্ধার ও সংস্কার করলে পানি পারাপারে সুবিধা হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ভরাট খাল খনন করলে ভবিষতে পানি দ্রুত নেমে যাবে। হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।
রোববার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিগত সরকারের আমলে প্রভাবশালীরা কচুয়া-বটতলী খালের উপর দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা, খালে বাঁধ দিয়ে বাড়ির রাস্তা তৈরি করে খাল দখল করে রেখেছে। এতে করে খালে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় নোয়াখালীর চাটখিল লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার বশিকপুর এলাকা ও রামগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যায় মাসব্যাপী হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে ও বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, খালটির কচুয়া, আটঘর, শাহাপুর, ঠাকুর দিঘীরপাড়, বাংলা বাজার, সোমপাড়া, বশিকপুর, দত্তপাড়া বাজারসহ কচুয়া থেকে বটতলীর প্রায় সকল বাজার এলাকায় দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা না করে দোকানঘর, স্থাপনাসহ বাড়ির রাস্তা তৈরি করে খালের পানি চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে রেখেছে।
প্রভাবশালীদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন এই সকল বিষয়ে কোনো অভিযোগ করতে সাহস পায় না। তারপরও মাঝেমধ্যে এসব বিষয়ে এলাকা বাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খবর প্রকাশ করলেও অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এক সময়ে বর্ষাকালে কচুয়া থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত এই এলাকার লোকজনের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম ছিল নৌকা। এখন খাল দিয়ে নৌকা চলাচল তো দূরের কথা পানির স্বাভাবিক চলাচলও কল্পনা করা যায় না।
তাই এবার প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে এই এলাকায় বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কচুয়া-বটতলী সড়কে কোথাও হাঁটু পরিমাণ পানি উঠে সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকস্থানে রিকশা, সিএনজি চলাচলও বন্ধ রয়েছে। ফলে একদিকে লোকজন কে নিদারুণ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে বন্যাকবলিত এসব এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। মানুষের ভোগান্তি চরমে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত না থাকলেও বন্যার পানি কমছে না। দ্রুত খালটিতে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হলে, এই এলাকার পানি নেমে যাবে এবং মানুষের দুর্ভোগ কমবে। এলাকা বাসী এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দত্তপাড়া বাজারের চারপাশে এক সময় খাল ছিল। ওই সব খালে দিয়ে নৌকাযোগে ধান, পাট ও নারিকেলসহসহ অন্যান্য পণ্য নৌকাযোগে বাজারে আনা নেয়ার কাজ হতো। এখন সেখানে যে এক সময় খাল ছিল তার হদিস নেই। খালের উপর প্রভাবশালীরা মার্কেট তৈরি করেছেন। তাই একটু বৃষ্টিতে বাজারে পানি জমে। এ বছর বন্যায় বটতলী থেকে দত্তপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কটি বন্ধ হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে দত্তপাড়া বাজারের চারপাশের খালগুলো পূর্ণ উদ্ধার ও সংস্কার করলে পানি পারাপারে সুবিধা হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ভরাট খাল খনন করলে ভবিষতে পানি দ্রুত নেমে যাবে। হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।