ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক প্রবাসির গাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মহাসড়কের পিরোজপুর এলাকায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে মুখোশধারী ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ধারালো অস্ত্রসহ সড়কে ট্রাক থামিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে প্রবাসির গাড়িতে ডাকাতি করে।
ডাকাতদল প্রবাসির গ্রীন কার্ড, বৈদেশীক মুদ্রা ইউএস ডলার, ইউরো, ৮ টি মোবাইল, নগদ দেশী টাকাসহ ১০ লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটে নেয়।
ডাকাতদের কবলে পড়া প্রবাসী ও তার সাথে থাকা লোকজন জানান, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বসন্তীপুর গ্রামের সালেহ আহমেদ মিয়ার ইটালী প্রবাসী গ্রীন কার্ডধারী ছেলে রবিউল (৩০) দীর্ঘ ৭ বছর পর গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে আসেন। বিমানবন্দর থেকে তাকে প্রাইভেটকারে নিতে আসেন প্রবাসির চাচাতো ভাই শাহাবুদ্দিনের ছেলে জুয়েল, মবিউল্লাহর ছেলে নেয়ামত উল্লাহ ও একই গ্রামের আঃ রহমান মিয়ার ছেলে প্রাইভেটকার চালক মিজানসহ ৩ জন।
তারা বুধবার ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলাধীন মারীখালী ব্রিজ সংলগ্ন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মহাসড়কে পৌছলে ১০-১৫ জনের ডাকাতদল একটি ট্রাকে ইটপাটকেল ছুড়ে সড়কে ব্যাড়িকেড দিয়ে দেশী ধারালো অস্ত্র বড় বড় ছুড়ি নিয়ে ট্রাক ও তাদের প্রাইভেটকারে হামলা করে। ডাকাতদের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বৈদেশীক মুদ্রা ৯ শ’ ইউ এস ডলার, সাড়ে ৩ শ’ ইউরো, একটি আই ফোনসহ ৮ টি দামি মোবাইল, মালামালসহ একটি লাগেজ, ইটালিয়ান গ্রীনকার্ড, ব্যাংক কার্ড, বাংলাদেশী নগদ টাকাসহ ১০ লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটে নিয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তারা স্থানীয়দের নিয়ে মালামাল খুঁজে না পেয়ে থানায় গেলে সড়কে টহলের দায়িত্বে থাকা এস আই আল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তার কাছে ফোন করলে তিনি তাদেরকে তাৎক্ষনিক সহযোগিতা না করে পরে যোগাযোগ করতে বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে এস আই আল ইসলাম বলেন, আমি টহলে ছিলাম। ডাকাতরা তো দুই এক মিনিটে ডাকাতি করে চলে যায়। আমরা দেখতেছি বিষয়টা।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী বলেন, আমি নতুন এসেছি। আগের তুলনায় ডাকাতি কিছুটা কমেছে। এখনো সব অফিসার থানায় যোগদান করেনি। তবে ডাকাত ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো শুরু হয়েছে।
গত আগস্ট মাসের ৫ তারিখের পর এই একই স্থানে প্রায় প্রতিদিনই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গত মাসেও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার নরোত্তমপুর গ্রামের মামুন মিয়া প্রবাস থেকে ফেরার সময় ডাকাতদের কবলে পড়ে পাসপোর্টসহ সর্বস্ব হারিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাননি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক প্রবাসির গাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মহাসড়কের পিরোজপুর এলাকায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে মুখোশধারী ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ধারালো অস্ত্রসহ সড়কে ট্রাক থামিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে প্রবাসির গাড়িতে ডাকাতি করে।
ডাকাতদল প্রবাসির গ্রীন কার্ড, বৈদেশীক মুদ্রা ইউএস ডলার, ইউরো, ৮ টি মোবাইল, নগদ দেশী টাকাসহ ১০ লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটে নেয়।
ডাকাতদের কবলে পড়া প্রবাসী ও তার সাথে থাকা লোকজন জানান, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বসন্তীপুর গ্রামের সালেহ আহমেদ মিয়ার ইটালী প্রবাসী গ্রীন কার্ডধারী ছেলে রবিউল (৩০) দীর্ঘ ৭ বছর পর গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে আসেন। বিমানবন্দর থেকে তাকে প্রাইভেটকারে নিতে আসেন প্রবাসির চাচাতো ভাই শাহাবুদ্দিনের ছেলে জুয়েল, মবিউল্লাহর ছেলে নেয়ামত উল্লাহ ও একই গ্রামের আঃ রহমান মিয়ার ছেলে প্রাইভেটকার চালক মিজানসহ ৩ জন।
তারা বুধবার ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলাধীন মারীখালী ব্রিজ সংলগ্ন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মহাসড়কে পৌছলে ১০-১৫ জনের ডাকাতদল একটি ট্রাকে ইটপাটকেল ছুড়ে সড়কে ব্যাড়িকেড দিয়ে দেশী ধারালো অস্ত্র বড় বড় ছুড়ি নিয়ে ট্রাক ও তাদের প্রাইভেটকারে হামলা করে। ডাকাতদের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বৈদেশীক মুদ্রা ৯ শ’ ইউ এস ডলার, সাড়ে ৩ শ’ ইউরো, একটি আই ফোনসহ ৮ টি দামি মোবাইল, মালামালসহ একটি লাগেজ, ইটালিয়ান গ্রীনকার্ড, ব্যাংক কার্ড, বাংলাদেশী নগদ টাকাসহ ১০ লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুটে নিয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তারা স্থানীয়দের নিয়ে মালামাল খুঁজে না পেয়ে থানায় গেলে সড়কে টহলের দায়িত্বে থাকা এস আই আল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তার কাছে ফোন করলে তিনি তাদেরকে তাৎক্ষনিক সহযোগিতা না করে পরে যোগাযোগ করতে বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে এস আই আল ইসলাম বলেন, আমি টহলে ছিলাম। ডাকাতরা তো দুই এক মিনিটে ডাকাতি করে চলে যায়। আমরা দেখতেছি বিষয়টা।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী বলেন, আমি নতুন এসেছি। আগের তুলনায় ডাকাতি কিছুটা কমেছে। এখনো সব অফিসার থানায় যোগদান করেনি। তবে ডাকাত ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো শুরু হয়েছে।
গত আগস্ট মাসের ৫ তারিখের পর এই একই স্থানে প্রায় প্রতিদিনই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গত মাসেও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার নরোত্তমপুর গ্রামের মামুন মিয়া প্রবাস থেকে ফেরার সময় ডাকাতদের কবলে পড়ে পাসপোর্টসহ সর্বস্ব হারিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাননি।