রংপুরের মিঠাপুকুরে চোরের অপবাদ দিয়ে রাজু নামে (১৭) এক কিশোরকে বাস থেকে চৌকিদার দিয়ে ধরে এনে হাত ও শরীরে রশি দিয়ে আম গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কাদায় নির্যাতন করেছে মাতব্বররা। ঘটনাটি ঘটেছে মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দূর্গামতি গ্রামে। তার বার নাম সাহেব আলী। খবর পেয়ে পুলিশে এসে তাকে গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ। ঘটনাটি ১৯ অক্টোবর শনিবার হলেও নির্যাতনের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পুরো মিঠাপুকুর উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ প্রত্যাক্ষদর্শী ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, কিশোর রাজুকে একটি আম গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক পেটাচ্ছেন কিছু লোক। সেখানে ২জন গ্রাম পুলিশকেও দেখা যায়। কিশোরের হাত ও ঘাড়ে রশি দিয়ে বাঁধা থাকলেও কোনরকম বাঁধা দেয়নি গ্রাম পুলিশরা। বরং তাদের কিশোরটিকে নির্যাতনে সহায়তা করতেও দেখা গেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার কিশোর রাজু (১৭) পড়ালেখা বাদ দিয়ে তার বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করে। প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে অতিসম্প্রতি তার প্রেমের সম্পর্ক ওঠে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত শনিবার দুপুরে রাজুকে গ্রাম্য পুলিশের দুই সদস্যদের সহায়তায় বাসা থেকে ধরে আনে মেয়ের বাড়ির লোকজন।
এরপর তারা কিশোর রাজুকে তাদের বাড়ির আঙিনায় আমগাছের সাথে রশি দিয়ে শক্তভাবে বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে এলাকার আবদুল খালেক, করিম মিয়া, রবিউল, সেহেরুল , মোস্তফা, আনোয়ারুল , রউফ, তালেব, কুদ্দুস, মিজানসহ ১৫ থেকে ২০ জন লাঠি দিয়ে ও হাত দিয়ে কিল ঘুষি লাথি মেরে অমানবিক নির্যাতন করে। কিশোর রাজু এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তাকে নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
এদিকে কিশোর রাজু নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মিঠাপুকুর থানা ও ৯৯৯-এ ফোন করে এলাকাবাসী জানায় তারা এক চোরকে হাতে নাতে আটক করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে কিশোর রাজুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় কিশোর রাজুর রাজুর বাবা সাহেব আলী জানান, তার ছেলের কোন দোষ নেই। মেয়ে পক্ষের লোকজন অন্যায়ভাবে তার ছেলেকে খুব মেরেছে। তিনি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মহিলা জানান ছেলেটার কোনো দোষ নেই। তিনি শুনেছেন মেয়েটির সঙ্গে কিশোরের ভালোবাসার সর্ম্পক ছিল। এ অপরাধে তাকে ধরে নিয়ে মারধর করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটির বাবা গায়ের জোরে লোকজন ভাড়া করে ছেলেটিকে ধরে খুব মারপিট করেছে। তারা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়েটির বাবা হাফিজুর রহমান জানান, তার মেয়েকে বারবার বিরক্ত করে আসছিল ছেলেটি। তাই তাকে ধরে শাসন করেছেন তিনি।
অপরাধ করে থাকলে আইনের সহযোগিতা না নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি কোনও জবাব দেননি।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের সাথে সোমবার দুপুর ১ টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান থানায় ও ট্রিপল ৯ এ ফোন করে বলা হয়েছে, চুরি করার অপরাধে একজনকে আটক করে রাখা হয়েছে। এমনি খবরের উপর ভিত্তি করে পুলিশ সেখানেস গিয়ে কিশোর রাজুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হয়। এ ব্যাপারে নির্যাতনকারীরা কোন মামলা করবেনা জানালে কিশোর রাজুকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারায় আদালতে চালান দেয়া হয়।
তবে কিশোর রাজুকে এভাবে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি এটা বেআইনী হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের স্বজনরা লিখিত অভিযোগ দিলে তারা আইনগত ব্যাবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
রংপুরের মিঠাপুকুরে চোরের অপবাদ দিয়ে রাজু নামে (১৭) এক কিশোরকে বাস থেকে চৌকিদার দিয়ে ধরে এনে হাত ও শরীরে রশি দিয়ে আম গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কাদায় নির্যাতন করেছে মাতব্বররা। ঘটনাটি ঘটেছে মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দূর্গামতি গ্রামে। তার বার নাম সাহেব আলী। খবর পেয়ে পুলিশে এসে তাকে গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ। ঘটনাটি ১৯ অক্টোবর শনিবার হলেও নির্যাতনের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পুরো মিঠাপুকুর উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ প্রত্যাক্ষদর্শী ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, কিশোর রাজুকে একটি আম গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক পেটাচ্ছেন কিছু লোক। সেখানে ২জন গ্রাম পুলিশকেও দেখা যায়। কিশোরের হাত ও ঘাড়ে রশি দিয়ে বাঁধা থাকলেও কোনরকম বাঁধা দেয়নি গ্রাম পুলিশরা। বরং তাদের কিশোরটিকে নির্যাতনে সহায়তা করতেও দেখা গেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার কিশোর রাজু (১৭) পড়ালেখা বাদ দিয়ে তার বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করে। প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে অতিসম্প্রতি তার প্রেমের সম্পর্ক ওঠে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত শনিবার দুপুরে রাজুকে গ্রাম্য পুলিশের দুই সদস্যদের সহায়তায় বাসা থেকে ধরে আনে মেয়ের বাড়ির লোকজন।
এরপর তারা কিশোর রাজুকে তাদের বাড়ির আঙিনায় আমগাছের সাথে রশি দিয়ে শক্তভাবে বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে এলাকার আবদুল খালেক, করিম মিয়া, রবিউল, সেহেরুল , মোস্তফা, আনোয়ারুল , রউফ, তালেব, কুদ্দুস, মিজানসহ ১৫ থেকে ২০ জন লাঠি দিয়ে ও হাত দিয়ে কিল ঘুষি লাথি মেরে অমানবিক নির্যাতন করে। কিশোর রাজু এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তাকে নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
এদিকে কিশোর রাজু নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মিঠাপুকুর থানা ও ৯৯৯-এ ফোন করে এলাকাবাসী জানায় তারা এক চোরকে হাতে নাতে আটক করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে কিশোর রাজুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় কিশোর রাজুর রাজুর বাবা সাহেব আলী জানান, তার ছেলের কোন দোষ নেই। মেয়ে পক্ষের লোকজন অন্যায়ভাবে তার ছেলেকে খুব মেরেছে। তিনি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মহিলা জানান ছেলেটার কোনো দোষ নেই। তিনি শুনেছেন মেয়েটির সঙ্গে কিশোরের ভালোবাসার সর্ম্পক ছিল। এ অপরাধে তাকে ধরে নিয়ে মারধর করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটির বাবা গায়ের জোরে লোকজন ভাড়া করে ছেলেটিকে ধরে খুব মারপিট করেছে। তারা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়েটির বাবা হাফিজুর রহমান জানান, তার মেয়েকে বারবার বিরক্ত করে আসছিল ছেলেটি। তাই তাকে ধরে শাসন করেছেন তিনি।
অপরাধ করে থাকলে আইনের সহযোগিতা না নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি কোনও জবাব দেননি।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের সাথে সোমবার দুপুর ১ টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান থানায় ও ট্রিপল ৯ এ ফোন করে বলা হয়েছে, চুরি করার অপরাধে একজনকে আটক করে রাখা হয়েছে। এমনি খবরের উপর ভিত্তি করে পুলিশ সেখানেস গিয়ে কিশোর রাজুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হয়। এ ব্যাপারে নির্যাতনকারীরা কোন মামলা করবেনা জানালে কিশোর রাজুকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারায় আদালতে চালান দেয়া হয়।
তবে কিশোর রাজুকে এভাবে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি এটা বেআইনী হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের স্বজনরা লিখিত অভিযোগ দিলে তারা আইনগত ব্যাবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।