যশোর শহরতলী খোলাডাঙ্গা এলাকায় ‘বাজার কেন্দ্রীয় বিরোধে’ স্যানিটারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম সজল (৪৪) খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খোলাডাঙ্গা এলাকায় এই হত্যাকান্ড ঘটে। নিহত স্যানিটারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম সজল (৪৪) ওই এলাকার আজিজুল ইসলাম মিন্টু মুন্সির ছেলে এবং স্থানীয় গাজীর বাজার ইউনিট জামায়াতের সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, সম্প্রতি গাজির বাজারে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি গঠন হয়। এই কমিটির সভাপতি নির্বাচন হন সজল। কমিটি গঠন এবং বাজার নিয়ে বিরোধে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এই বিরোধের সূত্র ধরে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। তবে এছাড়া আলোচনায় থাকা অন্যান্য কারণগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, স্যানিটারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম সজলের খোলাডাঙ্গা এলাকায় তার একটি স্যানিটারি দোকান রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যারাত সোয়া সাতটার দিকে তিনি সার গোডাউনের পিছনের সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় একদল অজ্ঞত সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের ডাক্তার সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত সজলের ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
যশোর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের ডাক্তার এ কে এম সুজাত হোসেন জানান, মৃতের শরীরে কমপক্ষে ১০টি স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
যশোর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন জানান, নিহত আমিনুল ইসলাম সজল খোলাডাঙ্গা এলাকার গাজীর বাজার ইউনিট জামায়াতের সভাপতি ছিলেন।
গাজির বাজারে ব্যবসায়ী ও নিহতের ভাগ্নে আব্দুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি গাজীর বাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সব ব্যবসায়ীর মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম সজল। তবে একই এলাকার কামরুল ওরফে খোড়া কামরুল এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কমিটি করা নিয়ে এর আগেও তিনি ঝামেলা সৃষ্টি করেছিলেন। সভাপতির সঙ্গে তার পূর্ব বিরোধ ছিলো। সম্প্রতি কামরুল জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তি পেয়েই প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।’
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বাজারকেন্দ্রীয় বিরোধে সম্প্রতি এক যুবকের সাথে সজলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে, সজল হত্যার খবর পেয়ে তার আত্মীয়, স্বজন এবং দলের নেতাকর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন। তাদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এই হত্যাকা-ের প্রতিবাদে রাতেই জামায়াত নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, হত্যাকা-ের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। বাজারকেন্দ্রীয় বিরোধ বা হাতাহাতির ঘটনার জের ধরে এই হত্যাকা- ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো আসামি আটক হয়নি। তবে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
যশোর শহরতলী খোলাডাঙ্গা এলাকায় ‘বাজার কেন্দ্রীয় বিরোধে’ স্যানিটারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম সজল (৪৪) খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খোলাডাঙ্গা এলাকায় এই হত্যাকান্ড ঘটে। নিহত স্যানিটারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম সজল (৪৪) ওই এলাকার আজিজুল ইসলাম মিন্টু মুন্সির ছেলে এবং স্থানীয় গাজীর বাজার ইউনিট জামায়াতের সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, সম্প্রতি গাজির বাজারে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি গঠন হয়। এই কমিটির সভাপতি নির্বাচন হন সজল। কমিটি গঠন এবং বাজার নিয়ে বিরোধে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এই বিরোধের সূত্র ধরে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। তবে এছাড়া আলোচনায় থাকা অন্যান্য কারণগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, স্যানিটারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম সজলের খোলাডাঙ্গা এলাকায় তার একটি স্যানিটারি দোকান রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যারাত সোয়া সাতটার দিকে তিনি সার গোডাউনের পিছনের সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় একদল অজ্ঞত সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের ডাক্তার সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত সজলের ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
যশোর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের ডাক্তার এ কে এম সুজাত হোসেন জানান, মৃতের শরীরে কমপক্ষে ১০টি স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
যশোর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন জানান, নিহত আমিনুল ইসলাম সজল খোলাডাঙ্গা এলাকার গাজীর বাজার ইউনিট জামায়াতের সভাপতি ছিলেন।
গাজির বাজারে ব্যবসায়ী ও নিহতের ভাগ্নে আব্দুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি গাজীর বাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সব ব্যবসায়ীর মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম সজল। তবে একই এলাকার কামরুল ওরফে খোড়া কামরুল এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কমিটি করা নিয়ে এর আগেও তিনি ঝামেলা সৃষ্টি করেছিলেন। সভাপতির সঙ্গে তার পূর্ব বিরোধ ছিলো। সম্প্রতি কামরুল জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তি পেয়েই প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।’
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বাজারকেন্দ্রীয় বিরোধে সম্প্রতি এক যুবকের সাথে সজলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে, সজল হত্যার খবর পেয়ে তার আত্মীয়, স্বজন এবং দলের নেতাকর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন। তাদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এই হত্যাকা-ের প্রতিবাদে রাতেই জামায়াত নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, হত্যাকা-ের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। বাজারকেন্দ্রীয় বিরোধ বা হাতাহাতির ঘটনার জের ধরে এই হত্যাকা- ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো আসামি আটক হয়নি। তবে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।