এক দূর্বৃত্ত নেত্রকোনায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদাবাজি করছে। চাহিদা মত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওই শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিব্বির রহমান শিবলী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নেত্রকোনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা এপিবিএন-২ অধিনায়ক আলি আহমদ খান সংবাদকে এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার (শ্রদ্ধনাম) মহিলা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষিকা। ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা ২-এপিবিএন অফিসের সাইবার শাখায় হাজির হয়ে অভিযোগ করে জানান, শিব্বির রহমান শিবলি, পিতা ডাঃ ইসহাক,দিকজান, নেত্রকোনা।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ২ বছর আগে শিবলীর সঙ্গে ফেইসবুকে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
গত এক বছর আগে অভিযুক্ত শিবলী ওই শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে গিয়ে শিক্ষিকার মোবাইল ফোন সেট হাতে নেয়। সেখানে মোবাইল ফোনের ফটোগ্যালারীতে শিক্ষিকার কিছু ব্যক্তিগত ছবি ছিল।
শিক্ষিকার অজ্ঞাতসারে কয়েকটি ছবি নিয়ে নিয়ে যায়। এরপর শিক্ষিকার কাছে বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে টাকা দাবি করত। চাহিদা মত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার কাছে থাকা আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখাত।
এরপর শিক্ষিকা পরিবারের ও নিজের সম্মানের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় প্রায় ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছে। আরও টাকার জন্য চাপ দেয়া থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিচ্ছিল।
শিক্ষিকা দূর্বৃত্তের দ্ইুটি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২শে নভেম্বর সকালে আবারও ১৫ হাজার টাকা এক ঘন্টার মধ্যে পাঠাতে বলে। টাকা না পাঠালে ক্ষুর্ধ্ব হয়ে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
এরপর ওই শিক্ষিকা পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। তারা শিক্ষিকাকে এপিবিএন-২ মুক্তাগাছা অফিসে যোগাযোগ করে অভিযোগ করতে বলে।
এপিবিএন-২ মুক্তাগাছা অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের সাইবার ক্রাইম শাখা শিব্বির রহমান শিবলীকে গত ২২ ডিসেম্বর নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার করেছে। তার মোবাইল থেকে আলামত জব্দ করা হয়েছে। ওই মোবাইল ফোন থেকে শিক্ষিকার আইডিতে পাঠানো আপত্তিকর ছবিও পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
তাকে নেত্রকোনা জেলার কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
এক দূর্বৃত্ত নেত্রকোনায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদাবাজি করছে। চাহিদা মত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওই শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিব্বির রহমান শিবলী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নেত্রকোনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা এপিবিএন-২ অধিনায়ক আলি আহমদ খান সংবাদকে এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার (শ্রদ্ধনাম) মহিলা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষিকা। ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা ২-এপিবিএন অফিসের সাইবার শাখায় হাজির হয়ে অভিযোগ করে জানান, শিব্বির রহমান শিবলি, পিতা ডাঃ ইসহাক,দিকজান, নেত্রকোনা।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ২ বছর আগে শিবলীর সঙ্গে ফেইসবুকে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
গত এক বছর আগে অভিযুক্ত শিবলী ওই শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে গিয়ে শিক্ষিকার মোবাইল ফোন সেট হাতে নেয়। সেখানে মোবাইল ফোনের ফটোগ্যালারীতে শিক্ষিকার কিছু ব্যক্তিগত ছবি ছিল।
শিক্ষিকার অজ্ঞাতসারে কয়েকটি ছবি নিয়ে নিয়ে যায়। এরপর শিক্ষিকার কাছে বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে টাকা দাবি করত। চাহিদা মত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার কাছে থাকা আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখাত।
এরপর শিক্ষিকা পরিবারের ও নিজের সম্মানের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় প্রায় ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছে। আরও টাকার জন্য চাপ দেয়া থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিচ্ছিল।
শিক্ষিকা দূর্বৃত্তের দ্ইুটি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২শে নভেম্বর সকালে আবারও ১৫ হাজার টাকা এক ঘন্টার মধ্যে পাঠাতে বলে। টাকা না পাঠালে ক্ষুর্ধ্ব হয়ে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
এরপর ওই শিক্ষিকা পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। তারা শিক্ষিকাকে এপিবিএন-২ মুক্তাগাছা অফিসে যোগাযোগ করে অভিযোগ করতে বলে।
এপিবিএন-২ মুক্তাগাছা অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের সাইবার ক্রাইম শাখা শিব্বির রহমান শিবলীকে গত ২২ ডিসেম্বর নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার করেছে। তার মোবাইল থেকে আলামত জব্দ করা হয়েছে। ওই মোবাইল ফোন থেকে শিক্ষিকার আইডিতে পাঠানো আপত্তিকর ছবিও পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
তাকে নেত্রকোনা জেলার কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।