ফরিদপুরের ভাঙ্গায় শ্বশুরকে কটাক্ষ করাকে কেন্দ্র করে জামাইয়ের পক্ষের সাথে শ্বশুরের পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে।
জানা যায়, মুনসুরাবাদ গ্রামের ইলিয়াস মাতুব্বরের মেয়ে অন্তরা আক্তার (১৬) গ্রামের একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক জাহিদ মোল্লা (৪০) এর সাথে অন্তরার প্রেমের সম্পর্ক হয়। জাহিদের আগে আরও দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান রয়েছে। বছর দেড়েক আগে জাহিদ মোল্লা তার মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অন্তরাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। অন্তরা হন জাহিদের তৃতীয় স্ত্রী। এ বিয়ে আজও মেনে নেয়নি অন্তরার বাবা ইলিয়াস মাতুব্বর। জামাতা জাহিদ মোল্লার বড় ভাই আলমগীর মোল্লা হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য। জাহিদের তৃতীয় স্ত্রীর বাবা ইলিয়াস মাতুব্বরের চাচাতো ভাই বাবর আলী মাতুব্বর হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। এরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ কারনে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে অনেকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দুপুরে ইলিয়াস মাতুব্বরকে একা পেয়ে তার জামাতা জাহিদ মোল্লার চাচাতো ভাই রাসেল মোল্লা কটাক্ষ করে বলে, আমার ভাই জাহিদ মোল্লা তিন বিয়ে করেছে। আর একটা বিয়ে করিয়ে হালি(৪ টি) পূরন করবো। এ বিষয়ে ইলিয়াস মাতুব্বর অপমানবোধ করে গ্রামে তার পক্ষের লোকজনকে জানায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের তর্ক বিতর্ক হয়। এরপর মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মুনসুরাবাদ বাজারে ইলিয়াস মাতুব্বরকে মারধর করে জামাই জাহিদ মোল্লার লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। বুধবার ( ২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পুনরায় জামাই ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রামদা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত দুই জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে গুরুতর আহত ইলিয়াস মাতুব্বরের চাচাতো ভাই কামরুল মাতুব্বরের স্ত্রী চম্পা বেগম(৩০) ও ইলিয়াস মাতুব্বরের ভাই রিয়াজ মাতুব্বর (৪০) কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে ইলিয়াস মাতুব্বরের আরেক ভাই ইকলাস মাতুব্বর (৩৫)।
ইলিয়াস মাতুব্বরের ভাই ইকলাস মাতুব্বর জানান, জাহিদ মোল্লা মাদ্রাসার শিক্ষক হয়েও তার মাদ্রাসার ছাত্রী আমার ভাতিজিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। এটা জাহিদের তৃতীয় বিয়ে। আমরা এ বিয়ে মেনে নেইনি। এ কারণে জাহিদের ভাইয়েররা আমাদেরকে কটাক্ষ করে সবসময়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার আমার বড় ভাইকে কটাক্ষ করে। প্রতিবাদ করায় মারধর করে। বুধবারও আমাদের উপর জাহিদ ও তার বড় ভাই ইউপি সদস্য আলমগীর মোল্লার নেতৃত্বে তাদের লোকজন হামলা ও মারধর এবং কুপিয়ে জখম করে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোকছেদুর রহমান জানান, জাহিদকে তার ভাইয়েরা আরও একটি বিয়ে করাবে - এ কথা জাহিদের স্ত্রীর বাবা ইলিয়াস মাতুব্বরের সামনে বলা নিয়ে কথা কাটাকাটি, মারপিট ও সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় শ্বশুরকে কটাক্ষ করাকে কেন্দ্র করে জামাইয়ের পক্ষের সাথে শ্বশুরের পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে।
জানা যায়, মুনসুরাবাদ গ্রামের ইলিয়াস মাতুব্বরের মেয়ে অন্তরা আক্তার (১৬) গ্রামের একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক জাহিদ মোল্লা (৪০) এর সাথে অন্তরার প্রেমের সম্পর্ক হয়। জাহিদের আগে আরও দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান রয়েছে। বছর দেড়েক আগে জাহিদ মোল্লা তার মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অন্তরাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। অন্তরা হন জাহিদের তৃতীয় স্ত্রী। এ বিয়ে আজও মেনে নেয়নি অন্তরার বাবা ইলিয়াস মাতুব্বর। জামাতা জাহিদ মোল্লার বড় ভাই আলমগীর মোল্লা হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য। জাহিদের তৃতীয় স্ত্রীর বাবা ইলিয়াস মাতুব্বরের চাচাতো ভাই বাবর আলী মাতুব্বর হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। এরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ কারনে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে অনেকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দুপুরে ইলিয়াস মাতুব্বরকে একা পেয়ে তার জামাতা জাহিদ মোল্লার চাচাতো ভাই রাসেল মোল্লা কটাক্ষ করে বলে, আমার ভাই জাহিদ মোল্লা তিন বিয়ে করেছে। আর একটা বিয়ে করিয়ে হালি(৪ টি) পূরন করবো। এ বিষয়ে ইলিয়াস মাতুব্বর অপমানবোধ করে গ্রামে তার পক্ষের লোকজনকে জানায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের তর্ক বিতর্ক হয়। এরপর মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মুনসুরাবাদ বাজারে ইলিয়াস মাতুব্বরকে মারধর করে জামাই জাহিদ মোল্লার লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। বুধবার ( ২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পুনরায় জামাই ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রামদা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত দুই জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে গুরুতর আহত ইলিয়াস মাতুব্বরের চাচাতো ভাই কামরুল মাতুব্বরের স্ত্রী চম্পা বেগম(৩০) ও ইলিয়াস মাতুব্বরের ভাই রিয়াজ মাতুব্বর (৪০) কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে ইলিয়াস মাতুব্বরের আরেক ভাই ইকলাস মাতুব্বর (৩৫)।
ইলিয়াস মাতুব্বরের ভাই ইকলাস মাতুব্বর জানান, জাহিদ মোল্লা মাদ্রাসার শিক্ষক হয়েও তার মাদ্রাসার ছাত্রী আমার ভাতিজিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। এটা জাহিদের তৃতীয় বিয়ে। আমরা এ বিয়ে মেনে নেইনি। এ কারণে জাহিদের ভাইয়েররা আমাদেরকে কটাক্ষ করে সবসময়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার আমার বড় ভাইকে কটাক্ষ করে। প্রতিবাদ করায় মারধর করে। বুধবারও আমাদের উপর জাহিদ ও তার বড় ভাই ইউপি সদস্য আলমগীর মোল্লার নেতৃত্বে তাদের লোকজন হামলা ও মারধর এবং কুপিয়ে জখম করে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোকছেদুর রহমান জানান, জাহিদকে তার ভাইয়েরা আরও একটি বিয়ে করাবে - এ কথা জাহিদের স্ত্রীর বাবা ইলিয়াস মাতুব্বরের সামনে বলা নিয়ে কথা কাটাকাটি, মারপিট ও সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।